
দেশের মিনি পার্লামেন্ট বলা হয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচনকে। সব উৎকণ্ঠা আর আয়োজন শেষে নির্বাচিত ছাত্র প্রতিনিধি বেছে নিতে এবার অপেক্ষা ভোট উৎসবের। মঙ্গলবার (৯ সেপ্টেম্বর) সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত চলবে ভোটগ্রহণ। সুষ্ঠুভাবে নির্বাচন সম্পন্ন করতে ভোটকেন্দ্র, বুথ ও নিরাপত্তাসহ সব ধরনের প্রস্তুতি শেষ করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
৩৮তম ডাকসু নির্বাচনে ৮টি ভোটকেন্দ্রে থাকবে ৮ শতাধিক বুথ। মোট ৩৯ হাজার ৭৭৫ জন ভোটার ডাকসুর ২৮টি পদে প্রতিদ্বন্দ্বী ৪৭১ জন প্রার্থীর মধ্য থেকে নতুন নেতৃত্ব নির্বাচিত করবেন।
এদিকে ভোটের আগের দিন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সাইবার হামলার অভিযোগ তুলেছেন ছাত্রদল ও শিবির মনোনীত প্রার্থীরা। তাদের আশঙ্কা, এর পেছনে বিশৃঙ্খলার পাঁয়তারা থাকতে পারে।
ডাকসু ভিপি প্রার্থী ছাত্রদল নেতা আবিদুল ইসলাম খান বলেন, ‘সুস্থ রাজনৈতিক সংস্কৃতির চর্চা করতে গিয়ে আমরা সবসময় এক অদৃশ্য শক্তির বিরুদ্ধে ক্যাম্পাসে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছি। কিছু মানুষ রাজনৈতিকভাবে মোকাবেলা করতে ব্যর্থ হয়ে আমাদের ওপর সাইবার আক্রমণ চালিয়েছে, এমনকি আমাদের আইডি ডিসেবল করে দিয়েছে।’
স্বতন্ত্র শিক্ষার্থী ঐক্য প্যানেলের ভিপি প্রার্থী উমামা ফাতেমা বলেন, ‘ভুয়া আইডি কার্ডের মাধ্যমে বহিরাগতদের প্রবেশ করানো হচ্ছে। পাশাপাশি আমাদের এখানে লাইন জ্যামিং করে ভোটগ্রহণ দীর্ঘায়িত করারও চেষ্টা হতে পারে বলে আমরা শুনেছি।’
এর আগে সোমবার আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, গোয়েন্দা সংস্থা ও রিটার্নিং কর্মকর্তারা পরিদর্শন করেন নির্বাচনকেন্দ্রগুলো। ক্যাম্পাস ঘুরে দেখেন ডিএমপি কমিশনারও। এদিন সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠক শেষে উপাচার্য অধ্যাপক নিয়াজ আহমেদ খান জানান, নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা অবনতির কোনো শঙ্কা নেই।
ভোট গণনা শেষে আজ রাতেই ঘোষণা করা হবে চূড়ান্ত ফলাফল।