
ফেনীর সোনাগাজীর আলোচিত নুসরাতের আত্মহত্যাকে হত্যায় রূপান্তর করার অভিযোগে ফরিদগঞ্জ থানার ওসির বিরুদ্ধে মানববন্ধন হয়েছে। এ মানববন্ধনে বাধা, হামলা ও গণমাধ্যমের এক প্রতিনিধিকে হেনস্তা করার অভিযোগে চাঁদপুর জেলা যুবদলের সদস্য ও ফরিদগঞ্জ উপজেলা যুবদলের সাবেক সদস্য সচিব আব্দুল মতিনের সব সদস্য পদ স্থগিত করা হয়েছে।
এদিকে ওই ঘটনায় বাংলা এডিশনের সাংবাদিক মো. রাকিবুল হাসান বাদী হয়ে জেলা যুবদল সদস্য আ. মতিনকে প্রধান আসামি করে রাতেই থানায় মামলা করেছেন।
আলোচিত নুসরাতের আত্মহত্যাকে হত্যায় রূপান্তর করার অভিযোগে ফেনীতে ১৬ জন নিরপরাধকে রিমান্ডে মধ্যযুগীয় কায়দায় নির্যাতন করে বিপুল পরিমাণ টাকা ও স্বীকারোক্তি আদায়কারী ফেনীর তৎকালীন ওসি শাহ আলম ও মূল মাস্টারমাইন্ড সাবেক পিবিআই প্রধান বনজ কুমারকে গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি ও টাকা ফেরতের দাবিতে বুধবার মানববন্ধন করেন দণ্ডপ্রাপ্তদের স্বজনরা।
বুধবার (৩ সেপ্টেম্বর) রাতে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী যুবদল কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির দপ্তর সম্পাদক নুরুল ইসলাম সোহেল স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে আব্দুল মতিনের দলীয় সদস্য স্থগিতের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, দলীয় শৃঙ্খলাপরিপন্থি কর্মকাণ্ড ও অশালীন আচরণে জড়িত থাকার সুস্পষ্ট অভিযোগে চাঁদপুর জেলা যুবদলের সদস্য আব্দুল মতিনের প্রাথমিক সদস্যসহ সব পদ স্থগিত করা হয়েছে। পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত তিনি দলীয় সব কার্যক্রম থেকে বিরত থাকবেন।
জাতীয়তাবাদী যুবদল কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সভাপতি আবদুল মোনায়েম মুন্না ও সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ নূরুল ইসলাম নয়ন ইতোমধ্যে এ সিদ্ধান্ত কার্যকর করেছেন।
এদিকে বুধবার রাতেই বাংলা এডিশনের সাংবাদিক মো. রাকিবুল হাসানের ক্যামেরা ছিনিয়ে নিয়ে যাওয়ার ঘটনায় তিনি নিজেই বাদী হয়ে ফরিদগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করেছেন। মামলায় মানববন্ধনে সংবাদ সংগ্রহকালে সাংবাদিকদের বাধা ও ক্যামেরা ছিনিয়ে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ করা হয়।
এ ব্যাপারে ফরিদগঞ্জ থানার ওসি মোহাম্মদ শাহ আলম মামলা দায়েরের বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, মামলার অভিযুক্ত আসামিদের আটকের চেষ্টা চলছে।
উল্লেখ্য, বুধবার (৩ সেপ্টেম্বর) বিকালে আলোচিত হত্যাকাণ্ডের দণ্ডপ্রাপ্তদের থেকে নেওয়া টাকা ফেরত দানের জন্য ফরিদগঞ্জের নুসরাতের স্বজনদের মানববন্ধন চলাকালে ওসির পক্ষ নিয়ে জেলা যুবদল সদস্য আব্দুল মতিন ও তার সঙ্গীরা মানববন্ধনে বাধা প্রদান করে এবং ব্যানার ছিনিয়ে নিয়ে যায়। এ সময় বাংলা এডিশনের সাংবাদিকদের হেনস্তা করে এবং ক্যামেরাও ছিনিয়ে নিয়ে যায় বলে সাংবাদিক রাকিবুল হাসান অভিযোগ করেছেন।