Image description

চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলা ছাত্রশিবিরের সভাপতি আলী হোসেন (২৫) ও আনোয়ারা সরকারি কলেজ শাখা ছাত্রশিবিরের সভাপতি মো. মিসকাতুল ইসলামের (২৪) ওপর হামলার অভিযোগ উঠেছে কলেজ ছাত্রদলের নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে। বুধবার (১০ সেপ্টেম্বর) বেলা দেড়টার দিকে উপজেলার জয়কালী বাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।  

এ ঘটনায় আহত মিসকাতুল ইসলাম বাদী হয়ে কলেজ ছাত্রদলের ৫ জন নেতাকর্মীর নাম উল্লেখ করে এবং আরও ১০-১২ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। 

অভিযুক্তরা হলেন— হেটিখাইন গ্রামের তারেক জিয়া (২৫), ছাতরী ইউনিয়নের মোহাম্মদ শাওন (২২), মোহাম্মদ মাহিন (২৩), মো. সিফাত (২২) এবং পরৈকোড়া ইউনিয়নের মো. জাবেদ (২২)।

অভিযোগপত্রে বলা হয়, কলেজ ছাত্রদলের সভাপতি বুরহান উদ্দিন ও আহ্বায়ক জুয়েলের ডাকে সাড়া দিতে অস্বীকৃতি জানানোয় অভিযুক্তরা ছাত্রশিবিরের এই দুই নেতাকে আটকায়। একপর্যায়ে তারা দলবদ্ধ হয়ে দেশীয় অস্ত্র, কাঠের বাটাম ও লোহার রড দিয়ে হামলা চালায়। পরে জয়কালী বাজার থেকে টেনে-হিঁচড়ে কলেজ ক্যাম্পাসে নিয়ে গিয়ে প্রকাশ্যে হত্যার হুমকি দেয়। স্থানীয়রা এগিয়ে এলে তারা সরে যায়। 

এ বিষয়ে মিসকাতুল ইসলাম বলেন, আমরা এক ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীকে ভর্তি করিয়ে কলেজ থেকে বের হওয়ার পথে ছাত্রদলের এক সদস্য আমাদের ডাকে। আমরা অস্বীকৃতি জানালে বাকবিতণ্ডা হয়। পরে তারা অতর্কিত হামলা চালায়। এতে আমি ও উপজেলা সভাপতি আলী হোসেন আহত হই। 

হামলার নিন্দা জানিয়ে ছাত্রশিবিরের জেলা পশ্চিম শাখার সেক্রেটারি ফরমানুর রহমান জাহিন বলেন, ৫ আগস্টের পর তরুণরা নতুন ধারার রাজনীতির স্বপ্ন দেখছে। কিন্তু ছাত্রদল এখনো শক্তি প্রয়োগের রাজনীতি করছে। আজ আমাদের দুই নেতার উপর হামলা তারই প্রমাণ।

তবে অভিযোগ অস্বীকার করে আনোয়ারা সরকারি কলেজ ছাত্রদল সভাপতি মো. বুরহান উদ্দিন বলেন, এমন কোনো ঘটনা ঘটেনি। ভর্তি কার্যক্রম শেষে সবাই বাড়ি ফিরে গেছে। প্রয়োজনে সিসিটিভি ফুটেজ দেখলেই বিষয়টি পরিষ্কার হবে।

এ বিষয়ে আনোয়ারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মনির হোসেন বলেন, হামলার ঘটনায় লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।