Image description

গুরুদাসপুরে পরকীয়ার জেরে প্রেমিক-প্রেমিকা আত্মহত্যা করেছেন বলে অভিযোগ। কীটনাশক পানে মঙ্গলবার দিনগত রাতে প্রথমে গৃহবধু আতিয়া খাতুন (২৬) এবং পরে বুধবার সকাল ৮টার দিকে তার পরকীয়া প্রেমিক কলেজছাত্র রাকিব হোসেন (২০) গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন।

নিহত আতিয়া খাতুন গুরুদাসপুর উপজেলার খুবজীপুর ইউনিয়নের চরপিঁপলা গ্রামের মালয়েশিয়া প্রবাসী মুক্তার হোসেনের স্ত্রী এবং নিহত রাকিব একই গ্রামের আলতাব হোসেনের ছেলে। রাকিব খুবজীপুর এমহক ডিগ্রী কলেজের এইচএসসি প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন।

আতিয়ার বাবার বাড়ি প্রেমিক রাকিবের বাড়ির পাশেই। প্রায় ১০ বছর আগে প্রবাসী মুক্তার হোসেনের সঙ্গে আতিয়ার বিয়ে হয়। সংসার জীবনে তাদের কোনো সন্তানাদি নেই।

নিহতের পরিবার সূত্রে জানা গেছে, পরকীয়ার বিষয়টি নিয়ে মঙ্গলবার রাতে প্রবাসী মুক্তার হোসেনের সঙ্গে মোবাইল ফোনে তার স্ত্রী আতিয়ার বাকবিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে আতিয়া আত্মহত্যা করতে কীটনাশক পান করেন। এসময় তাকে গুরুতর অবস্থায় রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাতে তার মৃত্যু হয়।

প্রেমিকা আতিয়ার মৃত্যুর খবর পাওয়ার পর বুধবার সকাল ৮টার দিকে নিজের শয়নঘরের ডাবের সঙ্গে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন প্রেমিক রাকিব। একসঙ্গে দুটি মৃত্যুর ঘটনায় এলাকায় শোকের ছায়া নেমে আসে।

এ ঘটনায় গুরুদাসপুর থানায় পৃথক দুটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের হয়েছে। পুলিশ মরদেহ দুটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে।

খুবজীপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মনিরুল ইসলাম দোলন বলেন, বেশ কিছুদিন ধরেই রকিব হোসেন ও গৃহবধূ আতিয়ার মধ্যে পরকীয়ার বিষয়টি স্থানীয়ভাবে চাউর হয়। পরকীয়া নিয়ে স্বামীর সঙ্গে আতিয়ার ঝগড়া বিবাদ চলছিল। সবশেষ মঙ্গলবার রাতে স্বামীর সঙ্গে ফের ঝগড়া হয়। সেই রাতেই কীটনাশক পান করেন আতিয়া।

নিহত আতিয়ার ফুফাতো ভাই আনিসুর রহমান বলেন, আতিয়ার মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পরলে রাত থেকেই রাকিবের ভেতর অস্থিরতা দেখা দেয়। সকালে নিজের ঘরের ডাবের সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া যায় রাকিবকে।

আতিয়ার শাশুড়ি বলেন, নিহত রাকিব হোসেন প্রায়ই পূত্রবধূ আতিয়ার সঙ্গে দেখা করতে তাদের বাড়িতে আসতেন। এই বিষয়টি নিয়ে পূত্রবধু আতিয়ার সঙ্গে প্রবাস থেকে মঙ্গলবার মোবাইল ফোনে ছেলে মুক্তারের ঝগড়া হয়।

গুরুদাসপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) গোলাম সারোয়ার হোসেন আত্মহত্যার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, নিহত গৃহবধূ আতিয়া ও কলেজছাত্র রাকিবের মধ্যে পরকিয়া চলছিল বলে তারা প্রাথমিকভাবে ধারণা করছেন। তবে তদন্তের পর বিষয়টি খোলাসা করা যাবে।