
বৈদেশিক মুদ্রা বাজার স্থিতিশীল রাখতে গত দেড় মাসে বাজার থেকে ১১২ কোটি ডলার কিনেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের দাবি, এ উদ্যোগের ফলে রপ্তানি ও রেমিট্যান্স প্রবাহ ধরে রাখা সম্ভব হয়েছে।
আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) সুপারিশে গত মে মাস থেকে ডলার বাজারকে বাজারমুখী করা হয়। এতে টাকার বিপরীতে ডলারের দর ১২৮ টাকার উপরে উঠে গেলেও পরবর্তীতে স্থিতিশীল হয়ে ১২২ টাকার ঘরে নেমে আসে। তবে গত তিন মাস ধরে টাকার বিপরীতে ডলারের দর আবারও কমতে থাকায় রপ্তানিকারক ও প্রবাসীদের স্বার্থে বাজারে হস্তক্ষেপ করে ডলার কেনার সিদ্ধান্ত নেয় বাংলাদেশ ব্যাংক।
গত ১৩ জুলাই প্রথমবারের মতো বাজার থেকে ১৭ কোটি ডলারের বেশি কেনা হয়। সর্বশেষ ৪ সেপ্টেম্বর কেনা হয়েছে সাড়ে ১৩ কোটি ডলার। ফলে দেড় মাসে মোট ক্রয় দাঁড়িয়েছে ১১২ কোটি ডলার।
বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র জানান, অতিরিক্ত ডলারের সরবরাহ কমিয়ে আনার জন্য এ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, “ডলারের দাম যাতে অস্বাভাবিকভাবে না কমে যায়, সেজন্য বাড়তি ডলার আমরা বাংলাদেশ ব্যাংকের কবজায় আনছি।”
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, চলতি অর্থবছরের প্রথম দুই মাসে রপ্তানি ও রেমিট্যান্স মিলে দেশে এসেছে ১,৩৬০ কোটি ডলার যা মাসপ্রতি গড়ে ৭০০ কোটির বেশি। বিপরীতে আমদানি ও বিদেশি ঋণ পরিশোধে খরচ হয়েছে সাড়ে ৫০০ কোটির মতো। এতে বড় অঙ্কের উদ্বৃত্ত তৈরি হয়েছে। পাশাপাশি বিদেশে চিকিৎসা, ভ্রমণ ও শিক্ষা খরচও উল্লেখযোগ্য হারে কমেছে।
এ অবস্থায় বাজার থেকে ডলার কেনাকে ইতিবাচক পদক্ষেপ হিসেবে দেখছেন অগ্রণী ব্যাংকের চেয়ারম্যান। তার মতে, “বাংলাদেশ ব্যাংক কোনো প্রভাব খাটাচ্ছে না। ওপেন মার্কেটে উদ্বৃত্ত ডলার আসলে প্রতিযোগিতামূলক দামে তারা তা কিনছে।”
বাংলাদেশ ব্যাংকের হিসাব অনুযায়ী, গত এক বছরে দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ প্রায় ২৬ শতাংশ বেড়েছে।