
অনলাইন জুয়া খেলা, জালিয়াতি এবং প্রতারণার সঙ্গে সম্পৃক্ত কাজকে শাস্তিযোগ্য অপরাধ হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। এসব কাজের শাস্তি হিসেবে অপরাধী ব্যক্তি দুই বছর কারাদণ্ড ও এক কোটি টাকা অর্থদণ্ডে বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবে। রবিবার (১৪ সেপ্টেম্বর ) ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের পাঠানো একটা সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশ ২০২৫ এ সাইবার স্পেসে জুয়া খেলা, জালিয়াতি এবং প্রতারণার সাথে সম্পৃক্ত কার্যক্রমকে শাস্তিযোগ্য অপরাধ হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। অধ্যাদেশ অনুযায়ী—যদি কোন ব্যক্তি অনলাইনে বা সাইবার স্পেসে জুয়া খেলার জন্য কোনো পোর্টাল, অ্যাপস বা ডিভাইস তৈরি করেন, পরিচালনা করেন, খেলায় অংশগ্রহণ করেন, খেলায় সহায়তা করেন, উৎসাহ প্রদান করেন বা উৎসাহ প্রদানের জন্য বিজ্ঞাপনে অংশ নেন এবং প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে প্রচার বা বিজ্ঞাপিত করেন তবে সে ব্যক্তি সাইবার স্পেসে জুয়া খেলার অপরাধে অপরাধী হিসেবে পরিগণিত হবে। এ অপরাধে সে ব্যক্তি অনধিক দুই বছর কারাদণ্ডে অথবা অনধিক এক কোটি টাকা অর্থদণ্ডে বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, পাশাপাশি যদি কোন ব্যক্তি সাইবার স্পেস ব্যবহার করে জালিয়াতি করে তবে সেই ব্যক্তি অপরাধী হিসেবে চিহ্নিত হবে। এক্ষেত্রে সে অনধিক দুই বছর কারাদণ্ডে অথবা অনধিক বিশ লাখ টাকা অর্থদণ্ডে বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবে।
এতে জানানো হয়েছে, আবার যদি কোন ব্যক্তি সাইবার স্পেস ব্যবহারের মাধ্যমে প্রতারণা করে কোন অপরাধ সংগঠিত করে তবে সে ব্যক্তি অনধিক পাঁচ বছর কারাদণ্ডে বা পঞ্চাশ লাখ টাকা অর্থদণ্ডে বা উভয়দণ্ডে দণ্ডিত হবে। ইতোমধ্যেই আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলো এ বিষয়ে নজরদারি বাড়িয়েছে। অন্তর্বর্তী সরকার এই অপরাধ দমন ও সাইবার সুরক্ষা নিশ্চিত করতে সকলকে সচেতন থাকার আহ্বান জানাচ্ছে।