Image description

আসন্ন জাতীয় নির্বাচনকে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করার লক্ষ্যে প্রশাসন থেকে আওয়ামী লীগের প্রতি আনুগত্যশীল ও ‘চেতনা লালনকারী’ কর্মকর্তাদের অপসারণের দাবি জানিয়েছে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ। সংগঠনটির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, এসব কর্মকর্তাদের সরানো জরুরি—নির্বাচনী পরিবেশকে গ্রহণযোগ্য করতে হলে।

মঙ্গলবার (২ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় হেফাজতের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে এক বৈঠক শেষে সংগঠনটির যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা আজিজুল হক ইসলামাবাদী সাংবাদিকদের এসব কথা জানান।

তিনি বলেন, “প্রধান উপদেষ্টার কাছে আমরা জানতে চেয়েছি—অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজনে কী ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া যেতে পারে।”

মাওলানা আজিজুল হক আরও জানান, তারা তথাকথিত ‘আওয়ামী ফ্যাসিবাদী সরকারের দোসর ও সন্ত্রাসীদের’ চিহ্নিত করে গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়েছেন।

বৈঠকে হেফাজতের পক্ষ থেকে সংবিধানে আল্লাহর প্রতি আস্থা ও বিশ্বাস পুনর্বহালের দাবিও তোলা হয়। এ ছাড়া ২০১৩ সালের শাপলা চত্বরে আন্দোলনকে ঘিরে গঠিত  ‘জুলাই সনদ’ এবং সেই সময় সংঘটিত ‘গণহত্যার’ স্বীকৃতি ও সংরক্ষণের দাবি জানানো হয়।

তিনি বলেন, ২০২১ সালে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সফরের প্রতিবাদে আন্দোলনের সময় হাজারো আলেমের বিরুদ্ধে ‘মিথ্যা মামলা’ দিয়ে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল—সেই অবদানও জুলাই সনদে অন্তর্ভুক্ত করার দাবি জানানো হয়েছে।

গণ অধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হকের ওপর হামলাকে 'নিন্দনীয়' বলে উল্লেখ করে হেফাজতের পক্ষ থেকে হামলাকারীদের চিহ্নিত করে বিচার দাবি করা হয়েছে।

সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের উত্তরে মাওলানা আজিজুল হক স্পষ্ট করেন, “হেফাজতে ইসলাম কোনো অবস্থাতেই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ‘কওমি জননী’ উপাধি দেয়নি। এটি কওমি মাদ্রাসা বোর্ডের একজন মাওলানা রব আমিনের ব্যক্তিগত মন্তব্য।”


শীর্ষনিউজ