Image description
মিনার রশীদ

কংগ্রেস নেতা শশী থারুর একটা টুইটে (এক্সে) লিখেছেন, ডাকসু নির্বাচনে শিবিরের জয় ভারতের ভবিষ্যতের জন্য এক উদ্বেগজনক ইঙ্গিত। অন্যদিকে জামায়াতে ইসলামী পাকিস্তানের আমিরও টুইটবার্তায় শিবিরকে অভিনন্দন জানিয়েছেন। দুটো কাজই আন্তর্জাতিক আদব-কায়দার আলোকে অশোভন, অগ্রহণযোগ্য! আমাদের এই অস্বস্তির কথা জেনে জামায়াতে ইসলামী পাকিস্তানের আমিরের টুইটটি ডিলিট করে দেওয়া হয় কিন্তু শশী থারুরের টুইটটি বহাল তবিয়তে রেখে দেওয়া হয়েছে। আমাদের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বের প্রতি এটাই শশী থারুরদের সহজাত অভিব্যক্তি!

শেরে বাংলা বলে গেছেন, ‘কলকাতার দাদারা যখন আমার প্রশংসা শুরু করে, তখন তোমরা বুঝবা যে আমি দেশের ক্ষতি করছি। আর যখন আমার বদনাম শুরু করে, তখন বুঝবা যে আমি দেশের স্বার্থে ঠিক কাজটিই করছি! কাজেই শশী থারুরের টেনশন দেখে নতুন প্রজন্ম বুঝে গেছে তারা সঠিক কাজ করেছে!’

 

শশী থারুরের এই উদ্বেগ দেখে রাজা কংসের কাহিনি মনে পড়ে যায়! মহাভারতের কাহিনিতে রাজা কংস ছিল এক নিষ্ঠুর শাসক। রাজজ্যোতিষী ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলেন—তার নিজের বোন দেবকী ও ভগ্নিপতি বাসুদেবের ঔরসজাত সন্তানই একদিন তার মৃত্যুর কারণ হবে এবং সিংহাসন দখল করবে। এই সংবাদ শুনে কংস আতঙ্কিত হয়ে ওঠে।

 

তিনি দেবকী ও বাসুদেবকে কারারুদ্ধ করে রাখেন। কিন্তু কারারক্ষীরা দয়াপরবশ হয়ে মাঝেমধ্যে স্বামী-স্ত্রীর মিলনের ব্যবস্থা করে দিতেন। ফলে দেবকী গর্ভবতী হয়ে পড়েন এবং কারাগারেই কংসের অজান্তে শ্রীকৃষ্ণের জন্ম দেন। ভীতসন্ত্রস্ত কারারক্ষীরা শিশু শ্রীকৃষ্ণকে মেরে ফেলার সিদ্ধান্ত নেন এবং পরে সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করে সুদূর গ্রামাঞ্চলের জনৈক গোয়ালের ঘরে রেখে আসেন লালনপালনের জন্য। এভাবে শ্রীকৃষ্ণ যখন গোয়াল-গোয়ালিনীর ঘরে বেড়ে উঠেছিলেন, তখন রাজা কংস তাচ্ছিল্যভরে রাজজ্যোতিষীকে জিজ্ঞাসা করলেন—কী হে, তোমার ভবিষ্যদ্বাণীর কী হলো। উত্তরে রাজজ্যোতিষী বললেন, ‘তোমারে বধিবে যে, গোকুলে বাড়িছে সে’

 

পরবর্তী সময়ে কংসের দমন-অত্যাচারে জনগণ ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে। যুবক কৃষ্ণ তখন বিদ্রোহীদের নেতৃত্ব গ্রহণ করেন। জনগণের সঙ্গে কৃষ্ণ মিলে অবশেষে কংসকে হত্যা করে অত্যাচার থেকে মুক্তি দেন।

 

ছাত্রশিবির ও কংস মামার রূপক

সেই থেকেই আজও নিষ্ঠুর, আত্মীয়স্বজন-বিদ্বেষী কাউকে আমরা ব্যঙ্গার্থে ‘কংস মামা’ বলে ডাকি। আজকের বাংলাদেশে ছাত্রশিবিরের অবস্থাও অনেকটা সেই কৃষ্ণের মতো। জন্মলগ্ন থেকেই তাদের ঘিরে ভয় ও আতঙ্ক ছড়ানো হয়েছে। ইন্ডিয়ার খুদ-কুঁড়ায় জন্ম নেওয়া এলিট সুশীল সমাজ মনে করেছে—শিবির যদি বেড়ে ওঠে, তবে তাদের বুদ্ধিবৃত্তিক, সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক আধিপত্য চ্যালেঞ্জের মুখে পড়বে। তাই তারা প্রতিনিয়ত শিবিরকে একটা দানবীয় শক্তি হিসেবে তুলে ধরার চেষ্টা করেছে!

 

কিন্তু বাস্তবে দমননীতি যত বেড়েছে, ততই শিবির গড়ে উঠেছে একটি দৃঢ়, শৃঙ্খলাবদ্ধ, মেধানির্ভর সংগঠন হিসেবে। আমাদের মরাল ব্রিগেডের সার্বিক বিরোধিতা এবং বিমাতাসুলভ আচরণের পরও তারা টিকে আছে। শুধু টিকে থাকা নয়, নতুন প্রজন্মকে এক বিরাটসংখ্যায় আকৃষ্ট করতে সক্ষম হয়েছে।

 

সাম্প্রতিক উত্থান

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ একাধিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছাত্রশিবিরের কার্যক্রম ও সাফল্য যেন সেই কৃষ্ণকাহিনিরই আধুনিক প্রতিচ্ছবি। দীর্ঘদিনের নেতিবাচক প্রচার সত্ত্বেও শিক্ষিত তরুণরা দেখছে—শিবির আদর্শ, শৃঙ্খলা ও শিক্ষাবান্ধব একটি সংগঠন। প্রতিপক্ষ ছাত্র সংগঠনগুলো ধর্ষণের সেঞ্চুরি করলেও, নিজ সংগঠনের মেয়েদের পার্টির ঊর্ধ্বতন নেতাদের মনোরঞ্জনে পাঠালেও দুই লাখ মা-বোনের ইজ্জত লুণ্ঠনের অপবাদ বাই-ডিফল্ট শিবিরের কাঁধেই থেকে যায়। নতুন প্রজন্ম এসব দেখে দ্বিধায় পড়ে যায়।

 

সত্য বলতে গেলে পুরো জাতির বিবেককে বা মরাল ব্রিগেডকে একটা বিশেষ ডাইলেমায় ফেলেছিল এই ছাত্রশিবির। অনেক সত্য কথা বলা যায়নি, তাতে শিবির আনডিউ বেনিফিট পেয়ে যাবে, এই আশঙ্কায়!

 

যেভাবে কংস মামা বারবার চেষ্টা করেও কৃষ্ণকে শেষ করতে পারেননি, বরং কৃষ্ণই পরে তার পতনের কারণ হয়েছিল—তেমনি ছাত্রশিবিরের উত্থান আজ প্রমাণ করছে, দমননীতি বা প্রোপাগান্ডা দিয়ে কোনো আদর্শবাদী সংগঠনকে ধ্বংস করা যায় না।

আজ শুধু শামীম পাটোয়ারী কিংবা রেজা কিবরিয়াই ছাত্রশিবিরের উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করছে, তাই নয়—ডিবিসি টিভিতে দেখলাম আব্দুন নূর তুষারসহ আরো অনেকেই শিবির সম্পর্কে পজিটিভ মন্তব্য শুরু করেছেন!

 

ভালো লাগল যে, বিএনপির রুমিন ফারহানা ‘ডিনায়াল অব দ্য ট্রুথ’ শব্দগুচ্ছটি পিক করেছেন। শব্দগুচ্ছটি আমি কিছুদিন ধরে একটি বিশেষ উদ্দেশ্যে ব্যবহার করে আসছি! তিনি শিশির মনিরের সঙ্গে একটি টকশোতে ছাত্রশিবির সম্পর্কে অত্যন্ত প্রণিধানযোগ্য কিছু কথা উচ্চারণ করেছেন! এই ডিনায়াল অব দ্য ট্রুথের কারণেই আওয়ামী লীগের ধ্বংস হয়েছে। তখনো আমরা এই শব্দগুচ্ছটি অনেকবার ব্যবহার করেছি। কিন্তু শব্দটি কোনো আওয়ামী মগজে ঢোকেনি। ছাত্রশিবিরের এই উত্থানের পেছনে কার অবদান?

 

খুবই ইন্টারেস্টিং বিষয় হলো, জামায়াতে ইসলামী খোদ পাকিস্তানে তেমন একটা অগ্রসর হতে পারেনি! তাদের সাইজ ১৯৭০ সালে যেমন ছিল, ২০২৫ সালেও খুব একটা বৃদ্ধি পায়নি। এর মূল কারণটি হলো, পাকিস্তানে ‘সকাল-বিকাল একটা-দুইটা শিবির ধরে নাশতা করার মতো আওয়ামী লীগ কিংবা বামরা ছিল না!’ সেখানে ‘তোমরা যারা শিবির কর’ বলে নসিহত করার মতো একজন ড. জাফর ইকবাল নেই, একজন মুনতাসীর মামুন বা শাহরিয়ার কবির নেই। সেখানে উদীচী নেই, ছায়ানট নেই। যারা সম্মিলিতভাবে জাতির জন্য শিবিরতাড়ুয়া হিসেবে কাজ করবেন।

২০২৪ সালের ৫ আগস্টের পর শিবির দিয়ে নাশতা করার কাজটি একটু থেমে যায়। কিন্তু বামদের বিশেষ প্রেরণায় এই দায়িত্বটি ছাত্রদল নিজেদের কাঁধে তুলে নেয়। ফলে আওয়ামী লীগ গত ৪৫ বছর ছাত্রশিবিরকে যতটুকু এগিয়ে দিয়েছে, গত এক বছর ছাত্রদল মনে হয় ছাত্রশিবিরকে তার চেয়েও বেশি এগিয়ে দিয়েছে!

 

বিএনপির মারাত্মক ভুল

৫ আগস্টের পর বিএনপির পক্ষ থেকে জনগণ নতুন রাজনীতি আশা করেছিল। কিন্তু বিএনপি সেই পুরোনো রাজনীতি শুরু করে। আওয়ামী লীগ চেতনার যে লেবুকে কচলিয়ে তিতা করে ফেলে, সেসব লেবুকে আবার চিপতে থাকে। এটা দেখে জনগণ প্রমাদ গুনে। নিজেদের এই ভুল পথটিকে কেউ যেন ধরিয়ে দিতে না পারে, এ জন্য আরো আত্মবিধ্বংসী একটি কৌশল বেছে নেয়। অবশ্য এ ক্ষেত্রে জামায়াতের অনলাইন ব্রিগেডের প্রতিক্রিয়াও বিএনপিকে এই পথে যেতে প্ররোচিত করেছে।

 

জামায়াতের বিরুদ্ধে এই বুদ্ধিবৃত্তিক ও রাজনৈতিক সংগ্রামে বিএনপি তার ভেতরের ইসলামপন্থিদের সম্পৃক্ত করতে পারেনি; বরং অনেকটা জামায়াতের দিকেই ঠেলে দিয়েছে! নিজেদের বিশুদ্ধ মধ্যপন্থি দেখাতে গিয়ে কিছু চিহ্নিত বাম ও আওয়ামীপন্থি চিন্তকদের কাছে টেনেছে, যারা বিএনপিতে বসন্তের কোকিল বলে গণ্য হয়েছে। এই বসন্তের কোকিলরা বারবার বিএনপিকে বিপদে ফেলেছে!

 

তথাকথিত এক-এগারোর সময় দেখেছি, সামান্য প্রতিকূল বাতাসে কারা কাত হয়ে পড়েছিল কিংবা ‘ইয়া-নাফসি’ ‘ইয়া-নাফসি’ পড়তে পড়তে সংস্কারবাদী মান্নান ভূঁইয়ার সংস্কারের খাঁচায় ঢুকে পড়েছিল। এদের একজনকে এক ক্ষুব্ধ সমর্থক প্রকাশ্য রাজপথে জুতাপেটা করেছিল। এক-এগারো নামক সেই কারবালার সময়ে হাতে গোনা যে কজন বুক উঁচিয়ে বিএনপির পক্ষে কলম ধরেছিলেন, এই নগণ্যও তাদেরই একজন ছিলেন।

 

আরো একজনের কথা লিখে আজকের কলামের ইতি টানব!

সেই বড় ভাইটি ছাত্রদলের প্রতিষ্ঠাকালীন সদস্য ছিলেন। পরে বিসিএসের মাধ্যমে পুলিশে যোগ দেন এবং ব্যাচের সেরা মেধাবী হিসেবে নির্ণীত হন। বিএনপি এবং জিয়া পরিবার বলতে অজ্ঞান! উত্তরবঙ্গের একটি আসন থেকে নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছেন। মনের ভেতরে যা আসে, তা বলে ফেলেন।

 

দীর্ঘ সময় সুনামের সঙ্গে পুলিশে চাকরি করেন! শেখ হাসিনা ক্ষমতায় এসে ২১ আগস্টের ঘটনাকে নতুন করে সাজান। তখন ছাত্রদলের প্রাক্তন সদস্য এই ভাইটিকেও বিশেষ টার্গেট করা হয়। ছাত্রদল করার পাপস্খলনের সুযোগ দেওয়া হয়। টোপ ফেলা হয় একটা স্বীকারোক্তি দিতে যে তারেক রহমান বা হাওয়া ভবন থেকে ফোন করে তাদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল! সেটা না করায় শুধু চাকরিই হারাননি, চার বছর জেলও খেটেছেন। নিজের যে একাডেমিক ব্যাকগ্রাউন্ড ছিল, তাতে হাসিনার ইশারায় একটু কাজ করলে সহজেই পুলিশের আইজি হতে পারতেন! এসব কারণেই বিএনপির শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গে তার একটি আন্তরিক সম্পর্ক তৈরি হয়েছে।

 

দীর্ঘদিন ফেরারি জীবনযাপন এবং পরবর্তী চার বছরের কারাবাস তার জীবনে এক বিশেষ মোড় এনে দেয় । কারাগারে থাকার সময় তিনি গভীরভাবে সমাজ, রাজনীতি ও ধর্ম নিয়ে গবেষণা করেন! একই সঙ্গে বিভিন্ন আলেম ও জামায়াত-শিবিরসংশ্লিষ্টদের সঙ্গে আলাপ-আলোচনার সুযোগ পান। এর ফলে জামায়াত-শিবির ও ইসলামি রাজনীতির ওপর তার একটি সুগভীর ধারণা তৈরি হয়। তার নবলব্ধ চেতনা ও গবেষণার বিশেষত্ব হলো—তিনি শুধু তাদের শক্তিই নয়, দুর্বলতাগুলোও যথাযথভাবে চিহ্নিত করেছেন ম্যাথমেটিকসের তুখোড় ছাত্র হিসেবেই। তার সেই গাণিতিক দৃষ্টিভঙ্গির আলোকে তিনি ছাত্রদল সংস্কারের একটি প্রস্তাবনা ড্রাফট করেন। তিনি মনে করেন, ইসলাম শুধু কোনো একটি দলের লিমিটেড কোম্পানি না। তিনি ভাবলেন, এক আদর্শকে মোকাবিলার জন্য অন্য এক আদর্শ লাগবে। গায়ের জোরে বা অন্য কোনো কূটকৌশলে মোকাবিলা করতে গেলে হীতে বিপরীত হবে।

সেই ড্রাফট প্রস্তাবনা তিনি অ্যাক্টিং চেয়ারম্যান বরাবর জমা দেন এখন থেকে বছর দুই আগে। প্রস্তাবে ছাত্রদলের জন্য ধর্মীয় ও নৈতিক শিক্ষার কিছু অংশও অন্তর্ভুক্ত ছিল। অ্যাক্টিং চেয়ারম্যান ড্রাফটটি পড়ে জানতে চান—‘এই পরিকল্পনায় আপনার সঙ্গে আর কারা থাকবেন?’ তিনি প্রথমেই আমার নাম উল্লেখ করেন (যদিও সেই ড্রাফটের একটা লাইনও আমি লিখিনি)! আমার সম্পর্কে তখন অ্যাক্টিং চেয়ারম্যান বলেন, ‘তিনি ট্যালেন্টেড, সৎ ও দেশপ্রেমিক, তবে আপনার মতোই একটু জামায়াতঘেঁষা।’

 

এই মন্তব্যে ভাইটি সঙ্গে সঙ্গেই প্রতিবাদ করেন—‘আপনার কথায় কষ্ট পেয়েছি। আপনি আমাদের ইসলামঘেঁষা বললে আমরা কিছু মনে করতাম না, কিন্তু জামায়াতঘেঁষা বলা আমাদের প্রতি দারুণ অবিচার হয়েছে।’ চেয়ারম্যান তখন হেসে জবাব দেন—‘রাগ করবেন না, ঠাট্টা করলাম মাত্র!’

 

বড় ভাইটির যুক্তি ছিল, যুবসমাজকে ঠিকভাবে আকৃষ্ট করা যায়, হয় মাদক নতুবা পর্নোর সুড়সুড়ি দিয়ে । এর বাইরে যে জিনিসটি দিয়ে যুবসমাজকে আকৃষ্ট করা যায়, সেটি হলো—ধর্ম। এ কারণেই যারা বলে ‘দেয়ার ইজ নো গড’, তাদের দৃষ্টিতে ধর্মটা হলো আফিমের মতো! ছাত্রশিবিরের বিপরীতে অন্য ছাত্র সংগঠনগুলো দেখে উল্লিখিত বড় ভাইসহ অনেকেই ভাবতে বাধ্য হয়েছেন, শিবিরের চেয়ে কিছুটা হালকা ডোজে হলেও এই আফিমের (ধর্মবিশ্বাস) প্রয়োজন।

 

এটা এমন এক আফিম, যার প্রভাবে মনে করবে তার দুই কাঁধে দুই ফেরেশতা রয়েছে। ফলে দিল্লিতে বা অন্য কোথাও স্ত্রী ব্যতিরেকে সফরে গেলেও হানি ট্র্যাপের শিকার হবে না। তাতে দেশ কিংবা নিজের স্ত্রী প্রতারিত হবে না। এটা এমন এক আফিম, যার প্রভাবে অন্যের বা দেশের সম্পদ তছরুপ হবে না। এটা এমন এক আফিম, যার প্রভাবে এমপি, মন্ত্রী, প্রধানমন্ত্রী হয়েও সারাক্ষণ টেনশনে থাকবে, তার আয়ত্তে থাকা মানুষ তো দূরের কথা, একটা কুকুরও না খেয়ে থাকলে হাশরের মাঠে দায়ী হতে হবে!

 

ডাকসু, জাকসুর নির্বাচনি ফল আমাদের সেই প্রস্তাবটির ন্যায্যতা ও প্রয়োজনীয়তা আরো বেশি করে তুলে ধরেছে! আমাদের সেই প্রস্তাবে রুমিন ফারহানাদের মাথায় কাপড় দেওয়া জরুরি ছিল না! যা ছাত্রশিবির এবার দেখিয়েছে, এই স্মার্ট কম্বিনেশনটি নেতার কাছে অনেক আগেই আমরা তুলে ধরেছিলাম!

কারণ বাইরের চেয়ে ভেতরের পরিবর্তনটা বেশি জরুরি, অতীব জরুরি।

 

লেখক : কলামিস্ট