Image description
 

বিএনপি আগামীতে জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়ে সরকার গঠন করলে জনআকাঙ্ক্ষা পূরণে অঙ্গীকারবদ্ধ থাকবে বলে জানিয়েছেন দলটির চেয়ারপারসনের অন্যতম উপদেষ্টা ও সাবেক এমপি হারুনুর রশিদ।তিনি বলেছেন, অনেকেই বলে- নির্বাচন হলে বিএনপি ক্ষমতায় যেতে পারবে না। বিএনপি ক্ষমতায় যাবে না তো কে যাবে? গত ৪০ বছর ধরে বাংলাদেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য যুদ্ধ করে যাচ্ছে বিএনপি। এ দেশের জনগণ যখনই সুযোগ পেয়েছে, ভোট দিয়ে বিএনপিকে ক্ষমতায় বসিয়েছে। আবারও দেশের জনগণ ভোট দেওয়ার সুযোগ পেলে বিএনপিকেই ক্ষমতায় বসাবে।

মঙ্গলবার দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে ‘তৃণমূল নাগরিক আন্দোলন’ এর উদ্যোগে অবিলম্বে জাতীয় নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণার দাবিতে এক সমাবেশে হারুনুর রশিদ এসব কথা বলেন।তিনি বলেন, জুলাই-আগস্ট এর আন্দোলনের একমাত্র দাবি ছিল শেখ হাসিনার পতন। শেখ হাসিনার পতন হয়েছে। অন্তর্বর্তী সরকার দেশ চালাচ্ছে। তাদের আমরা বিভিন্নভাবে সহযোগিতা করছি। কিন্তু এখন দেখতে পাচ্ছি, বিভিন্ন ষড়যন্ত্রের ডানা মেলে ধরা হচ্ছে। জাতীয় নির্বাচন নিয়ে সরকার থেকেও সুনির্দিষ্ট কোনো দিন-তারিখ বলা হচ্ছে না।

বিএনপি চেয়ারপারসনের এই উপদেষ্টা বলেন, আমরা দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে চাই। দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে চাই। দেশবিরোধী সকল ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে জাতিকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। যারা ছাত্র-জনতাকে হত্যা করেছে, বাংলাদেশ থেকে লুটপাট করেছে- তাদের বিচার চলছে। পরবর্তী সময়ে নির্বাচিত যে সরকার আসবে- তারাও তাদের বিচার করবে। তাই এই বিচার কার্যক্রম নিয়ে নির্বাচনকে বিলম্বিত করার কোনো সুযোগ নেই।

তৃণমূল নাগরিক আন্দোলনের সভাপতি এবং জাতীয়তাবাদী কৃষক দলের সহ-সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান লিটনের সভাপতিত্বে এবং কৃষক দলের ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প বিষয়ক সম্পাদক আবদুল্লাহ আল নাঈমের পরিচালনায় এতে আরও বক্তব্য রাখেন বিএনপির শিশু বিষয়ক সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ সিদ্দিকী, নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু নাসের মুহাম্মদ রহমাতুল্লাহ, কৃষক দলের সহ-সভাপতি আ ন ম খলিলুর রহমান (ভিপি ইব্রাহীম), তাঁতী দলের কাজী মনিরুজ্জামান মনির, মৎস্যজীবী দলের ইসমাইল হোসেন সিরাজী, পল্টন থানা বিএনপির ফিরোজ আলম পাটোয়ারী প্রমুখ।

সভাপতির বক্তব্যে মফিজুর রহমান লিটন বলেন, ফ্যাসিবাদের পতন হলেও তার দোসরদের ষড়যন্ত্র থেমে নেই। অন্তর্বর্তী সরকার এবং দেশকে অস্থিতিশীল করতে তারা নানা ষড়যন্ত্র-চক্রান্ত করছে। এসব ষড়যন্ত্র মোকাবিলায় নির্বাচিত সরকারের বিকল্প নেই। তাছাড়া গত ১৫-১৬ বছর ধরে ভোটাধিকার বঞ্চিত জনগণও পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে এখন ভোট দিতে উন্মুখ হয়ে রয়েছে। তাই সরকারকে বলব, কালক্ষেপণ না করে দ্রুত নির্বাচন দিন।