
অভিযোগ, পাল্টা অভিযোগ, ভোট ও ফল বর্জনের মধ্যদিয়ে শেষ হয়েছে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদ (জাকসু) নির্বাচন। ৩৩ বছর পর হওয়া এই নির্বাচনে অভিযোগ উঠেছে নানা অনিয়মের। ছিল নানা বিশৃঙ্খলা। ভোটারের আঙ্গুলে কালি ব্যবহার না করা, কালি ব্যবহার করা হলেও তা উঠে যাওয়ার অভিযোগ করেন শিক্ষার্থীরা। জালিয়াতির নানা অভিযোগ এনে ভোট বর্জন করেছে ছাত্রদলসহ ৫টি প্যানেল। ভোট চলাকালে অনিয়মের অভিযোগ এনে ভোট বর্জনের ঘোষণা দেয় ছাত্রদল সমর্থিত ‘সাদী-বৈশাখী-সাজ্জাদ পরিষদ’ প্যানেল, ছাত্র ইউনিয়নের একাংশের ‘সংশপ্তক পর্ষদ’। ভোট শেষে সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রান্সপোর্ট এলাকায় ফল বর্জনের ঘোষণা দেয় ছাত্রদল সমর্থিত সমপ্রীতির ঐক্য, সংশপ্তক পর্ষদ, স্বতন্ত্র অঙ্গীকার পরিষদ, সজীব আহমেদ জেনিচের ফ্রন্টের আংশিক প্যানেল। ভোট ও ফল বর্জনের বাইরে ছিল শিবিরের সমন্বিত শিক্ষার্থী জোট, বাগছাস সমর্থিত শিক্ষার্থী ঐক্য ফোরাম ও স্বতন্ত্র শিক্ষার্থী সম্মিলন। নিশ্চয়ই কোনো উদ্দেশ্য ছিল।
এদিকে অতিরিক্ত ব্যালট পেপার ছাপানোর ঘটনাও ঘটে। নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা যায়, মোট প্রার্থীর অতিরিক্ত ১০ শতাংশ ব্যালট পেপার ছাপানো হয়। অতিরিক্ত ব্যালট পেপার ছাপানোর ফলে নির্বাচনে ভোট জালিয়াতি বা কারচুপি হওয়ার সম্ভাবনা হতে পারে বলেও দাবি জানান প্রার্থীরা। কিন্তু নির্বাচন কমিশন থেকে অতিরিক্ত ব্যালট পেপার ছাপানোর ব্যাপারে ব্যাখ্যা দেয়া হয়। তারা মনে করে ব্যালট পেপার নষ্ট হতে পারে সেজন্য তারা অতিরিক্ত হিসেবে ১০ শতাংশ ব্যালট পেপার ছাপিয়েছে ।