Image description

ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে এখন কোনো উত্তেজনা নেই বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র ও কৃষি উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।

তিনি বলেন, বিএসএফ আর কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণ করছে না, পরিস্থিতি স্থিতাবস্থায় আছে। আগামী মাসে বিজিবি ও বিএসএফের ডিজি পর্যায়ে মিটিং আছে। সেখানে এগুলো নিয়ে আলোচনা হবে।

মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি) দুপুরে ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশনের শহীদ শাহাবুদ্দিন মিলনায়তনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা।

বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে এখন উত্তেজনা নেই: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

বোরো মৌসুমে সারের কোনো সংকট নেই বলেও জানিয়েছেন কৃষি উপদেষ্টা। তিনি বলেন, ‘যদি কেউ সারের কৃত্রিম সংকট সৃষ্টির চেষ্টা করেন, আমি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও বিভাগীয় প্রশাসনকে বলবো, তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেবেন। যেসব ডিলার এর সঙ্গে জড়িত হবেন, আগামী মাস থেকে তাদের ডিলারশিপও চলে যাবে। কোনো অবস্থায়ই তাদের ছাড় দেওয়া হবে না। কৃষকদের আশ্বস্ত করতে চাই, তারা হচ্ছেন দেশের প্রাণ। তারা অবশ্যই সার পাবেন এবং ন্যায্যমূল্যেই পাবেন।’

সাংবাদিকদের ধন্যবাদ জানিয়ে উপদেষ্টা বলেন, ‘বিদেশি মিডিয়াগুলো অনেক উল্টাপাল্টা খবর দিতো। কিন্তু আপনারা সত্যটা প্রকাশ করায় বিদেশি মিডিয়া অপপ্রচার করতে পারছে না।’

এর আগে শহীদ শাহাবুদ্দিন মিলনায়তনে বিভাগীয় পর্যায়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভার আয়োজন করা হয়। সেখানে উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে চুরি, ছিনতাই, চাঁদাবাজি কঠোর হস্তে দমন করতে হবে। মাদক বর্তমান সমাজে একটি বড় সমস্যা। মাদক নিয়ন্ত্রণে আইনের কঠোর প্রয়োগ কাম্য। দুর্নীতি করলে কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না।

বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে এখন উত্তেজনা নেই: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

তিনি আরও বলেন, দেশে ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের সর্বোচ্চ নিরাপত্তা দেওয়া হচ্ছে। এরপরেও এ ব্যাপারে কোনো ধরনের অভিযোগ এলে তাৎক্ষণিকভাবে পদক্ষেপ নিতে হবে। ধর্মীয় বিষয়কে সামনে এনে কেউ বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে চাইলে দোষীদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় নিয়ে আসতে হবে। তবে কোনো নির্দোষ ব্যক্তি যেন এক্ষেত্রে হয়রানির শিকার না হন, সেদিকে সতর্ক থাকতে হবে।

এসময় ময়মনসিংহ সেনানিবাসের কমান্ডার ৪০৩ ব্যাটল গ্রুপ কর্নেল মাহমুদ হাসান, সেক্টর কমান্ডার কর্নেল সরকার মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান, বিভাগীয় কমিশনার মো. মোখতার আহমেদ, রেঞ্জ ডিআইজি ড. মোহাম্মদ আশরাফুর রহমানসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।