
রাজধানীতে ঝটিকা মিছিলসহ নাশকতার পরিকল্পনা ও অর্থায়নের অভিযোগে সাবেক সংসদ সদস্য সাদ্দাম হোসেন পাভেলসহ আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ-সংগঠনের আরও আট নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।
সাদ্দাম হোসেন পাভেল স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য ছিলে। তবে তিনি যুবলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক।
গ্রেফতার ব্যক্তিরা হলেন নীলফামারী-৩ আসনের সাবেক সাংসদ সাদ্দাম হোসেন পাভেল (৫০), পটুয়াখালী জেলার বাউফল উপজেলা শাখার ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মো. তানজিল হোসেন অভি (২৯), পটুয়াখালী জেলার বাউফল থানাধীন সূর্যমনি ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. আনিসুর রহমান হাওলাদার (৪৩), পটুয়াখালী জেলার ছাত্রলীগের বাউফল উপজেলা শাখার প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ও বর্তমানে বঙ্গবন্ধু কল্যাণ পরিষদের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক এ কে এম খোরশেদ আলম (৬৫), বংশাল থানা ৩২ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের নাশকতা পরিকল্পনাকারী মো. দেলোয়ার হোসেন বাবলু (৬১), উত্তরা পূর্ব ১ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আল মামুন ভুইয়া (২৯), আওয়ামী যুবলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির নির্বাহী সদস্য মো. কায়কোবাদ ওসমানী (৫৩) ও মুন্সিগঞ্জ লৌহজং থানার খিতিরপাড়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান মো. আনোয়ার হোসেন (৬০)।
ডিবি সূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার (৪ সেপ্টেম্বর) রাত আনুমানিক ১০টা ৫০ মিনিটে রাজধানীর মোহাম্মদপুর এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে সাদ্দাম হোসেন পাভেলকে গ্রেপ্তার করে ডিবি-সাইবার বিভাগের একটি টিম। অন্যদিকে একই দিন সন্ধ্যা আনুমানিক ৬টায় ডিবি-মতিঝিল বিভাগের একটি টিম সবুজবাগ থানাধীন মানিকদিয়া এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে মো. তানজিল হোসেন অভিকে গ্রেপ্তার করে।
বৃহস্পতিবার (৪ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যা আনুমানিক ৬টার দিকে রাজধানীর সবুজবাগ থানাধীন মানিকদিয়া এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে মো. আনিসুর রহমান হাওলাদারকে গ্রেপ্তার করে ডিবি-মতিঝিল বিভাগের একটি টিম। অন্যদিকে একই দিন রাত আনুমানিক ৯টা ১৫ মিনিটে ডিবি-মতিঝিল বিভাগের একটি টিম পান্থপথ এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে এ কে এম খোরশেদ আলমকে গ্রেপ্তার করে।সন্ধ্যা আনুমানিক ৬টা ২০ মিনিটে রাজধানীর কোতোয়ালি থানাধীন নয়াবাজার এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে মো. দেলোয়ার হোসেন বাবলুকে গ্রেপ্তার করা হয়।
এদিকে রাত আনুমানিক ১১টা ৫০ মিনিটে রাজধানীর রামপুরা থানাধীন মালিবাগ চৌধুরীপাড়া এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে মো. কায়কোবাদ ওসমানীকে গ্রেপ্তার করে ডিবি সাইবার বিভাগের একটি টিম। অন্যদিকে একই দিন রাত আনুমানিক ১১টা ৫০ মিনিটে ডিবি-মতিঝিল বিভাগের একটি টিম রমনা থানাধীন কাকরাইল এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে মো. আনোয়ার হোসেনকে গ্রেপ্তার করে।
গ্রেপ্তার করা সবার বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগে বিভিন্ন থানায় মামলা রয়েছে। তারা সংঘবদ্ধ হয়ে আইনশৃঙ্খলা বিনষ্টের মাধ্যমে দেশকে অস্থিতিশীল করাসহ রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে ঝটিকা মিছিল করার মাধ্যমে জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টির অপচেষ্টায় লিপ্ত ছিল।
গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন।