Image description

বাস্তবায়নে। এ অবস্থায় বাস্তবায়ন পদ্ধতি সনদে রাখা হচ্ছে না বলে জানিয়েছে কমিশন সংশ্লিষ্ট সূত্র। 

কমিশন সূত্রে জানা যায়, বাস্তবায়ন প্রক্রিয়ার বিকল্পগুলো সুপারিশ আকারে সরকারকে জানানো হবে। এরপর সরকারই নির্ধারণ করবেন কোন পদ্ধতিতে সনদ বাস্তবায়ন করবে।

কমিশন সূত্রে জানা গেছে, চূড়ান্ত সনদ দুই খণ্ডে প্রকাশিত হতে পারে।

প্রথম খণ্ডে থাকবে যেসব সংস্কারে পূর্ণ ঐকমত্য আছে এবং যা প্রশাসনিক আদেশ বা অধ্যাদেশে অবিলম্বে কার্যকর করা সম্ভব।

দ্বিতীয় খণ্ডে থাকবে সাংবিধানিক সংশোধনের প্রয়োজনীয় প্রস্তাব এবং যেগুলোতে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে মতপার্থক্য রয়েছে বা যেসব ক্ষেত্রে নোট অব ডিসেন্ট রয়েছে।

৮৪টি সংস্কার প্রস্তাবের মধ্যে ৭৩টিতে রাজনৈতিক দলগুলোর ঐকমত্য হয়েছে। বাকি ১১টি মৌলিক সংস্কারে ঐকমত্য হয়নি। এর মধ্যে ৯টিতে বিএনপি’র আপত্তি রয়েছে।

জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহ-সভাপতি অধ্যাপক ড. আলী রীয়াজ বলেছেন, প্রতিটি দলের পরামর্শ কমিশন অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা করেছে। সব ক্ষেত্রে আইনি ও রাজনৈতিক দিক, ভালো ও মন্দ দিক খতিয়ে দেখা হচ্ছে। কমিশন চায় তাদের পরামর্শ যেন আইনি, সাংবিধানিক ও রাজনৈতিকভাবে গ্রহণযোগ্য হয়। বিশেষজ্ঞদের কাছ থেকে খসড়া পাওয়া গেলে আগামী মঙ্গলবার জুলাই সনদ ও বাস্তবায়নের পদ্ধতি নিয়ে কমিশনের সুপারিশ রাজনৈতিক দলগুলোকে দেয়া যাবে বলে আশা করছেন তারা।

বিশেষজ্ঞ মতামত পর্যালোচনায় ঐকমত্য কমিশনের বৈঠক: জুলাই জাতীয় সনদ-২০২৫ বাস্তবায়নের উপায় সম্পর্কে প্রাপ্ত বিশেষজ্ঞদের মতামত পর্যালোচনায় বৈঠক করেছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। সোমবার জাতীয় সংসদ ভবনস্থ কমিশন কার্যালয়ের সভাকক্ষে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৈঠকে গত রোববারের সভায় বিশেষজ্ঞদের পক্ষ থেকে প্রাপ্ত মতামত ও পরামর্শসমূহ পর্যালোচনা করা হয়েছে। একইসঙ্গে এ বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর দেয়া মতামতও বিশ্লেষণ করা হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আনুষ্ঠানিকভাবে আলোচনা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কমিশন। বৈঠকে কমিশনের সহ-সভাপতি অধ্যাপক ড. আলী রীয়াজ, সদস্য ড. বদিউল আলম মজুমদার, বিচারপতি মো. এমদাদুল হক, ড. ইফতেখারুজ্জামান, সফর রাজ হোসেন ও ড. মো. আইয়ুব মিয়া উপস্থিত ছিলেন। এ ছাড়া, ঐকমত্য গঠন প্রক্রিয়ায় যুক্ত প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দারও বৈঠকে অংশ নেন।