
ফরিদপুর-৪ আসন থেকে আলগী ও হামিরদী ইউনিয়ন কেটে ফরিদপুর-২ আসনে অন্তর্ভুক্ত করার প্রতিবাদে বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছে ভাঙ্গা উপজেলা।
সোমবার (১৫ সেপ্টেম্বর) উপজেলা পরিষদ কার্যালয়, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কার্যালয়, উপজেলা অফিসার্স ক্লাব, হাইওয়ে থানা ও পৌরসভায় হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করেছেন বিক্ষুব্ধরা।
সরেজমিনে দেখা গেছে, বাসস্ট্যান্ড এলাকায় বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে দুপুর ১টার দিকে বিভিন্ন এলাকা থেকে এসে কয়েক হাজার জনতা লাঠিসোঁটা, রামদাসহ দেশীয় অস্ত্র নিয়ে মিছিল নিয়ে যোগ দিতে যায়। অবরোধে বাধা দিলে দায়িত্বরত পুলিশ সদস্যদের ওপর হামলা চালায় তারা।
একপর্যায়ে তারা পুলিশকে ধাওয়া দিলে পুলিশ সদস্যরা জীবন বাঁচাতে ভাঙ্গা বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন মারকাজ মসজিদে ঢুকে পড়ে। সেখানেও আন্দোলনকারীরা ইট পাটকেল নিক্ষেপ করতে থাকে। এতে মসজিদের গ্লাস ভেঙে যায়। পুলিশ সদস্যরা মসজিদের টয়লেটে ঢুকে আত্মরক্ষা পান।
উত্তেজিত জনতার ইটপাটকেলে রক্তাক্ত অবস্থায় দৌড়াতে দেখা যায় পুলিশ সদস্যদের। পরে কিছু সময় তাদের ঘিরে রাখে উত্তেজিত জনতা। এক পর্যায়ে মাদ্রাসা ও মসজিদের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা অবস্থান নিয়ে পুলিশ সদস্যদের রক্ষা করেন।
মাদ্রাসার এক শিক্ষার্থী জানান, পুলিশ ধাওয়া খেয়ে মসজিদ ও টয়লেটে প্রবেশ করে দরজা বন্ধ করে রক্ষা পান। পরে আন্দোলনকারীরা সরে যাওয়ার পর মাদ্রাসার হুজুররা পুলিশদের বের করে মাদ্রাসায় বসতে দেন।
ভাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. মিজানুর রহমান বলেন, ইউএনও কার্যালয়ের কিছু অংশে ভাঙচুর করা হয়েছে। নির্বাচন কার্যালয়ে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করেছে আন্দোলনকারীরা।