Image description
 

ডাকসু নির্বাচনে ছাত্রশিবিরের জয়ের ব্যাখ্যায় চমকপ্রদ মন্তব্য করেছেন আমার বাংলাদেশ (এবি) পার্টির সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদ। তার দাবি, এই নির্বাচনে শুধুই মৌলবাদী উত্থান ঘটেনি বরং প্রতিবাদী ছাত্রসমাজ তাদের ভোটে একটি নতুন রাজনৈতিক বার্তা দিয়েছে।

 

বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে বাবুগঞ্জ উপজেলা প্রেসক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, “ডাকসু নির্বাচনে শিবিরের প্যানেলের জয় শুধু তাদের সাংগঠনিক শক্তির কারণে হয়নি। বরং প্রগতিশীল ছাত্র সংগঠনগুলোর নেতিবাচক আচরণ ও ধারাবাহিক ট্রল রাজনীতির প্রতিবাদে শিক্ষার্থীরা ভিন্নমত প্রকাশ করেছে। এখানে শুধু ধর্মীয় বা মতাদর্শিক ভোট হয়নি প্যান্ট-শার্ট পরা মেয়েরাও শিবিরকে ভোট দিয়েছে, স্কার্ট পরা মেয়েটাও শিবিরের প্রার্থীকেই ভোট দিয়েছে।”

 

ফুয়াদ বলেন, নির্বাচনে শিবিরের যে প্রার্থী জিএস হয়েছেন, তিনি ক্যাম্পাসে খুব একটা পরিচিত ছিলেন না। কিন্তু একটি মেয়ের রিটের মাধ্যমে তার প্রার্থিতা বাতিলের চেষ্টা করে উল্টো তাকে জাতীয়ভাবে পরিচিত করে তোলা হয়। এছাড়া শিবিরের ছাত্র-ছাত্রীদেরকে ‘রাজাকারের বাচ্চা’, ‘পাকিস্তানি’ বা ‘ইসলামবিদ্বেষী’ ট্রলের মাধ্যমে আক্রমণ করায় সাধারণ শিক্ষার্থীরা ক্ষুব্ধ হয় এবং ভোটের মাধ্যমে তার জবাব দিয়েছে।

 

তিনি আরও বলেন, বিএনপি ও তাদের ছাত্র সংগঠনের আচরণও ছাত্রসমাজকে ভিন্ন বার্তা দিতে উদ্বুদ্ধ করেছে। “ছাত্ররা ভেবেছে ২৪-এর গণঅভ্যুত্থানের পর মেধাভিত্তিক পরিচ্ছন্ন রাজনীতি আসবে। কিন্তু সেটি না দেখে তারা প্রতিবাদের ভাষা হিসেবে শিবিরকে ভোট দিয়েছে।”

ফুয়াদের মতে, ডাকসু নির্বাচনের এই ফলাফলকে মৌলবাদ বা দক্ষিণপন্থীদের উত্থান হিসেবে দেখার সুযোগ নেই। বরং এটিই আগামী দিনের রাজনীতির নতুন গ্রামার। রাজনৈতিক দলগুলো যদি এই বার্তাকে ধরতে না পারে, তবে জাতীয় রাজনীতি সংকটে পড়বে বলে তিনি সতর্ক করেন।

নিজ নির্বাচনী এলাকা সম্পর্কেও ফুয়াদ সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন। তিনি জানান, স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় এবং যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎ করে বরিশাল-৩ (মুলাদী-বাবুগঞ্জ) এলাকায় রাস্তা, কালভার্ট, গভীর নলকূপ, মসজিদ-মন্দির সংস্কারসহ বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পের জন্য সহযোগিতা চেয়েছেন। ডিসেম্বর মাসে মীরগঞ্জ ব্রিজের কাজ শুরু হবে বলেও আশ্বাস পাওয়া গেছে।