
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে রীতিমতো ভরাডুবি হয়েছে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল সমর্থিত প্যানেলের। বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় সংসদে কোনো পদেই জিততে পারেনি। আর হল সংসদের শীর্ষ ৫৪ পদের মধ্যে শুধু একটিতে জিতেছেন ছাত্রদলের প্রার্থী।
পরিবর্তিত রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে ডাকসুর মতো নির্বাচনে ছাত্রদলের এমন করুণ পরিণতি নিয়ে বেশ অস্বস্তিতে হাইকমান্ড থেকে দলটির সব পর্যায়ের নেতাকর্মী। দলের ভেতরে-বাইরে চলছে চুলচেরা বিশ্লেষণ। সমালোচনা, অভিযোগের পাশাপাশি ঘুরে দাঁড়াতে করণীয় নিয়ে পরামর্শও দিচ্ছেন কেউ কেউ।
তবে ডাকসু নিয়ে কথা বলার জন্য যোগাযোগ করলে ছাত্রদল বর্তমান কমিটি কিংবা বিএনপির ছাত্রবিষয়ক সম্পাদক কথা বলতে রাজি হচ্ছেন না। ছাত্রদলের বিশ্ববিদ্যালয় ও কেন্দ্রীয় কমিটির দায়িত্বশীলরা গণমাধ্যম এড়িয়ে চলছেন। কয়েকজন কথা বললেও তারা নাম প্রকাশ করতে চাননি।
দীর্ঘ সময় ক্যাম্পাসে অনুপস্থিতি, জামায়াতপন্থি প্রশাসন মোকাবিলা করতে না পারা, অনুপ্রবেশকারীদের ঠেকাতে ব্যর্থতা, সাংগঠনিক স্থবিরতা ও অনলাইনে পরিকল্পিত প্রচারণায় দুর্বলতা—সব মিলিয়েই এ বিপর্যয় ঘটেছে।- ছাত্রদলের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সভাপতি রাশেদ ইকবাল খান
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ছাত্রদলের কয়েকজন বর্তমানে পদধারী নেতা, কয়েকজন সাবেক নেতা ও রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে এ বিপর্যয়ের বেশ কিছু সম্ভাব্য কারণ।
তারা বলছেন, ১৭ বছর ধরে ক্যাম্পাসে ছাত্রদল সক্রিয় উপস্থিতি দেখাতে পারেনি। তবে ছাত্রশিবির কিংবা ছাত্রলীগের পরিচয়ে অনেকে অবস্থান করেছে। শেখ হাসিনার পতনের পর বিশ্ববিদ্যালয় রাজনীতি নিষিদ্ধ করার দাবিতে আন্দোলন চললেও সেখানে শিবির সাংগঠনিক তৎপরতা চালিয়ে যেতে সক্ষম হয়, ছাত্রদল তা পারেনি।
এছাড়া ‘ছাত্রলীগ যা করছে, ছাত্রদলও তাই করবে’—এমন একটি ন্যারেটিভ ছাত্রদলের বিরুদ্ধে তৈরি করা হয়েছে এবং সেটিও এবার নির্বাচনে প্রভাব ফেলেছে। এই ন্যারেটিভকে ভুল প্রমাণেও ব্যর্থ দলের নেতাকর্মীরা।
ছাত্রদল নেতাদের সঙ্গে কথা হয়েছে। তারা বলেছে—ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও নির্বাচনের সঙ্গে জড়িত অনেকে জামায়াতের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত, আবার আওয়ামীপন্থি শিক্ষকও আছেন। ছাত্রলীগও প্রভাব খাটিয়েছে। শিক্ষক-প্রশাসকরা সবাই মিলে কাজ করেছেন। তাই ছাত্রদলের বিপর্যয় হয়েছে।- ডাকসুর সাবেক জিএস বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন
আবার কিছু নেতা বলছেন, ‘এই পরিস্থিতিতে আসলে ছাত্রদলের নির্বাচনে অংশ নেওয়া উচিত হয়নি। ভুল সিদ্ধান্ত নিয়েছেন যারা নির্বাচনে যাওয়ার পক্ষে ছিলেন, তাদের সাংগঠনিক শাস্তি হওয়া উচিত।’
অভ্যন্তরীণ গ্রুপিং ও দ্বন্দ্ব
ছাত্রদলের ভরাডুবির অন্যতম কারণ হিসেবে উঠে এসেছে দীর্ঘদিনের অভ্যন্তরীণ গ্রুপিং। শুরু থেকেই কেন্দ্র থেকে প্রার্থী বাছাইয়ের ক্ষেত্রে দলীয় আনুগত্যের চেয়ে ব্যক্তিস্বার্থ ও গ্রুপিংকে প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করে আসছিলেন নেতাকর্মীরা। এতে সাধারণ কর্মীদের মধ্যে হতাশা ছড়িয়ে পড়ে এবং ভোটের মাঠে ঐক্য গড়ে ওঠেনি।
ছাত্রদলের যে গ্রুপটি প্রার্থী বাছাইয়ের ক্ষেত্রে সুবিধাজনক অবস্থায় ছিল, সেই গ্রুপটি ছাড়া বাকি কোনো গ্রুপের নেতাকর্মীই তাদের ভোট দেয়নি বলে অভিযোগ রয়েছে। যদিও বহিষ্কার, দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গসহ নানান কারণে অনলাইন-অফলাইনে প্রচারণা চালিয়েছেন তারা।
একটা গণঅভ্যুত্থানে ছাত্রদলও স্টেকহোল্ডার ছিল, শিবিরও স্টেকহোল্ডার ছিল। ছাত্রদল তার প্রচারণার মধ্য দিয়ে ওই ধারণাটা ছাত্রদের মধ্যে দিতে পারেনি যে তারা ডিফারেন্ট হবে। ছাত্রলীগ থেকে তারা ভিন্নতর হবে- এই বোধটা আসলে ছাত্রদের মধ্যে ছড়াতে পারেনি।- ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. সাব্বির আহমেদ
প্রার্থী নির্বাচনে ‘ভুল কৌশল’
বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে অনেক বেশি কানেক্টেড নেতাদের নেতৃত্বে না এনে প্রার্থী বাছাই করায় দলের মধ্যে নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া তৈরি হয়। শিক্ষার্থীদের চোখে তাদের প্রার্থীরা হয়ে ওঠে কৃত্রিমভাবে চাপিয়ে দেওয়া নেতা, যারা ছাত্রদের কণ্ঠস্বর নয়।
শিক্ষার্থীদের ‘আতঙ্ক’
ডাকসুর নির্বাচনপূর্ব সময়ে ক্যাম্পাসজুড়ে শিক্ষার্থীদের মূল ভয়ের বিষয় ছিল হলে আবারও গেস্টরুম নির্যাতন, গণরুম, অপরাজনৈতিক কালচার ফিরে আসতে পারে। অধিকাংশ নারী শিক্ষার্থীর ধারণা ছিল, নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ ও ছাত্রদল একই ধাঁচের সংগঠন। কিন্তু শিক্ষার্থীদের সেসব ভয় ও ধারণা কাটাতে কোনো পরিকল্পনা ছিল না কেন্দ্রীয় ও বিশ্ববিদ্যালয় নেতাদের। উল্টো প্রচারণাকালীন বহিরাগত নিয়ে আসা, অনেক প্রার্থীর বাজে আচরণ, বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোট চাওয়া, স্থানীয় বিএনপি নেতাদের দিয়ে ভোটার ও শিক্ষার্থীদের অভিভাবকদের কাছে ভোট চাওয়ার মতো বিষয়গুলো এই ভয় ও শঙ্কা আরও বাড়িয়ে দেয়।
দীর্ঘ সময় ক্যাম্পাসে অনুপস্থিতি
ছাত্রদল দীর্ঘ সময় ক্যাম্পাস-হলে অনুপস্থিত ছিল। ছাত্রলীগ, প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর দমন-পীড়নের ফলে ক্যাম্পাসে ছাত্রদলের সক্রিয় সাংগঠনিক উপস্থিতি ভেঙে পড়ে বহু আগেই। জুলাই গণঅভ্যুত্থানের পর এক বছর সময় পেলেও সেটি কাটিয়ে উঠতে পারেনি সংগঠনটি। এতে শিক্ষার্থীদের খুব কাছাকাছি যেতে পারেনি তারা। যার প্রভাব পড়েছে ভোটে।
সাংগঠনিক সিদ্ধান্তহীনতা
শুরুর দিকে দলটি ডাকসু নির্বাচনে যাওয়ার পক্ষেই ছিল না। পরে নির্বাচনে যাওয়ার ঘোষণা দিলেও প্রার্থী ঘোষণা করে মনোনয়ন ফরম জমা দেওয়ার শেষ দিনে। এ কারণে নেতাকর্মীরা জানতো না তারা আসলে কে কোন পদে, হল সংসদে নাকি কেন্দ্রীয় সংসদে, নাকি আদৌ মনোনয়ন পাবেন না- সেসব নিয়ে সংশয়ে ছিলেন। সেই সংশয়ের কারণে সেভাবে প্রচার-প্রচারণা চালানোও সম্ভব হয়নি।
দেশব্যাপী অব্যাহত ‘দখল-চাঁদাবাজি’
দেশব্যাপী বিএনপি-যুবদল-ছাত্রদলসহ সংগঠনটির অব্যাহত চাঁদাবাজি, দখলসহ বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের প্রভাব পড়েছে ডাকসু নির্বাচনেও। ক্ষমতায় আসার আগেই একটি রাজনৈতিক দলের বেপরোয়া ভাব স্বাভাবিকভাবে নেয়নি শিক্ষার্থীরা। প্রচারে বারবার আশ্বাস দিলেও আস্থা রাখতে পারেননি ভোটাররা।
শিক্ষার্থীদের ‘পালস’ বুঝতে না পারা
শিক্ষার্থীরা বলছেন, গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় সবাই সবার সমালোচনা করবে, এটাই স্বাভাবিক হওয়ার কথা। কিন্তু গত এক বছরে যেই ছাত্রদলের সমালোচনা করেছে তাকেই সংগঠনটির নেতাকর্মীরা নানাভাবে ট্যাগিং, ফ্রেমিং করার চেষ্টা করেছে। সেটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কিংবা অফলাইনে। নির্বাচনী প্রচারণার সময়ও এমন ঘটনা দেখা গেছে। যেটা নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে শিক্ষার্থীদের মধ্যে।
প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন
ছাত্রদলের অভিযোগ, ডাকসু নির্বাচনের সঙ্গে জড়িত বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের অনেকেই জামায়াতপন্থি। একই সঙ্গে আওয়ামীপন্থি শিক্ষক ও ছাত্রলীগ সমর্থকরা হলে প্রভাব বিস্তার করেছে। ভোট গণনায়ও সূক্ষ্ম কারচুপি হয়েছে। ভোট গণনার মেশিন ব্যবহার করে ফলাফল প্রভাবিত করা হয়েছে।
যা বলছেন দলীয় নেতা ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক
ডাকসু নির্বাচনের পর ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব এবং সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দিন নাছির গণমাধ্যম এড়িয়ে চলছেন। বিএনপির ছাত্রবিষয়ক সম্পাদক রকিবুল ইসলাম বকুল গণমাধ্যমকে জানান, নির্বাচনের ডাটা নিয়ে নেতারা বসেছেন। এরপর মন্তব্য জানাবেন।
ডাকসুর গত নির্বাচনে ছাত্রদলের ভিপি পদপ্রার্থী মোস্তাফিজুর রহমান জাগো নিউজকে বলেন, ‘আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছি। তবে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষপাতমূলক ভূমিকা ও সূক্ষ্ম কারচুপির কারণেই এমন ফল হয়েছে। তাছাড়া বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন নিয়মবহির্ভূতভাবে এমফিলে ভর্তির বিশেষ সার্কুলার দিয়ে অনেক ক্ষেত্রে ক্রাইটেরিয়া লঙ্ঘন করে প্রশাসনের আনুকূল্যে পাওয়া একটি বিশেষ সংগঠনের লোকদের ভর্তির সুযোগ সৃষ্টি করে ভোটের ফলাফল প্রভাবিত করেছে।’
ছাত্রদলের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সভাপতি রাশেদ ইকবাল খান বলেন, ‘দীর্ঘ সময় ক্যাম্পাসে অনুপস্থিতি, জামায়াতপন্থি প্রশাসন মোকাবিলা করতে না পারা, অনুপ্রবেশকারীদের ঠেকাতে ব্যর্থতা, সাংগঠনিক স্থবিরতা ও অনলাইনে পরিকল্পিত প্রচারণায় দুর্বলতা—সব মিলিয়েই এ বিপর্যয় ঘটেছে।’
ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমিনুল হক মনে করেন, ‘ভুল-ত্রুটি চিহ্নিত করে সংশোধন করতে হবে। সাধারণ মানুষের আস্থা অর্জন করতে না পারলে সংগঠন টিকে থাকবে না।’
ডাকসুর সাবেক জিএস বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন জাগো নিউজকে বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন আছে। আমাদের প্যানেল ১২টি অভিযোগ জমা দিয়েছিল। ভোটে ইঞ্জিনিয়ারিং হয়েছে—এটা খতিয়ে দেখা জরুরি।’
তিনি বলেন, ‘ছাত্রদল নেতাদের সঙ্গে কথা হয়েছে। তারা বলেছে—ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও নির্বাচনের সঙ্গে জড়িত অনেকে জামায়াতের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত, আবার আওয়ামীপন্থি শিক্ষকও আছেন। ছাত্রলীগও প্রভাব খাটিয়েছে। শিক্ষক-প্রশাসকরা সবাই মিলে কাজ করেছেন। তাই ছাত্রদলের বিপর্যয় হয়েছে।’
এছাড়া ফলাফলের পর বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ ডাকসুতে ‘ঐক্যবদ্ধ শিক্ষার্থী জোট’-এর বিজয়ীদের অভিনন্দন জানালেও, মির্জা আব্বাস অভিযোগ করেন, ‘আওয়ামী লীগের সঙ্গে আঁতাত করে ছাত্রশিবির এই নির্বাচনে জয় পেয়েছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে জামায়াতের এত ভোট কোথা থেকে এলো—আমার তো হিসাব মেলে না। এটা কারচুপি নয়, বরং দেশে গভীর ষড়যন্ত্রের আভাস।’
ডাকসু নির্বাচনে ছাত্রদলের এ বিপর্যয়ের কারণ জানতে চাইলে রাজনৈতিক বিশ্লেষক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. সাব্বির আহমেদ জাগো নিউজকে বলেন, ‘একটা গণঅভ্যুত্থানে ছাত্রদলও স্টেকহোল্ডার ছিল, শিবিরও স্টেকহোল্ডার ছিল। ছাত্রদল তার প্রচারণার মধ্য দিয়ে ওই ধারণাটা ছাত্রদের মধ্যে দিতে পারেনি যে তারা ডিফারেন্ট হবে। ছাত্রলীগ থেকে তারা ভিন্নতর হবে- এই বোধটা আসলে ছাত্রদের মধ্যে ছড়াতে পারেনি। এটাই হলো ছাত্রদের ছাত্রদলের ব্যর্থতার সবচেয়ে বড় কারণ।’
তিনি বলেন, ‘তাদের দলীয় গ্রুপিংয়ের বিষয়টি তো অবশ্যই আছে। আপনি যদি ছাত্র-ছাত্রীদের সঙ্গে কথা বলেন তাহলে দেখবেন যে, ওই ইমেজটা ছাত্রদল তৈরি করতে পারেনি যে তারা আলাদা হবে। যে কারণে সাধারণ ভোটাররা মনে করছে প্যাটার্ন তো একই হবে, এদের দিয়ে লাভ নেই। শিবিরের এ বিজয়ের পেছনে তাদের একটা দীর্ঘ পরিকল্পনা, সমন্বয় ছিল বলে মনে হয়। সে কারণেই তারা প্রত্যেকটা জায়গায় ছাত্রদলের চেয়ে এগিয়ে ছিল। পরিকল্পনার জায়গায়, স্ট্র্যাটেজির জায়গায়। এমনকি তারা যেসব প্রার্থী মনোনয়ন দিয়েছে, তারা ছাত্রদলের চেয়ে বেটার ছিল।’
ছাত্রদলের সামনের দিনের রাজনীতি কেমন হওয়া উচিত জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘ছাত্রদের মাইন্ডসেটটা ভালোভাবে বোঝার চেষ্টা করতে হবে। এখনকার রাজনীতি, গণঅভ্যুত্থান পরবর্তীসময়ে ছাত্ররা কী চায়, তাদের সেই চাওয়া-পাওয়া বোঝার চেষ্টা করতে হবে।’