Image description
সরকারি হাসপাতালের আইসিইউ ‘সোনার হরিণ’, সারা দেশে কতটা সচল সেই তথ্যও নেই স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে

দেড় মাস সংযুক্ত আরব আমিরাতের একটি হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন প্রবাসী আলী মিজানুর রহমান (৪৫)। এ সময় চিকিৎসকরা তার ফুসফুস ও মূত্রনালিসহ শরীরে তিনটি অস্ত্রোপচার করেন। চিকিৎসার ব্যয় মেটাতে না পারায় বুধবার (৩ সেপ্টেম্বর) তাকে দেশে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। বিমানবন্দরে নামতেই স্বজনরা তার পেট ও মূত্রনালিতে দুটি ক্যাথেটার ব্যাগ পরানো দেখতে পান। শোয়া থেকে বসার মতো শক্তি ছিল না তার। চিকিৎসকের দেওয়া ‘মেডিকেল কেস সামারি’তে লিখে দেওয়া হয়েছে আইসিইউ (ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিট) সাপোর্ট প্রয়োজন। তাকে তাৎক্ষণিকভাবে আইসিইউ সংবলিত অ্যাম্বুলেন্সে রাজধানীর শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। কিন্তু সেখানে আইসিইউ ফাঁকা নেই। ঢাকা মেডিকেল ও মুগদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে যোগাযোগ করলে সেখানেও খালি নেই বলে জানানো হয়। পরে স্বজনরা তাকে বেসরকারি ধানমন্ডি জেনারেল হাসপাতালের আইসিইউতে ভর্তি করেন। আলী মিজানুর রহমানের স্ত্রী মরিয়ম বেগম যুগান্তরকে বলেন, আমার স্বামী প্রবাসে ১৬ বছর অল্প বেতনে শ্রমিকের কাজ করেছেন। রেমিট্যান্স পাঠিয়ে দেশের উন্নয়নে অবদান রেখেছেন। এখন অসুস্থ হয়ে ফিরে সরকারি হাসপাতালে একটি আইসিইউ পাননি। যেখানেই গেছি সবার একই কথা-দরখাস্ত জমা দেন, আইসিইউতে চিকিৎসাধীন কেউ সুস্থ হলে বা মারা গেলে তবেই আপনার রোগীর সিরিয়াল মিলতে পারে। অর্থাৎ রোগীর মৃত্যুর অপেক্ষায় থাকতে হবে আরেক মুমূর্ষ রোগীকে। তাই নিরুপায় হয়ে বেসরকারিতে ভর্তি করিয়েছি। এখানে চিকিৎসার খরচ জোগানোর সামর্থ্য নেই।

সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের অ্যানেসথেশিয়া, আইসিইউ অ্যান্ড পেইন মেডিসিন বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা. মো. রেহান উদ্দিন খান যুগান্তরকে বলেন, ৮৫০ শয্যার হাসপাতালে মাত্র ২০টা আইসিইউ। সপ্তাহদুয়েক আগে ১০টি এইচডিইউ (হাই-ডিপেনডেন্সি ইউনিট) চালু করা হয়েছে। আইসিইউর জন্য দৈনিক গড়ে ২৫টি আবেদন জমা পড়ে। গড়ে দুজনকে ভর্তি নেওয়া সম্ভব হয়। তিনি জানান, হাসপাতালের ১৩টা ওটিতে (অপারেশন থিয়েটার) দিনে গড়ে সাতটি অস্ত্রোপচার হয়। আইসিইউতে ভর্তির ক্ষেত্রে হাসপাতালের রোগীদের প্রাধান্য দেওয়া হয়।

ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালসংশ্লিষ্টরা জানান, পুরোনো ভবনে ৩২টি জেনারেল আইসিইউ, ১৮টি এইচডিইউ ও ১০টা গাইনি আইইসিইউ রয়েছে। শয্যা পেতে প্রতিদিন গড়ে ৪০ থেকে ৭০টা আবেদন জমা পড়ে। দৈনিক গড়ে ৩ থেকে ৭ জন সিট পান। এছাড়া ভবন-২-তে ১৪টি মেডিসিন আইসিইউ এবং ডিএমসি বার্ন ইউনিটে ১০ বেডের ক্রিটিক্যাল আইসিইউ ও ১০টি বার্ন আইসিইউর সবগুলোই সারা বছর রোগীতে পূর্ণ থাকে।

জাতীয় ক্যানসার গবেষণা ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের চিকিৎসকরা জানান, সেখানে শুধু ভর্তি রোগীদের জন্য ৭টা আইসিইউ আছে। ফলে বাইরের রোগীদের কোনো সেবা দেওয়া হয় না।

সরকার করোনা মহামারিকালে কোভিড-১৯ ইমার্জেন্সি রেসপন্স অ্যান্ড প্যানডেমিক প্রিপারডনেস প্রকল্পের অধীনে মহাখালীতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পাশেই সরকারি সংক্রামক ব্যাধি হাসপাতালে পাঁচ শয্যার আইসিইউ চালু করে। আরও পাঁচটি শয্যা চালুর জন্য প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি আনা হয়। দুজন অ্যানেসথেশিওলিস্ট, একজন ক্রিটিক্যাল কেয়ার এক্সপার্ট ও সাতজন কনসালটেন্ট পদায়ন করে। বর্তমানে ইউনিটটি পরিচালনায় দশজনের মধ্যে ক্রিটিক্যাল কেয়ারের একজন ছাড়া কোনো চিকিৎসক নেই। চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে সব আইসিইউ শয্যা অকেজো।

হাসপাতালটির সুপারিনডেনন্টে (তত্ত্বাবধায়ক) ডা. আরিফুল বাসার যুগান্তরকে বলেন, ১৯৭২ সালে প্রতিষ্ঠিত হাসপাতালটির অর্গানোগ্রামের জনবল দিয়ে এখনো চলছে। আইসিইউর জনবল চাওয়া হয়েছে। চিকিৎসক পদায়ন করলে ফের ইউনিটটি চালু করা সম্ভব।

মুগদা জেনারেল হাসপাতালের আইসিইউ বিভাগের প্রধান ডা. আনিসুর রহমান বলেন, হাসপাতালটিতে ৪৩টি আইসিইউ শয্যার মধ্যে ৩৬টি সচল। বাকি সাতটা জনবলের অভাবে বন্ধ। এর বাইরে ১৬টা এইচডিইউ ও কিছুসংখ্যক এনআইসিইউ আছে। আইসিইউ পেতে প্রতিদিনই বেশকিছু আবেদন জমা পড়ে।

এদিকে সারা দেশে সরকারি-বেসরকারিভাবে স্থাপিত মোট কতটি আইসিইউ রয়েছে তার সঠিক তথ্য নেই স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কাছে। অধিদপ্তরের হাসপাতাল ও ক্লিনিক শাখাসংশ্লিষ্টরা যুগান্তরকে জানিয়েছেন, আইসিইউ ও এইচডিইউর তথ্য অধিদপ্তরের কোভিড বিজ্ঞপ্তিতে দেওয়া হয়। এই সংখ্যাকেই মোট শয্যা ধরা হয়। বিজ্ঞপ্তিতে ১ হাজার ১৮৩টি আইসিইউ ও ৬৯৫টি এইচডিইউ শয্যার সংখ্যা উল্লেখ রয়েছে।

অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, ঢাকা বিভাগে ৮০০টি আইসিইউ ও ৫৫১টি এইচডিইউ রয়েছে। এর মধ্যে ঢাকা মহানগরীর ১৫টি সরকারি হাসপাতালে ৩৬৭টি আইসিইউ ও ৪১২টি এইচডিইউ শয্যা রয়েছে। চট্টগ্রাম বিভাগের ১৩টি হাসপাতালে ১৩০টি আইসিইউ ও ২৭টি এইচডিইউ শয্যা আছে। যার মধ্যে চট্টগ্রামের চারটি হাসপাতালে ৩৩টি আইসিইউ ও ১৬টি এইচডিইউ রয়েছে। ময়মনসিংহ বিভাগের মোট ৫টি হাসপাতালে ২২টি আইসিইউ ও ১২টি এইচডিইউ শয্যা আছে। রাজশাহী বিভাগের ১০টি হাসপাতালে ৩৮টি আইসিইউ ও ১৫টি এইচডিইউ আছে। রংপুর বিভাগের ১১টি হাসপাতালের মধ্যে রংপুর ডেডিকেটেড করোনা হাসপাতালে ৮টি, দিনাজপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ১৬টিসহ ২৪টি আইসিইউ রয়েছে। তবে এইচডিইউ নেই এ বিভাগে। খুলনা বিভাগের ১০টি হাসপাতালে ৮৬টি আইসিইউ ও ৭৯টি এইচডিইউ আছে। বরিশাল বিভাগে ৭টি হাসপাতালে ৪১টি এবং সিলেট বিভাগের ৭টি হাসপাতালে ২২টি আইসিইউ রয়েছে। এই দুই বিভাগের সরকারি হাসপাতালে কোনো এইচডিইউ শয্যা নেই।

সারা দেশের বেসরকারি হাসপাতালগুলোর মধ্যে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর শুধু ঢাকা, চট্টগ্রাম ও রংপুর বিভাগের মহানগরীতে অবস্থিত বেসরকারি হাসপাতালের আইসিইউর তথ্য দিতে পেরেছে। এর মধ্যে ঢাকা মহানগরীর ৩২টি হাসপাতালে ৩৬১টি আইসিইউ ও ১০৮টি এইচডিইউ, চট্টগ্রাম মহানগরীর ৬টি হাসপাতালে ৩১টি আইসিইউ রয়েছে। রংপুর মহানগরীতে মাত্র দুটি বেসরকারি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ২০টি আইসিইউর তথ্য নিশ্চিত করেছে।

এ বিষয়ে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের বিশেষ সহকারী অধ্যাপক ডা. সায়েদুর রহমান বলেন, দীর্ঘদিনের পরিকল্পনাহীনতার কারণে আইসিইউ জনবল তৈরিতে গুরুত্ব দেওয়া হয়নি। আইসিইউর বেসিক ম্যানপাওয়ার ‘ক্রিটিক্যাল কেয়ার বিশেষজ্ঞ’ তৈরি হয়নি। অ্যানেসথেশিওলিস্টরাই এটি পরিচালনা করছেন। এটি থাকার কথা ক্রিটিক্যাল কেয়ার বিশেষজ্ঞদের হাতে। তিনি বলেন, কোনো প্রতিষ্ঠানে গেলে দেখা যায়, সার্জারি ব্রাঞ্চ আছে ৮ থেকে ১০টা। অ্যানেসথেশিওলজি বিভাগ মাত্র একটা। অ্যানেসথেশিওলিস্টের এতই সংকট যে তারা আইসিইউ চালানোর অবস্থায় নেই, অস্ত্রোপচারের সাপোর্ট দিতেই সময় যায়। এটির তাৎক্ষণিক সমাধানও নেই। তবে আশা করছি আগামীতে অ্যানেসথেশিয়া বিষয়ে মেডিকেল শিক্ষার্থী পড়তে আসবে। এজন্য অ্যানেসথেশিওলজিসহ ৮টি বেসিক সাবজেক্টের শিক্ষকদের বেতন ৫০ শতাংশ বাড়ানো হয়েছে। পর্যায়েক্রমে ৭০ শতাংশে উন্নীত করা হবে। তখন জনবল সংকট দূর হবে।

সরকারি হাসপাতালের আইসিইউতে একজন রোগীর দৈনিক গড়ে ৫ থেকে সর্বোচ্চ ১০ হাজার টাকার ওষুধপথ্য লাগে। অন্যদিকে বেসরকারিতে আইসিইউ খরচ রোগীর শারীরিক অবস্থা অনুযায়ী চিকিৎসা প্রদানের ওপর নির্ভর করে। বারডেমের ইব্রাহিম কার্ডিয়াক হাসপাতালসংশ্লিষ্টরা জানান, সেখানে চিকিৎসাধীন একজন রোগীর শুধু আইসিইউ শয্যাবাবদ দৈনিক ভাড়া ১২ হাজার ৫০০ টাকা। এর বাইরে রোগীর শারীরিক অবস্থা বিবেচনায় ভেন্টিলেশন সাপোর্ট, অক্সিজেন সাপোর্ট, প্রয়োজনীয় ওষুধ ও অন্যান্য সরঞ্জাম লাগলে সেগুলোর খরচ পৃথকভাবে ধরা হয়। সবমিলে হাসপাতালটিতে ভর্তি একজন আইসিইউর রোগীর চিকিৎসায় দৈনিক ৩০ থেকে ৭০ হাজার টাকা পর্যন্ত খরচ হয়। এ বিষয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক (হাসপাতাল ও ক্লিনিকসমূহ) আবু আহসান মোহাম্মদ মঈনুল হোসেন যুগান্তরকে বলেন, সরকারি হাসপাতালেও ব্যয় বেশি। কিন্তু এখানে সরকার ভর্তুকি দেয়। তাই রোগীর ওপর খরচের চাপ কম থাকে। ফলে আইসিইউর চাহিদা বেশি। শয্যা সংকট দূর করতে আইসিইউ অবকাঠামো বাড়ানো হবে। তবে বেসরকারিতে রোগীদের সব সেবা কিনে নিতে হয়। তারপরও বলব, বেসরকারিতে অযৌক্তিক বিল ধরা হয়। এক্ষেত্রে হাসপাতাল মালিকদের মানসিকতার পরিবর্তন করতে হবে।

 

 

 
 
 
 
 
 
 

 

রাজধানীর কাকরাইলে জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে শুক্রবার সন্ধ্যায় ফের ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে। হামলাকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে সাউন্ড গ্রেনেড, টিয়ারশেল ও জলকামান নিক্ষেপ করেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। এ সময় হামলাকারীদের সঙ্গে তাদের ধাওয়া-পালটাধাওয়া হয়।

জানা যায়, শুক্রবার বিকালে শাহবাগ মোড়ে সংহতি সমাবেশের আয়োজন করে গণঅধিকার পরিষদ। সমাবেশ শেষ করে সন্ধ্যা পৌনে ৭টার দিকে জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে যান দলটির কর্মী-সমর্থকরা। পুলিশের ব্যারিকেড উপেক্ষা করে তারা দলবল নিয়ে জাতীয় পার্টির কার্যালয়ে প্রবেশ করেন। এসময় কার্যালয়ের ভেতরে ভাঙচুর করার পর নিচতলায় আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে রমনা থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) সাজ্জাদ হোসেন বলেন, হঠাৎ একদল লোক জাতীয় পার্টির কার্যালয়ে হামলা চালায়। তারা ভেতরের কিছু আসবাবপত্র ভাঙচুর করে এবং আগুন ধরিয়ে দেয়। খবর পেয়ে পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নেভায় ও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

অগ্নিসংযোগের পর রাত পৌনে ৮টার দিকে কার্যালয়ের সামনে থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করেন জাতীয় পার্টির নেতাকর্মীরা। কার্যালয়ের সামনে থেকে শুরু হয়ে রমনা থানার সামনে গিয়ে মিছিলটি আবার ফিরে আসে।

জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য রেজাউল করিম ভূঁইয়া অভিযোগ করেন, গণঅধিকার পরিষদের ব্যানারসহ মিছিল নিয়ে জাতীয় পার্টির কার্যালয়ে আগুন দিয়েছে। তারা জাতীয় পার্টি নিষিদ্ধের দাবিতে স্লোগান দিতে

দিতে আগুন দেয়। তিনি বলেন, জাতীয় পার্টি নিষিদ্ধ চায়, কেন আমরা নির্বাচনে অংশ নিয়েছি এই কারণে? আসলে বাংলাদেশের রাজনীতিতে জাতীয় পার্টি একটা অবস্থানে দাঁড়িয়েছে, আগামীতে সুষ্ঠু নির্বাচন হলে আমরা বিরোধী দল হব। এই কারণে নির্বাচন পেছাতে এগুলো করা হচ্ছে।

জাতীয় পার্টির ঢাকা মহানগর দক্ষিণের যুগ্ম আহ্বায়ক মাসুদ চৌধুরী গণমাধ্যমকে বলেন, সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা থেকে কার্যালয়ে পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.)-এর শনিবারের কর্মসূচি নিয়ে আলোচনা করছিলাম। প্রায় শতাধিক নেতাকর্মী ভেতরে-বাইরে ছিলেন। সাড়ে ৭টার দিকে দুই-আড়াইশজনের একটি মিছিল এসে দলীয় কার্যালয়ে হামলা চালায়। নিচতলায় আগুন ধরিয়ে দেয় এবং ব্যানার ও ফেস্টুন ছিঁড়ে ফেলে। নিচতলা থেকে দোতলায় ওঠার চেষ্টা করে। ঘটনার সময় পুলিশ বাধা দিলেও তারা উপেক্ষা করে হামলা চালায়।

হামলার বিষয়ে জানতে চাইলে গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান বলেন, আমরা শাহবাগে সংহতি সমাবেশে ছিলাম। জাতীয় পার্টির কার্যালয়ে হামলার ঘটনাটি আমরা শুনেছি। তাদের তো অনেকের সঙ্গে শত্রুতা। কারা হামলা করেছে সে ব্যাপারে আমরা কিছু জানি না।

৩০ আগস্ট শুক্রবার সন্ধ্যায় কাকরাইলে জাতীয় পার্টি ও গণঅধিকার পরিষদের নেতাকর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। একপর্যায়ে গণঅধিকারের নেতাকর্মীরা তাদের দলীয় কার্যালয়ের সামনে অবস্থান নেন। সেখানে গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলার প্রস্তুতি নেওয়ার সময় নুরুল হক নুরসহ দলটির নেতাকর্মীদের লাঠিচার্জ করেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। এ ঘটনায় নুরসহ গণধিকার পরিষদের নেতাকর্মীরা আহত হন। পরদিন শনিবার ফের জাতীয় পার্টির কার্যালয়ে হামলা করেন গণঅধিকার পরিষদের নেতাকর্মীরা। সে সময় আগুন দেওয়ার চেষ্টা করেন তারা।

 

 

 
 
মহানবীর (সা.) জীবনাদর্শে বিশ্বে শান্তি নিশ্চিত হতে পারে: ড. ইউনূস

প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস মহানবীর (সা.) জীবনাদর্শে বিশ্বে শান্তি নিশ্চিত হতে পারে: ড. ইউনূস

প্রার্থীই নেই ৬৩ পদে, বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হতে যাচ্ছেন শতাধিক

জাকসু নির্বাচন প্রার্থীই নেই ৬৩ পদে, বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হতে যাচ্ছেন শতাধিক

মুন্সীগঞ্জে বিষাক্ত মদ খেয়ে ৪ জনের মৃত্যু

মুন্সীগঞ্জে বিষাক্ত মদ খেয়ে ৪ জনের মৃত্যু

আমেরিকায় কুরআন পোড়ানোর প্রতিবাদে কচুয়ায় বিক্ষোভ

আমেরিকায় কুরআন পোড়ানোর প্রতিবাদে কচুয়ায় বিক্ষোভ

আজ পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.)

আজ পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.)

ছুটির দিনেও হলে হলে জমজমাট প্রচার

ডাকসু ও হল সংসদ নির্বাচন ছুটির দিনেও হলে হলে জমজমাট প্রচার

গাজীপুরে বাস চাপায় পুলিশ কর্মকর্তার মৃত্যু

গাজীপুরে বাস চাপায় পুলিশ কর্মকর্তার মৃত্যু

জাতীয় পার্টির কার্যালয়ে হামলা-অগ্নিসংযোগ, গুলিবিদ্ধ ২

জাতীয় পার্টির কার্যালয়ে হামলা-অগ্নিসংযোগ, গুলিবিদ্ধ ২

নুরা পাগলের কবর অবমাননার ঘটনায় সরকারের তীব্র নিন্দা

নুরা পাগলের কবর অবমাননার ঘটনায় সরকারের তীব্র নিন্দা

হানিফ ফ্লাইওভারে বাস-সিএনজি সংঘর্ষে প্রাণ গেল ২ জনের

হানিফ ফ্লাইওভারে বাস-সিএনজি সংঘর্ষে প্রাণ গেল ২ জনের

সব খবর

 
 
 
 

 

বৈধ নথিপত্র ছাড়া বসবাসের অভিযোগে যুক্তরাষ্ট্র থেকে আরও ৩০ বাংলাদেশিকে ফেরত পাঠানো হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাত সোয়া ১২টার দিকে ঢাকার হযরত শাহজালাল (রহ.) আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে তাদের বহনকারী একটি উড়োজাহাজ অবতরণ করে।

ইমিগ্রেশনের এক দায়িত্বশীল কর্মকর্তা বলেন, ফেরত আসা অভিবাসীদের মধ্যে ২৯ জন পুরুষ ও একজন নারী রয়েছেন। তারা হাতে হাতকড়া, পায়ে শেকল বাঁধা অবস্থায় ছিল। যুক্তরাষ্ট্র থেকে একটি উড়োজাহাজ বিমানবন্দরে অবতরণ করে। ৩ ঘণ্টা বিমানটি রানওয়েতে ছিল। রাত ২টার দিকে আরোহীদের হাতকড়া ও শিকল খুলে দেওয়া হয়। পরে তাদের কঠোর নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে বিমানবন্দরের অ্যারাইভাল এরিয়ায় নেওয়া হয়। এ সময় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একটি বিশেষ টিম, কয়েকটি গোয়েন্দা সংস্থার বিশেষ টিম এবং যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। বেসরকারি একটি সংস্থার পক্ষ থেকে তাদের বাড়ি পৌঁছানোর জন্য অর্থ সহায়তা দেওয়া হয়েছে।

ডোনাল্ড ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হিসাবে দ্বিতীয় মেয়াদে দায়িত্ব নেওয়ার পর বৈধ নথিপত্র ছাড়া অবস্থানরত অভিবাসীদের বিরুদ্ধে অভিযান আরও জোরদার হয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশসহ বিভিন্ন দেশের নাগরিকদের ফেরত পাঠানো হচ্ছে। এ নিয়ে এখন পর্যন্ত ১৮৭ জন বাংলাদেশিকে দেশে ফেরত পাঠানো হলো বলে এসবি সূত্রে জানা গেছে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে বেসরকারি একটি সংস্থার কর্মকর্তা বলেন, উন্নত জীবনের স্বপ্ন নিয়ে মানুষ অভিবাসী হতে চাইবেন, এটি স্বাভাবিক প্রক্রিয়া। একই সঙ্গে গন্তব্য দেশ চাইলে তাদের ফিরিয়েও দিতে পারে। তবে ঘণ্টার পর ঘণ্টা হাতকড়া পরিয়ে ফেরত পাঠানোর প্রক্রিয়াটি অত্যন্ত দুঃখজনক। আশা করি, যুক্তরাষ্ট্র আগামীতে প্রত্যাবাসন করলে মানবিক দিকগুলো গুরুত্ব সহকারে দেখবে।

মার্কিন আইন অনুযায়ী, বৈধ কাগজপত্র ছাড়া যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করলে তাদের ফেরত পাঠানো হয়। যাদের ফেরত পাঠানো হয়েছে সেখানে অনেকের বিরুদ্ধে মামলা আছে। এসব বাংলাদেশি মেক্সিকোসহ ল্যাটিন আমেরিকার বিভিন্ন দেশ হয়ে বাংলাদেশি দালালদের মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রে অবৈধভাবে প্রবেশ করে। বাংলাদেশিরা জনপ্রতি ৩০ থেকে ৮০ লাখ টাকা পর্যন্ত দালালদের পেছনে খরচ করেন। বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানান, যুক্তরাষ্ট্রে আইনি লড়াইয়ে হেরে যাওয়া ব্যক্তিদেরই দেশে ফেরত পাঠানো হচ্ছে। যাদেরকে ফেরত পাঠানো হচ্ছে, তাদের বিষয়ে আগেই পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে জানানো হচ্ছে।

 

 

 
 
মহানবীর (সা.) জীবনাদর্শে বিশ্বে শান্তি নিশ্চিত হতে পারে: ড. ইউনূস

প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস মহানবীর (সা.) জীবনাদর্শে বিশ্বে শান্তি নিশ্চিত হতে পারে: ড. ইউনূস

প্রার্থীই নেই ৬৩ পদে, বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হতে যাচ্ছেন শতাধিক

জাকসু নির্বাচন প্রার্থীই নেই ৬৩ পদে, বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হতে যাচ্ছেন শতাধিক

মুন্সীগঞ্জে বিষাক্ত মদ খেয়ে ৪ জনের মৃত্যু

মুন্সীগঞ্জে বিষাক্ত মদ খেয়ে ৪ জনের মৃত্যু

আমেরিকায় কুরআন পোড়ানোর প্রতিবাদে কচুয়ায় বিক্ষোভ

আমেরিকায় কুরআন পোড়ানোর প্রতিবাদে কচুয়ায় বিক্ষোভ

আজ পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.)

আজ পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.)

ছুটির দিনেও হলে হলে জমজমাট প্রচার

ডাকসু ও হল সংসদ নির্বাচন ছুটির দিনেও হলে হলে জমজমাট প্রচার

গাজীপুরে বাস চাপায় পুলিশ কর্মকর্তার মৃত্যু

গাজীপুরে বাস চাপায় পুলিশ কর্মকর্তার মৃত্যু

জাতীয় পার্টির কার্যালয়ে হামলা-অগ্নিসংযোগ, গুলিবিদ্ধ ২

জাতীয় পার্টির কার্যালয়ে হামলা-অগ্নিসংযোগ, গুলিবিদ্ধ ২

নুরা পাগলের কবর অবমাননার ঘটনায় সরকারের তীব্র নিন্দা

নুরা পাগলের কবর অবমাননার ঘটনায় সরকারের তীব্র নিন্দা

হানিফ ফ্লাইওভারে বাস-সিএনজি সংঘর্ষে প্রাণ গেল ২ জনের

হানিফ ফ্লাইওভারে বাস-সিএনজি সংঘর্ষে প্রাণ গেল ২ জনের

সব খবর

 
 
 
 

 

আজ ১২ রবিউল আউয়াল। পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.)। মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর জন্ম ও ওফাতের দিন। আরবের মক্কা নগরের বিখ্যাত কুরাইশ বংশে ৫৭০ খ্রিষ্টাব্দের এই দিনে মহানবী (সা.) জন্মগ্রহণ করেন। নবীজীর বাবা আবদুল্লাহ ও মা আমিনা। জন্মের আগেই রাসুল (সা.) তাঁর বাবাকে হারান এবং ছয় বছর বয়সে তিনি মাতৃহারা হন। ৬৩২ খ্রিষ্টাব্দের একইদিনে ৬৩ বছর বয়সে তিনি ওফাত লাভ করেন। মুসলমানরা দিনটিকে পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী বা সিরাতুন্নবী (সা.) হিসাবে পালন করেন। ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা পবিত্র কোরআন তিলাওয়াত, বেশি বেশি দরুদ পাঠ, দান-খয়রাতসহ নফল ইবাদতের মধ্য দিয়ে দিনটি অতিবাহিত করবেন। অনেকে এই দিনে নফল রোজা রাখেন।

দিবসটি উপলক্ষ্যে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন এবং প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বাণী দিয়েছেন। এছাড়া বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানও দিনটি উপলক্ষ্যে বাণী দিয়েছেন। সারা দেশে যথাযথ ধর্মীয় মর্যাদা ও ভাবগাম্ভীর্য পরিবেশে দিনটি উদযাপিত হবে। বাংলাদেশে আজ শনিবার রাষ্ট্রীয় ছুটি। সরকারি, আধাসরকারি, স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান ও সশস্ত্র বাহিনীর সব স্থাপনায় জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হবে। জাতীয় পতাকা ও ‘কালিমা তায়্যিবা’ অঙ্কিত ব্যানার ঢাকা মহানগরীর গুরুত্বপূর্ণ সড়কদ্বীপ ও লাইট পোস্টে টানানো হয়েছে।

রাষ্ট্রপতি তার বাণীতে বলেন, মহানবী (সা.) একটি সাম্য ও ন্যায়ভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠার পাশাপাশি সবার ন্যায্য অধিকার ও মর্যাদা প্রতিষ্ঠা এবং মুসলমানদের দায়িত্ব ও কর্তব্য বিষয়ে উম্মতদের দিকনির্দেশনা দিয়েছেন। মহান আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন এবং ইহকাল ও পরকালীন কল্যাণ নিশ্চিতে হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর প্রতিটি কথা, কর্ম ও জীবনাদর্শ সব মুসলমানের জন্য অবশ্য অনুসরণীয়।

পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) সবার মাঝে বয়ে আনুক অপার শান্তি ও সমৃদ্ধি এই কামনা করে প্রধান উপদেষ্টা তার বাণীতে বলেছেন, সমগ্র মুসলিম উম্মাহর ঐক্য আরও সুসংহত হোক। মহানবীর (সা.) সুমহান জীবনাদর্শ লালন ও অনুসরণের মাধ্যমে আমাদের ইহকালীন ও পরকালীন জীবনের সার্বিক কল্যাণ ও মুক্তি সুনিশ্চিত হোক-এ কামনা করি।

তারেক রহমান তার বাণীতে বলেন, এই দিনটি মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর দুনিয়াতে আগমনের আনন্দ ও তাঁর জীবন থেকে শিক্ষাগ্রহণের মাধ্যমে উদযাপন করা হয়। যিনি মানবজাতিকে পরিশোধন করেন এবং সর্বশ্রেষ্ঠ গ্রন্থ কুরআন ও কাজের কথা শিক্ষা দেন। তিনি আরও বলেন, আমরা সবাই যেন নিজেদের জীবনে ‘মহানবী (সা.)-এর শিক্ষা, আদর্শ ও ত্যাগের মহিমার প্রতিফলন ঘটাতে পারি।’

পক্ষকালব্যাপী নানা কর্মসূচি : দিনটি উদযাপন উপলক্ষ্যে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে পক্ষকালব্যাপী নানা কর্মসূচির আয়োজন করা হয়েছে। শুক্রবার বাদ মাগরিব বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের পূর্ব সাহানে অনুষ্ঠান শুরু হয়। ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব একেএম আফতাব হোসেন প্রামাণিক প্রধান অতিথি হিসেবে অনুষ্ঠানমালার উদ্বোধন করেন। ১৯ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বাদ মাগরিব বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের পূর্ব সাহানে ওয়াজ মাহফিল অনুষ্ঠিত হবে। এতে দেশবরেণ্য আলেম-ওলামা বয়ান করবেন।

পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) উপলক্ষে দেশবরেণ্য আলেম-ওলামা, ইসলামি স্কলার, লেখক, কবি ও গবেষকদের লেখাসমৃদ্ধ একটি আকর্ষণীয় সিরাত স্মরণিকা প্রকাশ করা হয়েছে। এছাড়া জাতীয় মসজিদের পূর্ব ও দক্ষিণ সাহানে মাসব্যাপী ইসলামি বইমেলার আয়োজন করা হয়েছে। এতে মিসর, তুরস্ক, পাকিস্তান ও লেবাননের পুস্তক প্রকাশনা সংস্থা অংশ নেবে। এবারের মেলা বৃহত্তর পরিসরে আয়োজন করা হয়েছে। এতে প্রায় ২০০টি স্টল স্থান পাচ্ছে। মেলা শুরু হবে ১৩ সেপ্টেম্বর থেকে। মেলা প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত চলবে।

ঢাকা মহানগরীর স্কুল, কলেজ, আলিয়া ও কওমি মাদরাসা এবং সরকারি ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীদের জন্য ইসলামি সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা আয়োজন করা হয়েছে। ১৫ ও ১৬ সেপ্টেম্বর ইসলামিক ফাউন্ডেশন আগারগাঁও কার্যালয়ে এ প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হবে। ১৮ সেপ্টেম্বর বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করা হবে। জাতীয় মসজিদের পূর্ব সাহানে ১১ সেপ্টেম্বর বাদ মাগরিব কিরাত মাহফিল, ১৭ সেপ্টেম্বর বাদ মাগরিব হামদ-নাত ও ১৮ সেপ্টেম্বর বাদ আসর রাসুল (সা.)-এর শানে স্বরচিত কবিতা পাঠের আসর আয়োজন করা হবে। এতে দেশের প্রখ্যাত কারি, কবি ও শিল্পীরা অংশ নেবেন।

এছাড়া ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সব বিভাগীয় ও জেলা কার্যালয়, ৫৬টি ইসলামিক মিশন ও ৮টি ইমাম প্রশিক্ষণ একাডেমিতে মহানবী (সা.)-এর জীবন ও কর্ম সম্পর্কিত ওয়াজ মাহফিল এবং ইসলামি সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতার আয়োজনসহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালিত হবে।

ব্যাপক নিরাপত্তার পরিকল্পনা : এদিকে পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) শান্তিপূর্ণভাবে পালনের লক্ষ্যে সরকার সারা দেশে সার্বিক নিরাপত্তাব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। শনিবার দিবসটি উপলক্ষ্যে রাজধানী ঢাকা ছাড়াও চট্টগ্রাম, সিলেট, খুলনা ও রাজশাহীর মতো প্রধান শহরগুলোতে সুষ্ঠু ও নিরাপদে জমায়েত ও শোভাযাত্রা নিশ্চিতে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে সর্বোচ্চ সতর্কতা বজায় রাখার নির্দেশ দিয়েছেন। বিশেষত বৃহৎ মসজিদ ও ধর্মীয় স্থানে, যেখানে বড় সমাবেশের সম্ভাবনা রয়েছে সেখানে কঠোর নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বলেছেন। ইতোমধ্যে সংবেদনশীল স্থানগুলোতে নজরদারি ও টহল জোরদার করা হয়েছে। অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি এড়াতে কার্যকর জনসমাগম ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করা হয়েছে। একইসঙ্গে ভক্ত-অনুরাগীদের নির্বিঘ্ন চলাচল নিশ্চিত করতে যথাযথ ট্র্যাফিক নিয়ন্ত্রণের ওপরও জোর দেওয়া হয়েছে।

 

 

 
 
মহানবীর (সা.) জীবনাদর্শে বিশ্বে শান্তি নিশ্চিত হতে পারে: ড. ইউনূস

প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস মহানবীর (সা.) জীবনাদর্শে বিশ্বে শান্তি নিশ্চিত হতে পারে: ড. ইউনূস

প্রার্থীই নেই ৬৩ পদে, বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হতে যাচ্ছেন শতাধিক

জাকসু নির্বাচন প্রার্থীই নেই ৬৩ পদে, বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হতে যাচ্ছেন শতাধিক

মুন্সীগঞ্জে বিষাক্ত মদ খেয়ে ৪ জনের মৃত্যু

মুন্সীগঞ্জে বিষাক্ত মদ খেয়ে ৪ জনের মৃত্যু

আমেরিকায় কুরআন পোড়ানোর প্রতিবাদে কচুয়ায় বিক্ষোভ

আমেরিকায় কুরআন পোড়ানোর প্রতিবাদে কচুয়ায় বিক্ষোভ

আজ পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.)

আজ পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.)

ছুটির দিনেও হলে হলে জমজমাট প্রচার

ডাকসু ও হল সংসদ নির্বাচন ছুটির দিনেও হলে হলে জমজমাট প্রচার

গাজীপুরে বাস চাপায় পুলিশ কর্মকর্তার মৃত্যু

গাজীপুরে বাস চাপায় পুলিশ কর্মকর্তার মৃত্যু

জাতীয় পার্টির কার্যালয়ে হামলা-অগ্নিসংযোগ, গুলিবিদ্ধ ২

জাতীয় পার্টির কার্যালয়ে হামলা-অগ্নিসংযোগ, গুলিবিদ্ধ ২

নুরা পাগলের কবর অবমাননার ঘটনায় সরকারের তীব্র নিন্দা

নুরা পাগলের কবর অবমাননার ঘটনায় সরকারের তীব্র নিন্দা

হানিফ ফ্লাইওভারে বাস-সিএনজি সংঘর্ষে প্রাণ গেল ২ জনের

হানিফ ফ্লাইওভারে বাস-সিএনজি সংঘর্ষে প্রাণ গেল ২ জনের

সব খবর

 
 
 
 

 

চট্টগ্রামের পারকী সমুদ্রসৈকতের পাশে ৪০০ কোটি টাকা ব্যয়ে ৭২ একর জায়গায় নির্মিত হয়েছে ‘রাজকীয় অতিথিশালা’। রয়েছে ৩০টি ভিআইপি বাংলো, ৪৮ ইউনিটের মোটেল মেস, কনভেনশন সেন্টার, রিসোর্ট রিসিপশন ভবন, রেস্তোরাঁ, দোকান, জিম, অফিস, কনফারেন্স কক্ষ, জাদুঘর, মসজিদ, স্বাস্থ্যকেন্দ্রসহ নানা সুবিধা। নির্মাণের বছর পেরিয়ে গেলেও অতিথিশালাটি চালু হয়নি।

অথচ প্রতিমাসে রক্ষণাবেক্ষণ বাবদ সরকারকে গুনতে হচ্ছে ১৫ লাখ টাকা। নেত্রকোনার মোহনগঞ্জে ৩৯ কোটি ৬০ লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মিত শৈলজারঞ্জন সাংস্কৃতিক কেন্দ্রটিরও একই অবস্থা। দুই বছর আগে কেন্দ্রটি উদ্বোধন হয়েছে। এরপর থেকে কোনো সাংস্কৃতিক কার্যক্রম হয়নি।

অথচ প্রতিমাসে বিদ্যুৎ বিল গুনতে হচ্ছে ৪০ হাজার টাকা। স্টাফদের বেতনসহ অন্যান্য খাতে প্রতিমাসে কয়েক লাখ টাকা লোকসান গুনতে হচ্ছে। অপরিকল্পিত এই প্রকল্পটিও মুখ থুবড়ে পড়ে আছে। মেহেরপুরে ৭৬ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত হয়েছে ২৫০ শয্যার আধুনিক হাসপাতাল ভবন। ২০২৩ সালে প্রকল্পটি উদ্বোধন করা হলেও তা কোনো কাজে আসছে না। পড়ে আছে অব্যবহৃত অবস্থায়।

জেলা-উপজেলায় কোটি কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত এমন অনেক স্থাপনা ছড়িয়ে-ছিটিয়ে পড়ে আছে। পতিত আওয়ামী লীগ সরকারের বিগত ১৬ বছরে অপরিকল্পিতভাবে গড়ে উঠেছে এসব ভবন। কখনো ব্যক্তিস্বার্থে আবার কখনো উন্নয়নের আড়ালে বিপুল অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নিতে এসব প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়। অতিরিক্ত ব্যয় দেখিয়ে পকেটভারী হয়েছে কতিপয় আমলা-রাজনীতিবিদ-ঠিকাদার সিন্ডিকেটের।

এ যেন পতিত আওয়ামী সরকারের ‘স্মার্ট’ দুর্নীতির অন্যতম অনুষঙ্গ। উন্নয়নের নামে মনগড়া এসব প্রকল্প এখন গলার কাঁটা হয়েছে। রক্ষণাবেক্ষণ বাবদ প্রতিমাসে খরচ হচ্ছে কোটি কোটি টাকা। দুর্নীতির সাক্ষী হয়ে দাঁড়িয়ে থাকা এসব ভবনে এখন ভূতুড়ে পরিবেশ বিরাজ করছে। নষ্ট হচ্ছে আসবাবপত্র। অনেক ভবনের দরজা-জানালা চুরি হয়ে গেছে। এ যেন ‘সরকারি মাল, দরিয়া মে ঢাল’। অপরিকল্পিত এসব ভবন নির্মাণে কোটি কোটি টাকা অপচয় হয়েছে। কাদের স্বার্থে এসব ভবন হয়েছে এ নিয়ে জনমনে নানা প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।

যুগান্তরের স্থানীয় প্রতিনিধিদের পাঠানো প্রতিবেদন অনুযায়ী সুনামগঞ্জের ছাতকে ১৩ কোটি ২৯ লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মিত অডিটোরিয়াম তালাবদ্ধ অবস্থায় পড়ে আছে। এটি জনগণের কোনো কাজে আসছে না। শেরপুরের নালিতাবাড়ীতে ৯ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত কর্মজীবী মহিলা হোস্টেল কাম ট্রেনিং সেন্টার ৫ বছর ধরে তালাবদ্ধ অবস্থায় আছে। প্রশিক্ষণ ট্রেডের জন্য কেনা কোটি টাকার মূল্যবান সরঞ্জামে ধুলোর আস্তরণ জমেছে।

নাটোরের বড়াইগ্রামের রয়না ভরট হাটে দুই কোটি আট লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মিত বিপণিবিতান ৩ বছর আগে নির্মিত হলেও চালু করা হয়নি। ভবনটি এখন কুকুর-বিড়ালের আস্তানায় পরিণত হয়েছে। চট্টগ্রামের পটিয়া পৌরসভায় সাড়ে ১১ কোটি টাকার আধুনিক কিচেন মার্কেট পরিত্যক্ত হয়ে আছে। ৫ বছর ধরে এ মার্কেট চালুর জন্য চেষ্টা করা হলেও অদৃশ্য ইশারায় তা সম্ভব হচ্ছে না।

৪শ কোটি টাকার রাজকীয় অতিথিশালায় লোকসান গুনছে সরকার : কথায় আছে, ‘সরকারি মাল, দরিয়া মে ঢাল’। এ প্রবাদেরই যেন এক জ্বলন্ত উদাহরণ চট্টগ্রামের পারকী সৈকতের কাছাকাছি সাগরপারে সাড়ে ৪০০ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত এক রাজকীয় অতিথিশালা। কর্ণফুলী টানেল নির্মাণের সময় সার্ভিস এরিয়া হিসাবে সাগরপারে বিশাল এ পর্যটনকেন্দ্র নির্মাণ করে সরকার। এখন টানেলে প্রতিমাসে বড় অঙ্কের লোকসান গুনছে সরকার। ৭২ একর জায়গায় বিলাসবহুল এ অতিথিশালায় প্রতি মাসে ১৫ লাখ টাকা লোকসান হচ্ছে। কর্ণফুলী টানেলের দুই প্রান্তে এ প্রকল্পে রয়েছে ৩০টি ভিআইপি বাংলো, ৪৮ ইউনিটের মোটেল মেস, কনভেনশন সেন্টার, রিসোর্ট রিসিপশন ভবন, রেস্তোরাঁ, দোকান, জিম, অফিস, কনফারেন্স রুম, সুইমিংপুল, খেলার মাঠ, টেনিস কোট, বিনোদন এলাকা, থিয়েটার, জাদুঘর, মসজিদ, স্বাস্থ্যকেন্দ সহ অন্যান্য সুবিধা। যদিও টানেল প্রকল্পটি এখন লোকসানে আছে।

সম্প্রতি প্রকল্পটি ঘুরে পর্যটনকেন্দ্র হিসাবে গড়ে তোলার কথা জানিয়েছেন সরকারের শীর্ষ কর্মকর্তারা। সেতু বিভাগের সচিব মোহাম্মদ আবদুর রউফ বলেন, আমরা আশা করছি এ বছরই যদি এটা ভালো উদ্যোক্তার হাতে যায় তাহলে কাজ শুরু করতে পারব। এ স্থাপনা থেকে আমরা যেন ভালো আউটপুট আনতে পারি সে লক্ষ্যেই কাজ করছি। পাশাপাশি এটা পর্যটনে যেন একটা ভালো হাব হয় সে চেষ্টা করা হচ্ছে।

ছাতকে ১৩ কোটি টাকার অডিটোরিয়াম তালাবদ্ধ

ছাতক পৌরসভায় প্রায় ১৩ কোটি ২৯ লাখ ৮৭ হাজার ২০৭ টাকা ব্যয়ে নির্মিত অডিটোরিয়াম ভবনটি দীর্ঘদিন ধরে তালাবদ্ধ অবস্থায় পড়ে আছে। নির্মাণকাজ শেষ হওয়ার কয়েক বছর কেটে গেলেও ভবনটি এখনো চালু হয়নি। এতে সরকারি অর্থ অপচয়ের অভিযোগে স্থানীয়দের মধ্যে তীব্র ক্ষোভ ও হতাশা তৈরি হয়েছে।

আধুনিক সুযোগ-সুবিধাসম্পন্ন এ অডিটোরিয়ামটির নির্মাণকাজ শেষ হয় কয়েক বছর আগে। তবে ব্যবহার না হওয়ায় ভবনটি ধীরে ধীরে অচল হয়ে পড়ছে। দেওয়ালের রং উঠে যাচ্ছে, ফার্নিচার ও সাউন্ড সিস্টেম নেই, আলোকসজ্জা অসম্পূর্ণ। রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে ভবনের কক্ষগুলোতে জমছে ময়লা-আবর্জনা। সামনে জন্মেছে ঝোপঝাড়। স্থানীয় ব্যবসায়ী শামছুল ইসলাম বাবুল বলেন, এমন সুন্দর একটি অবকাঠামো পড়ে থাকাটা আমাদের দুর্ভাগ্য। এটি ব্যবহার হলে ব্যবসায়ী সম্মেলন, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান এমনকি সরকারি গুরুত্বপূর্ণ সভাও করা যেত। অডিটোরিয়াম নির্মাণ প্রকল্পের শুরু থেকেই নানা অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ ওঠে সাবেক মেয়র ও জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি আবুল কালাম চৌধুরীর বিরুদ্ধে। স্থানীয়দের অভিযোগ, প্রকল্পের মূল ব্যয় দেখানো হয়েছিল ১৩ কোটি ২৯ লাখ টাকা। কিন্তু পরে অতিরিক্ত ব্যয় দেখিয়ে তা প্রায় ২৫ কোটি টাকায় উন্নীত করা হয়। প্রকল্পের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ‘মিম ডেভেলপমেন্ট ইঞ্জিনিয়ারিং’ কিছুদিন কাজ করার পর মেয়র তাকে বিদায় করেছেন।

অভিযোগ রয়েছে, পরে আবুল কালাম নিজেই কাজের তদারকি করে বিপুল অর্থ আত্মসাৎ করেছেন। তাছাড়া শহরতলির মাধবপুর এলাকায় ডাম্পিং ইয়ার্ড প্রকল্পেও প্রায় দুই কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে।

খাগড়াছড়িতে নির্মাণের ১৪ বছরেও চালু হয়নি তিন ছাত্রাবাস

খাগড়াছড়ির লক্ষ্মীছড়ি, পানছড়ি ও মানিকছড়ি উপজেলায় প্রাথমিক শিক্ষার্থীদের জন্য নির্মাণ করা তিনটি ছাত্রাবাস ১৪ বছরেও চালু করতে পারেনি জেলা পরিষদ। এতে একদিকে যেমন পাহাড়ের শিক্ষার্থীরা আবাসিক সুবিধা থেকে বঞ্চিত অন্যদিকে অযত্ন-অবহেলায় নষ্ট হচ্ছে ছাত্রাবাসের অবকাঠামো। জনবল সংকটের কারণে ছাত্রাবাসগুলো চালু করা যাচ্ছে না বলে জানিয়েছে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর। খাগড়াছড়ি জেলা পরিষদ সূত্রে জানা যায়, ২০১১ সাল দুর্গম এলাকার শিক্ষার্থীদের পড়াশোনার সুবিধার্থে প্রাথমিক শিক্ষা উন্নয়ন কর্মসূচি দ্বিতীয় পর্যায়ের (পিডিইপি-২) আওতায় লক্ষ্মীছড়ি, পানছড়ি ও মানিকছড়িতে একটি করে মোট তিনটি ছাত্রাবাস নির্মাণ করা হয়।

জেলা সদর থেকে ৬২ কিলোমিটার দূরে দুর্গম এলাকায় নির্মাণ করা ছাত্রাবাসগুলো এখন পর্যন্ত চালু করা হয়নি বলে জানান লক্ষ্মীছড়ি মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বিজয় কুমার চাকমা। তিনি বলেন, বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীর সংখ্যা তিন শতাধিক। তাদের বেশির ভাগই দুর্গম এলাকার বাসিন্দা। ছাত্রাবাসে ৪০ ছাত্র ও ৪০ ছাত্রী থাকার মতো প্রয়োজনীয় অবকাঠামো রয়েছে। তবে এখনো চালু হয়নি।

তিনি আরও বলেন, অনেক শিক্ষার্থী দীর্ঘপথ পাড়ি দিয়ে স্কুলে আসে। ছাত্রাবাস চালু হলে দুর্গম এলাকার শিক্ষার্থীদের ভোগান্তি কমবে। অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, তিন ছাত্রাবাস নির্মাণে ব্যয় হয়েছে ৬ কোটি ৭২ লাখ টাকা। প্রতিটি ছাত্রাবাসে ৮০ জন শিক্ষার্থীর জন্য চেয়ার, টেবিল, খাটসহ প্রয়োজনীয় আসবাবপত্র রয়েছে।

জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘একাধিকবার মন্ত্রণালয়ে জানিয়েছি। চিঠিও দিয়েছি। কিন্তু লোকবল সংকটের কারণে ছাত্রাবাসগুলো চালু করা যাচ্ছে না। প্রতিমাসে জেলা পরিষদের উন্নয়ন সমন্বয় সভায় আলোচনা হলেও ছাত্রাবাসগুলো চালুর কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়নি।

 

 

 

সম্পর্কিত খবর

‘হার নিশ্চিত জেনে নির্বাচন বানচালের অপচেষ্টা চালাচ্ছে একটি মহল’

‘হার নিশ্চিত জেনে নির্বাচন বানচালের অপচেষ্টা চালাচ্ছে একটি মহল’

চট্টগ্রামে ৫৪তম ঐতিহাসিক জশনে জুলুস শনিবার

চট্টগ্রামে ৫৪তম ঐতিহাসিক জশনে জুলুস শনিবার

চিকিৎসকদের সবক্ষেত্রে জবাবদিহিতা থাকতে হবে: স্বাস্থ্য উপদেষ্টা

চট্টগ্রামে মতবিনিময় সভা চিকিৎসকদের সবক্ষেত্রে জবাবদিহিতা থাকতে হবে: স্বাস্থ্য উপদেষ্টা

দুবাইয়ে বিদ্যুৎস্পর্শে বাংলাদেশি শ্রমিকের মৃত্যু

দুবাইয়ে বিদ্যুৎস্পর্শে বাংলাদেশি শ্রমিকের মৃত্যু

অভিযানের পরও কমেনি ব্যাটারি রিকশার দাপট

চট্টগ্রাম মহানগরী অভিযানের পরও কমেনি ব্যাটারি রিকশার দাপট

চবি শিক্ষার্থীদের সঙ্গে স্থানীয়দের সংঘর্ষ: ৮ জনের জামিন নামঞ্জুর

চবি শিক্ষার্থীদের সঙ্গে স্থানীয়দের সংঘর্ষ: ৮ জনের জামিন নামঞ্জুর

 
মহানবীর (সা.) জীবনাদর্শে বিশ্বে শান্তি নিশ্চিত হতে পারে: ড. ইউনূস

প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস মহানবীর (সা.) জীবনাদর্শে বিশ্বে শান্তি নিশ্চিত হতে পারে: ড. ইউনূস

প্রার্থীই নেই ৬৩ পদে, বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হতে যাচ্ছেন শতাধিক

জাকসু নির্বাচন প্রার্থীই নেই ৬৩ পদে, বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হতে যাচ্ছেন শতাধিক

মুন্সীগঞ্জে বিষাক্ত মদ খেয়ে ৪ জনের মৃত্যু

মুন্সীগঞ্জে বিষাক্ত মদ খেয়ে ৪ জনের মৃত্যু

আমেরিকায় কুরআন পোড়ানোর প্রতিবাদে কচুয়ায় বিক্ষোভ

আমেরিকায় কুরআন পোড়ানোর প্রতিবাদে কচুয়ায় বিক্ষোভ

আজ পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.)

আজ পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.)

ছুটির দিনেও হলে হলে জমজমাট প্রচার

ডাকসু ও হল সংসদ নির্বাচন ছুটির দিনেও হলে হলে জমজমাট প্রচার

গাজীপুরে বাস চাপায় পুলিশ কর্মকর্তার মৃত্যু

গাজীপুরে বাস চাপায় পুলিশ কর্মকর্তার মৃত্যু

জাতীয় পার্টির কার্যালয়ে হামলা-অগ্নিসংযোগ, গুলিবিদ্ধ ২

জাতীয় পার্টির কার্যালয়ে হামলা-অগ্নিসংযোগ, গুলিবিদ্ধ ২

নুরা পাগলের কবর অবমাননার ঘটনায় সরকারের তীব্র নিন্দা

নুরা পাগলের কবর অবমাননার ঘটনায় সরকারের তীব্র নিন্দা

হানিফ ফ্লাইওভারে বাস-সিএনজি সংঘর্ষে প্রাণ গেল ২ জনের

হানিফ ফ্লাইওভারে বাস-সিএনজি সংঘর্ষে প্রাণ গেল ২ জনের

সব খবর