জাতীয় নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতার ন্যূনতম বয়স ২৫ বছর থেকে কমিয়ে ২১ বছর করার সুপারিশ করেছে সংবিধান সংস্কার কমিশন। এই সুপারিশ বাস্তবায়িত হলে ছাত্র থাকা অবস্থায় নির্বাচনে প্রার্থী হয়ে জাতীয় সংসদে জনগণের প্রতিনিধিত্ব করার সুযোগ তৈরি হবে তরুণ–তরুণীদের।
সংবিধান সংস্কার কমিশনের সুপারিশে তরুণদের জন্য আরও সুখবর রয়েছে। প্রস্তাব অনুযায়ী, সংসদের যেসব প্রতিনিধি সরাসরি জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়ে আসবেন, সেসব প্রার্থী করার ক্ষেত্রে রাজনৈতিক দলগুলোকে মোট আসনের ন্যূনতম ১০ শতাংশ তরুণ-তরুণীদের মধ্য থেকে মনোনীত করতে হবে।
সংস্কার কমিশন আইনসভা দ্বিকক্ষবিশিষ্ট করার প্রস্তাব করেছে। এর মধ্যে নিম্নকক্ষের ৩০০ জনকে একক নির্বাচনী এলাকায় প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে আসতে হবে। আর নিম্নকক্ষের ১০০ জন নারী সদস্য সারা দেশের সব জেলা থেকে নির্ধারিত ১০০ নির্বাচনী এলাকা থেকে কেবল নারী প্রার্থীদের মধ্যে প্রতিদ্বন্দ্বিতার মাধ্যমে সরাসরি ভোটে নির্বাচিত হবেন। নিম্নকক্ষে দলগুলোর পাওয়া আসনের ভিত্তিতে তাদের মধ্যে উচ্চকক্ষের আসন বণ্টন হবে।
এই সুপারিশ বাস্তবায়িত হলে নিম্নকক্ষের ৪০০ আসনের মধ্যে অন্তত ৪০টিতে তরুণ–তরুণীদের দেখা যাবে।
অধ্যাপক আলী রীয়াজের নেতৃত্বাধীন সংবিধান সংস্কার কমিশন আজ বুধবার প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে তাদের সংস্কারের সুপারিশসংবলিত প্রতিবেদন জমা দিয়েছে। সেই প্রতিবেদনে এসব সুপারিশ রয়েছে।
সংস্কার কমিশনের সুপারিশগুলো নিয়ে এখন রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করবে অন্তর্বর্তী সরকার। সেই আলোচনার মাধ্যমে যেসব বিষয়ে ঐকমত্য হবে, সেসব সংস্কার প্রস্তাব বাস্তবায়ন করা হবে। ফেব্রুয়ারিতে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে এই আলোচনা হবে বলে আজ এক সংবাদ ব্রিফিংয়ের সরকারের দুজন উপদেষ্টা জানিয়েছেন।