
বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) পূর্ণকালীন সদস্য ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক মোহাম্মদ তানজীমউদ্দিন খানকে সমাজবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক অধ্যাপক ড. আ ক ম জামাল উদ্দিন হত্যার হুমকি দিয়েছিলেন। সম্প্রতি ডাকসু নির্বাচনের এক প্রার্থীর প্রার্থীতা চ্যালেঞ্জ করে রিটকারী এক নারী শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের হুমকি দিয়েছেন ঢাবিরই আলী হুসেন নামে এক শিক্ষার্থী। অধ্যাপক জামাল ও এই হুমকিদাতা আলী হুসেনের মধ্যে কোনো ফারাক নেই বলে মন্তব্য করেছেন অধ্যাপক তানজীমউদ্দিন খান।
মঙ্গলবার (২ সেপ্টেম্বর) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে নিজ অ্যাকাউন্টে এক স্ট্যাটাসের মাধ্যমে এ মন্তব্য করেন।
ফেসবুক স্ট্যাটাসে অধ্যাপক তানজীম লেখেন, আগের স্বৈরাচারী আমলে সমাজবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক জামাল উদ্দিন আমাকে মেরে ফেলার হুমকি দিয়েছিল! আনুষ্ঠানিকভাবে অভিযোগ জানালেও বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ, প্রক্টর অফিস, তৎকালীন শিক্ষক সমিতি এমন ভাব করেছিলো যেন এরকম কিছু ঘটেই নি!
তিনি বলেন, আর এ সময় অর্থাৎ ৫ আগস্ট ২০২৪ উত্তর সময়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থী হুসেন আরেক নারী শিক্ষার্থীকে সামাজিক মাধ্যমে গণধর্ষণের ডাক দিলো! এসব এরা করে সবার মাঝে একটা ভীতি ছড়িয়ে দেওয়া আর বোবা বানাবার জন্য!
তিনি আরও বলেন, এই রকম জঘন্য অপরাধকে অপরাধ হিসেবে চিহ্নিত না করা এবং অপরাধীর ব্যাপারে নীরব থাকার ক্ষেত্রে অতীত আর বর্তমানের এই দুই সময়ের বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই প্রশাসনের মধ্যে পার্থক্য করা যাচ্ছে না অথবা তারা কোনো পার্থক্য তৈরি করতে পারছেন না, যেকোনো কারণেই হোক!
সবশেষে অধ্যাপক মোহাম্মদ তানজীমউদ্দিন খান বলেন, একইভাবে শিক্ষার্থী আলী হুসেন আর অধ্যাপক জামালদের মধ্যেও কোনো ফারাক নাই! তাদের অপরাধের ধরন নিয়ে নতুন কিছু বলার নাই! তারা নিজেদের রাজনৈতিক পরিচয় প্রকাশ করুক বা না করুক, নাটক দেখাক বা না দেখাক, এরা কোনোরকম অপরাজনৈতিক পৃষ্ঠপোষকতা ছাড়া এরকম ভয়ানক অপরাধী হয়ে উঠতে পারেনা! সাধারণ শিক্ষার্থীদের ব্যানারে হোক বা শিক্ষকদের, এভাবেই এরা কলুষিত করে তোলে শিক্ষক কিংবা শিক্ষার্থীদের!