Image description

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) নির্বাচন প্রক্রিয়া স্থগিত করে হাইকোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে করা আবেদনের ওপর আপিল বিভাগে শুনানি শুরু হয়েছে।

প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বে সাত বিচারপতির আপিল বেঞ্চে এ শুনানি শুরু হয়।

অন্য বিচারপতিরা হলেন, বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলাম, বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরী, বিচারপতি মো. রেজাউল হক, বিচারপতি এস এম এমদাদুল হক, বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি ফারাহ মাহবুব।

আদালতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের পক্ষে শুনানি করছেন আইনজীবী শিশির মনির।

এর আগে এক রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে বিচারপতি হাবিবুল গনি ও বিচারপতি শেখ তাহসিন আলীর হাইকোর্ট বেঞ্চ সোমবার (১ সেপ্টেম্বর) নির্বাচন প্রক্রিয়া ৩০ অক্টোবর পর্যন্ত স্থগিত করে রুলসহ আদেশ দেন।  

একইদিন বিকেলে এ বিষয়ে হাতে লেখা আবেদন নিয়ে চেম্বার জজের দ্বারস্থ হন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য। পরে হাইকোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে ঢাবির সিভিল মিসলিনিয়াস পিটিশন (সিএমপি) (হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত চেয়ে আবেদন) দাখিল করা পর্যন্ত স্থগিতাদেশ দেন চেম্বার আদালত।

এর ধারাবাহিকতায় মঙ্গলবার সিএমপি করে ঢাবি উপাচার‌্য। সেটি মঙ্গলবার চেম্বার আদালতের কার‌্যতালিকায় উঠে। চেম্বার বিচারপতি ফারাহ মাহবুব আপিল বিভাগের নিয়মতি বেঞ্চে শুনানির জন্য বুধবার দিন নির্ধারণ করেছেন। এই সময় পর‌্যন্ত হাইকোর্টের আদেশের ওপর চেম্বার জজ আদালতের দেওয়া স্থগিতাদেশ বাড়ানো হয়েছে।

ঐক্যবদ্ধ শিক্ষার্থী জোট মনোনীত ছাত্র শিবির সমর্থিত প্যানেলের জিএস প্রার্থী এস এম ফরহাদের প্রার্থিতার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে বামজোট মনোনীত প্যানেলের মুক্তিযুদ্ধ ও গণতান্ত্রিক আন্দোলনবিষয়ক সম্পাদক প্রার্থী বিএম ফাহমিদা আলম এ রিট দায়ের করেন।  

রিটে অভিযোগ করা হয়, ২০২৪ সালের ৫ আগস্টের আগে এস এম ফরহাদ ‘ছাত্রলীগের কমিটিতে’ ছিলেন। এরপরও তিনি কীভাবে ইসলামী ছাত্রশিবিরের প্যানেলে প্রার্থী হলেন, এমন প্রশ্ন তুলে তার প্রার্থিতা চ্যালেঞ্জ করা হয় রিট মামলায়।

ডাকসুর ভোটগ্রহণের জন্য আগামী ৯ সেপ্টেম্বর দিন ধার্য রয়েছে। শিবির সমর্থিত প্যানেল থেকে সাদিক কায়েম ভিপি ও এস এম ফরহাদ প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।  

ডাকসু নির্বাচনে চূড়ান্ত প্রার্থীর সংখ্যা ৪৭১। গত ২৬ আগস্ট প্রকাশিত চূড়ান্ত চূড়ান্ত তালিকা অনুযায়ী, সহ-সভাপতি (ভিপি) পদে ৪৫ জন, সাধারণ সম্পাদক (জিএস) পদে ১৯ জন এবং সহ-সাধারণ সম্পাদক (এজিএস) পদে ২৫ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন।  

সবচেয়ে বেশি প্রতিদ্বন্দ্বিতা হচ্ছে সদস্য পদে। এবার মোট ২১৭ জন প্রার্থী সদস্য পদে লড়বেন। সবমিলিয়ে ২৮টি পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে যাচ্ছেন ৪৭১ জন প্রার্থী।