Image description
 

অনলাইনে মনোনয়নপত্র দাখিলের বিধান গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) থেকে বাতিলের সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে জানালেন নির্বাচন কমিশনার (ইসি) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ। আজ বুধবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।

আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ বলেন, ‘আগে প্রিজাইডিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত ছিল। মাঝখানে এটা সংশোধন করে বিধান করা হয়েছিল যে ভোট শুরুর আগে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী পরিস্থিতি দেখবেন, তারা রিপোর্ট দিলে ভোট শুরু করতেন। আমরা এটাকে পূর্বের অবস্থায় ফিরিয়ে নিয়ে গেছি। এতে কেন্দ্রে প্রিজাইডিং অফিসার হবেন সর্বেসর্বা।’

তিনি বলেন, ‘মিডিয়াকর্মীসহ অন্যরা কতক্ষণ ভোটকক্ষের ভেতরে থাকবেন তা নির্ধারণের ক্ষমতা আমরা প্রিজাইডিং অফিসারকে দিয়েছি।’

আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ বলেন, এবার থেকে ডিসি নয়, বরং জেলা নির্বাচন অফিসারই ভোটকেন্দ্রের তালিকা প্রস্তুত করবেন।

এ নির্বাচন কমিশনার বলেন, প্রার্থী ভোটার প্রতি সর্বোচ্চ ১০ টাকা ব্যয় করতে পারবেন অথবা সর্বোচ্চ ২৫ লাখ টাকার মধ্যে যেটা সবচেয়ে বেশি হবে, সেটা ব্যয় করতে পারবেন।

তিনি বলেন, আদালত ঘোষিত ফেরারি আসামিরা কোনোভাবেই নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না। কেউ নির্বাচিত হয়ে যাওয়ার পরেও হলফনামার তথ্য মিথ্যা প্রমাণিত হলে সংসদ সদস্যপদ বাতিল হবে। সংসদ সদস্য প্রার্থীদের জামানত ২০ হাজার টাকা থেকে বাড়িয়ে ৫০ হাজার টাকা করা হয়েছে।

আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ বলেন, দুই প্রার্থীর ভোট সংখ্যা সমান হয়ে গেলে লটারি নয়, পুনরায় ভোট হবে। নির্বাচনী পোস্টার বাতিল করা হয়েছে। সোশ্যাল মিডিয়া ও এআই ব্যবহার করে আচরণবিধি ভঙ্গের কাজগুলো করা যাবে না।