Image description
 

সেনাবাহিনী ও বিডিআরের মতো দুটি সুশৃঙ্খল বাহিনীকে ধ্বংস করার জন্য পিলখানা হত্যাকাণ্ড ঘটানো হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন কারা-নির্যাতিত বিডিআর পরিবারের সদস্যরা। 

মঙ্গলবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে বিডিআর কল্যাণ পরিষদের সহযোগিতায় ‘কারা-নির্যাতিত বিডিআর পরিবার’ আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন বক্তারা।

সংবাদ সম্মেলনে বিডিআর পরিবারের সদস্যরা বলেন, ২০০৯ সালে তৎকালীন দুটি সুশৃঙ্খল বাহিনীকে ধ্বংস করার পাশাপাশি খুনি হাসিনার অবৈধ ক্ষমতাকে সুসংহত করার উদ্দেশ্য ছিল এই হত্যাকাণ্ড। এটা ছিল দেশি-বিদেশি চক্রান্তের নীল নকশার সফল বাস্তবায়ন। কিন্তু হাসিনা এই হত্যাকাণ্ডকে অত্যন্ত চতুরতার সঙ্গে বিডিআর বিদ্রোহ বলে প্রতিষ্ঠিত করতে চেয়েছেন। এরই পরিপ্রেক্ষিতে প্রকৃত সত্যকে আড়াল করার উদ্দেশ্যে তদন্তের নামে হেফাজতে ৪৭ জন নিরীহ বিডিআর জওয়ানকে পিটিয়ে মেরে ফেলা হয়েছে। যে সব বিডিআর জওয়ান প্রকৃত সত্য প্রকাশ করতে যাচ্ছিল তাদেরকেই তদন্তের নামে মেরে ফেলা হয় এবং এই খুনি হাসিনার হাত থেকে পিলখানার পেশ ইমামও রক্ষা পাননি।

তারা বলেন, হাসিনার পদলেহনকারী তদন্ত কর্মকর্তা আব্দুল কাহহার আকন্দ অত্যন্ত চতুরতার সঙ্গে সত্য প্রকাশ করে দিতে পারে এবং মিথ্যা সাক্ষী দিতে রাজি না হওয়া ৮৫০ জন জওয়ানকে মিথ্যা অভিযোগের ভিত্তিতে জেলে পাঠিয়েছেন। এই প্রহসনমূলক বিচার ব্যবস্থার মাধ্যমে ১৫২ জন নিরীহ বিডিআর জওয়ানকে ফাঁসি এবং ১৮২ জনকে যাবজ্জীবন ও প্রায় ৩০০ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দেওয়া হয়েছে। অথচ একটি সাজার পেছনেও সরকার পক্ষ যৌক্তিকভাবে কোনো প্রকার সাক্ষ্যপ্রমাণ হাজির করতে পারেনি।

 

আলোকচিত্রী ও সাংবাদিক শহিদুল আলম বলেন, এসব নিরীহ মানুষগুলোকে এই নিপীড়ক সরকার নিজের স্বার্থে কুরবানির খাসি বানিয়েছে। এখন যেভাবে চলছে, সেটি যদি চলতে থাকলে তাদের রক্ষা করতে পারব না। এখন সময় এসেছে তাদের পাশে দাঁড়ানোর।

বিডিআর পরিবারের সদস্য আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, বিচার কার্যক্রমের নাটক সুচারুভাবে সম্পন্ন করার পুরস্কার হিসাবে পিপি অ্যাডভোকেট আনিসুল হককে টেকনোক্র্যাট কোটায় আইনমন্ত্রী আর সরকারি পিপি মো. মোশারফ হোসেন কাজলকে দুদকের পিপি, দায়রা জজ মোহাম্মদ জহিরুল হককে দুদকের কমিশনার এবং দায়রা জজ ড. আক্তারুজ্জামানকে হাইকোর্ট ডিভিশনের বিচারপতি হিসাবে নিয়োগ দেওয়া হয়।