
দুদক কমিশনার (তদন্ত) মিঞা মুহাম্মদ আলি আকবার আজিজী বলেছেন, ‘প্রজাতন্ত্রের কর্মচারীরা মাঝে মাঝে এসি রুমে বসে ভুলে যান সেবাগ্রহীতা যারা, তারাই আসলে রাষ্ট্রের মালিক। জনগণের ট্যাক্সের টাকায়ই আমাদের বেতন হয়।’
তিনি বলেন, ‘প্রয়োজনের তুলনায় বেশি প্রাপ্তির আশায় মানুষকে ফাঁদে ফেলে যারা দুর্নীতি করে, তাদের লজ্জা পাওয়া উচিত। দুর্নীতির বিরুদ্ধে প্রতিটি সেবাগ্রহীতাকে সচেতন হতে হবে এবং দুদককে সঠিক তথ্য জানাতে হবে।’
সোমবার (৮ সেপ্টেম্বর) দিনব্যাপী শেরপুর জেলা শিল্পকলা একাডেমির হলরুমে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) আয়োজিত গণশুনানিতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
‘দুর্নীতির বিরুদ্ধে তারুণ্যের ঐক্য গড়বে আগামীর শুদ্ধতা’ প্রতিপাদ্যে শেরপুর ও জামালপুর জেলার সমন্বিত দুদক কার্যালয়ের উদ্যোগে এ গণশুনানি অনুষ্ঠিত হয়। জেলা প্রশাসক তরফদার মাহমুদুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন দুদক ময়মনসিংহ বিভাগের পরিচালক মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম ভূঁইয়া, শেরপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান ভূঞা প্রমুখ।
গণশুনানিতে জেলার সরকারি, আধা সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত, বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ও ব্যাংক-আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সেবা নিতে গিয়ে ঘুষ, দুর্নীতি ও হয়রানির শিকার সেবাগ্রহীতারা তাদের অভিযোগ তুলে ধরেন। সংশ্লিষ্ট দপ্তরের প্রধানরা অভিযোগের জবাব দেন এবং তাৎক্ষণিক সমাধান দেওয়ার পাশাপাশি স্বল্প সময়ের মধ্যে নিষ্পত্তির আশ্বাস দেন।
এ সময় দুদক কমিশনার সংশ্লিষ্ট অভিযোগের বিষয়ে তদন্তের নির্দেশ দেন এবং দুর্নীতি দমন কমিশনের পক্ষ থেকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেন।
গণশুনানিতে শেরপুরের ২৮টি সরকারি ও বেসরকারি দপ্তরের বিরুদ্ধে মোট ১২৮টি অভিযোগ উত্থাপিত হয়। এসব অভিযোগ আমলে নিয়ে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা গ্রহণ ও দ্রুত নিষ্পত্তির প্রতিশ্রুতি দেয় সংশ্লিষ্ট দপ্তরের কর্তৃপক্ষ।