Image description

ফরিদপুরে ভাঙ্গার পরিস্থিতি উত্তাল। পুলিশের সঙ্গে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া চলছে। হাজার হাজার বিক্ষুব্ধ জনতা ভাঙ্গা গোলচত্বর দখলে নিয়েছে। ভাঙ্গা ঈদগাহ মসজিদের ভেতরে আশ্রয় নিয়েছেন পুলিশ সদস্যরা।

ফরিদপুরের ভাঙ্গায় পূর্বঘোষিত অবরোধ কর্মসূচি ঘিরে প্রশাসনের জোড় তৎপরতার মধ্যেই হঠাৎ করে সড়কে নেমে পড়েছেন স্থানীয়রা। দুটি মহাসড়কে অন্ততপক্ষে ছয়টি এলাকায় অবরোধ করে বিক্ষোভ করছেন তাঁরা। বন্ধ হয়ে পড়েছে সব রুটের যান চলাচল, আটকে পড়েছে অসংখ্য যানবাহন। মুখোমুখি অবস্থান নিতে দেখা গেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও অবরোধকারীদের।

আজ সোমবার বেলা সাড়ে ১১ টার দিকে হঠাৎ করেই সড়কে নেমে পড়ে স্থানীয়রা ৷ তবে এর আগে সকাল থেকেই সকল রুটে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক ছিল। বিভিন্ন এলাকায় দাঁড়ানোর চেষ্টা করলেও নিবৃত্ত করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।

লাঠিসোঁটা নিয়ে মাঠে নেমেছে স্থানীয়রা। ছবি: আজকের পত্রিকা
লাঠিসোঁটা নিয়ে মাঠে নেমেছে স্থানীয়রা। ছবি: আজকের পত্রিকা

দুপুর ১২টায় ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কের ভাঙ্গা বাসস্ট্যান্ড এলাকায় দেখা যায়, কয়েক শ বিক্ষুব্ধ জনতা সড়কের ওপর বিদ্যুতের খুঁটি ফেলে অবরোধ করে রাখেন। একপর্যায়ে টায়ারে আগুন জ্বালিয়ে বিক্ষোভ শুরু করেন। এ সময় রাইটকার নিয়ে এক পাশে মুখোমুখি অবস্থান করতে দেখা যায় পুলিশ সদস্য ও পুলিশের এপিবিএন সদস্যদের।

 

বিক্ষুব্ধ জনতা ভাঙ্গা গোলচত্বর দখলে নিয়েছে। ছবি: আজকের পত্রিকা
বিক্ষুব্ধ জনতা ভাঙ্গা গোলচত্বর দখলে নিয়েছে। ছবি: আজকের পত্রিকা

এ খবর ছড়িয়ে পড়লে মুহূর্তেই ঢাকা-খুলনা ও ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কের বিভিন্ন এলাকায় অবরোধ শুরু করেন বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসী। এর আগে গত শনিবার তিন দিনের সকাল সন্ধ্যা অবরোধের ঘোষণা দেওয়া হয়। পরে ঘোষণাকারী সর্বদলীয় ঐক্য পরিষদের প্রধান সমন্বয়ক ও আলগী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ম ম সিদ্দিক মিয়াকে আটক করে পুলিশের গোয়েন্দা শাখা।

এ ছাড়া আইনশৃঙ্খলা বিঘ্নের অভিযোগে গতকাল রোববার রাতে ৯০ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা করেন পুলিশ। পরে আজ সকাল থেকেই বিভিন্ন এলাকায় টহল দিচ্ছিল সেনাবাহিনী ও পুলিশ।