Image description
দেশের পরিস্থিতি ঘোলাটে হলে আ.লীগের বেশি লাভ :ড. দিল রওশন জিন্নাত আরা নাজনীন নির্বাচন এখন ফরজ হয়ে দাঁড়িয়েছে :ড. সাব্বীর আহমেদ সুযোগ পেলেই আ.লীগ আবার ফিরে আসবে :প্রফেসর কাজী মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান অর্থনীতি ও দেশের স্বার্থে প্রয়োজন দ্রুত নির্বাচন :ড. ফাহমিদা খাতুন

দীর্ঘ এক দশকের বেশি সময় ভোটাধিকার বঞ্চিত সাধারণ মানুষ ছাত্রজনতার অভ্যুত্থানের পর থেকে অধীর আগ্রহে অপেক্ষায় আছেন ভোটাধিকার প্রয়োগের।
এ সময়ে নতুন যে চার কোটি নতুন ভোটার হয়েছেন তারা আছেন মুখিয়ে। জনগণের লুণ্ঠিত ভোটাধিকার ফিরিয়ে দিয়ে গণতন্ত্র পুন:প্রতিষ্ঠায় প্রস্তুত অন্তর্বর্তীকালীন সরকার, সেনাবাহিনী, নির্বাচন কমিশনও (ইসি)। দেশের প্রায় সব দলও (দু’তিনটি বাদে) প্রস্তুতি নিচ্ছে একটি অবাধ, সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য। এ লক্ষ্যে নির্বাচন কমিশন ইতোমধ্যে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা করেছে।

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস সুস্পষ্টভাবে জানিয়েছেন, জাতীয় নির্বাচন ছাড়া কোন বিকল্প নেই। ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধেই নির্বাচন হবে। কেউ যদি নির্বাচনের বিকল্প ভাবে সেটা হবে এই জাতির জন্য গভীর বিপদজনক। দেশ যখন নির্বাচনমুখী হচ্ছে ঠিক তখনই রাজনৈতিক অঙ্গনকে অস্থির করে তোলার চেষ্টা হচ্ছে, নির্বাচন পেছানোর চলছে নানা ষড়যন্ত্র, সৃষ্টি করা হচ্ছে বিশৃঙ্খল পরিবেশ।

অভিযোগ উঠেছে, বর্তমান সরকারে ব্যাপক প্রভাব এবং নির্বাচনে বিজয়ী হওয়ার সম্ভাবনা যাদের নেই, এমন দু’একটি দল নির্বাচন বিলম্বিত করতে নানা অজুহাত ও ষড়যন্ত্র করছে। হঠাৎ করে সংখ্যানুপাতিক প্রতিনিধিত্ব (পি আর) পদ্ধতির নির্বাচনের দাবি তুলছে। এসবের মাধ্যমে দেশে বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি তৈরি করে তারা যতদিন সম্ভব নির্বাচন পেছাতে চায়। একই রকম পরিস্থিতির অপেক্ষায় প্রহর গুনছে পতিত আওয়ামী লীগ ও তাদের আশ্রয়দাতা ভারতও। সুযোগ পেলেই তারা হামলে পড়বে।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, যত দিন যাবে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ততই দুর্বল হবে এবং দেশে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি, বিশৃঙ্খল অবস্থা সৃষ্টি হবে। আর এই বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি সুযোগ গ্রহণ করবে তৃতীয় পক্ষ, এমনকি পতিত আওয়ামী লীগও হিং¯্র হয়ে উঠতে পারে। যা বিবাদমান কোন রাজনৈতিক দলের জন্যই মঙ্গলজনক হবে না। বরং আওয়ামী লীগ কোনভাবে ফিরতে পারলে আন্দোলনে অংশ নেয়া সকলের জন্য বিপদজনক হয়ে দাঁড়াবে। এজন্য যতদ্রুত সম্ভব নির্বাচিত সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তরের পরামর্শ দিয়েছেন তারা।

জানতে চাইলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের প্রফেসর ড. সাব্বীর আহমেদ বলেন, দেশে যে সঙ্কট সৃষ্টি হয়েছে এর থেকে উত্তরণের জন্য নির্বাচন এখন ফরজ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এই মুহূর্তে নির্বাচন পেছানোর কোন সুযোগ নেই, যতদ্রুত সম্ভব নির্বাচনের দিকে যাওয়া উচিত। জামায়াতে ইসলামী-জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) যদি মনে করে নির্বাচন পেছালে তারা লাভবান হবে তাহলে সেটি হবে তাদের ভুল ভাবনা। কোন কারণে পরিস্থিতি ঘোলাটে হলে সবাই বিপদে পড়বে। আবার দেশে বিশৃঙ্খল পরিবেশ সৃষ্টির ফলে তৃতীয় কোন পক্ষ ক্ষমতা দখল করলে পতিত আওয়ামী লীগ পুনরুজ্জীবিত হবে, ফিরে আসার সুযোগ পাবে। তখন বিপদ আরো বাড়বে।

ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের পতনের পর সেই সরকার কাঠামোর ওপরই দায়িত্ব গ্রহণ করে ড. ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। ফলে সরকারের শুরু থেকেই দেশকে নানাভাবে অস্থিতিশীল করে তুলতে কাজ করছে আওয়ামী লীগ ও তাদের আশ্রয়দাতা ভারত। অস্থিতিশীল পরিস্থিতে বিনিয়োগ স্থবির হয়ে পড়ায় আওয়ামী লীগের রেখে যাওয়া ভঙ্গুর অর্থনীতিও আর মেরুদ- সোজা করে দাঁড়াতে পারেনি। ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দ দফায় দফায় সভা-সেমিনার করে দ্রুত নির্বাচনের দাবি জানিয়ে আসছেন। অন্যত্থায় অর্থনৈতিক অবস্থা আরো খারাপ পরিস্থিতিতে পড়তে পারে বলে সতর্ক করেছেন। দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় দল বিএনপিসহ বেশিরভাগ দলই (দু’একটি ছাড়া) দ্রুত নির্বাচন দিতে অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে দাবি জানিয়ে আসছে। সাধারণ মানুষের প্রত্যাশা ও রাজনৈতিক দলগুলোর দাবির প্রেক্ষিতে সরকার প্রধান ড. মুহাম্মদ ইউনূস ঘোষণা দিয়েছেন ফেব্রুয়ারির প্রধমার্ধে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। তিনি প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন, আইন-শৃঙ্খলাবাহিনীসহ সংশ্লিষ্ট সকলের সঙ্গে বৈঠক করে নির্বাচনের প্রস্তুতি গ্রহণ করার নির্দেশনাও (চিঠি ও মৌখিক) দিয়েছেন। সেনাবাহিনী প্রধানও নির্বাচনে সর্বাত্মক সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন এবং সেনাবাহিনীকে দ্রুত ব্যারাকে ফিরিয়ে নিতে চান।

সর্বশেষ গতকাল সোমবার প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতে সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রতি তার পূর্ণ সহযোগিতার কথা জানান এবং চারপাশে ছড়িয়ে পড়া গুজবে কান না দেওয়ার অনুরোধ জানান। তিনি বলেন, সরকারের সব উদ্যোগ ও কর্মসূচি সফল করতে পুরো সেনাবাহিনী অঙ্গীকারবদ্ধ। আর প্রধান উপদেষ্টা বলেন, আমি জাতির কাছে একটি দৃঢ় অঙ্গীকার করেছি, এমন একটি নির্বাচন উপহার দেব, যা কিছু দিক থেকে অনন্য হয়ে উঠবে। প্রচুর ভোটার উপস্থিতি, নতুন ও নারী ভোটারদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ এবং নিরাপত্তা ও সুরক্ষার ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক মহলের আস্থা অর্জনের দৃষ্টান্ত হবে এই নির্বাচন। পাশাপাশি, গণতন্ত্র ও আইনের শাসনের এক উৎসবমুখর পরিবেশও তৈরি হবে।

এর আগে গত রোববার বিএনপি, জামায়াত ও এনসিপির সঙ্গে বৈঠকে ড. ইউনূস জানিয়েছেন জাতীয় নির্বাচন ছাড়া কোন বিকল্প নেই। কেউ যদি নির্বাচনের বিকল্প ভাবে সেটা হবে এই জাতির জন্য গভীর বিপদজনক। গতকালও তিনি কয়েকটি দলের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। প্রধান উপদেষ্টার বরাতে প্রেস সচিব জানান, প্রধান উপদেষ্টা নির্বাচনের যে সময় ঘোষণা করেছেন, নির্বাচন সে সময়ের মধ্যে হবে। অর্থাৎ ফেব্রুয়ারির প্রধমার্ধে একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও উৎসবমুখর পরিবেশে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এর আগে গত সপ্তাহে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন। প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন বলেছেন, প্রধান উপদেষ্টা ফেব্রুয়ারির কথা জানিয়ে আমাদের চিঠি দিয়েছিলেন। রমজানের আগে ভোটের কথা বলেছেন। আমরা প্রস্তুতি জোরদার করেছি। আমরা চেয়েছি আমাদের ওপর যেন প্রস্তুতি পর্যাপ্ত নয়, এই ধরনের ব্লেম যেন না আসে। আমরা কোনো ধরনের ব্লেম নিতে রাজি নই। সেজন্য আগে থেকে প্রস্তুতি নিতে শুরু করি।

নির্বাচন কমিশনের নির্বাচনী রোডম্যাপ ঘোষণাকে বিএনপি স্বাগত জানিয়েছে। ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন হবে, এমন আশাবাদ ব্যক্ত করেছে। বিএনপির সমমনা দলগুলো রোডম্যাপকে সমর্থন ও ইতিবাচক বলে অভিহিত করেছে। তবে জামায়াত, এনসিপি এবং আরো দু’য়েকটি দল রোডম্যাপে সন্তুষ্ট হতে পারেনি। তারা নানা পূর্বশর্ত আরোপ ও দাবি পেশ করেছে। নির্বাচন নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যকার মত পার্থক্য পতিত স্বৈরাচার ও ভারতকে উৎসাহিত করছে বলে পর্যবেক্ষকরা মনে করেন।

এদিকে সরকার যতটাই নির্বাচনমুখী হচ্ছে, নির্বাচনের উপর জোর দিচ্ছে এবং ইসিসহ সব পক্ষই যখন প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে তখন হঠাৎ করেই দেশে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি হচ্ছে। সম্প্রতি জাতীয় পার্টি ইস্যুতে উত্তেজনা, গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুরের ওপর হামলা, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র সংসদ নির্বাচন নিয়ে উত্তেজনা ছড়ানো হচ্ছে। এই সুযোগে গর্ত থেকে বেরিয়ে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে মিছিল করার চেষ্টা করছে পতিত আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। যা দেশকে অস্থিতিশীল করার ষড়যন্ত্র হিসেবেই দেখছেন রাজনীতি সচেতন ব্যক্তিরা। তারা বলছেন, পতিত স্বৈরাচার ও তার প্রভূ ভারত এদেশে সুষ্ঠু, গ্রহণযোগ্য নির্বাচন হতে দিতে চায় না। নির্বাচন না হওয়া পর্যন্ত নির্বাচনবিরোধী, দেশবিরোধী অনেক ষড়যন্ত্র-চক্রান্ত জালই তারা বিস্তার করবে। এজন্য নির্বাচনই একমাত্র সমাধান হিসেবে মনে করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের প্রফেসর কাজী মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান। তিনি বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের মূল কাজ হওয়া উচিত একটি নির্বাচন দিয়ে নির্বাচিত সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করে চলে যাওয়া। এই সরকার দায়িত্ব গ্রহণের শুরু থেকে যদি নির্বাচনের বিষয়ে মনোযোগ দিত, নির্বাচন প্রক্রিয়া নিয়ে কাজ করতো তাহলে এতোদিনে নির্বাচন দিয়ে দিতে পারতো। প্রফেসর মাহবুবুর রহমান বলেন, নির্বাচন ছাড়া চলমান সঙ্কটের কোন সমধান হবে না। নির্বাচনই একমাত্র সমাধান। অন্তর্বর্তী সরকার যতদিন থাকবে ততই তারা দুর্বল হবে। আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি খারাপ হবে, যেটি এখন আমরা দেখতে পাচ্ছি। পরিস্থিতি খারাপ হলে এবং সরকার দুর্বল হলে, আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবনতি হলে অন্যরা সুযোগ নেবে। তখন সাধারণ মানুষও সরকারের বিপক্ষে যাবে। এতোবড় আন্দোলনে আওয়ামী লীগ উৎখাতের পর মাত্র এক বছরের মধ্যে দলটি আবার জানান দিচ্ছে। কারণ তাদের শক্তি, সম্পদ, জনশক্তি সবই রয়ে গেছে। সুযোগ পেলেই তারা আবার ফিরে আসবে।

উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভিসি রাষ্ট্রবিজ্ঞানী প্রফেসর ড. দিল রওশন জিন্নাত আরা নাজনীন বলেন, দেশের পরিস্থিতি যতই ঘোলাটে বা অস্থিতিশীল হবে তৃতীয় পক্ষ ক্ষমতায় আসার সম্ভাবনা থাকবে এবং এতে করে সবচেয়ে বেশি লাভবান হবে আওয়ামী লীগ। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ যদি আবার কোনভাবে ফিরে আসে আর ক্ষমতা পায় তাহলে আন্দোলনে যারা অংশগ্রহণ করেছে তাদের প্রত্যেককেই মেরে ফেলবে। কারণ আওয়ামী লীগের সহ্য ক্ষমতা অনেক কম, তারা সহনশীল দল না। তাদের কাছে সমস্ত তথ্য আছে। কারা আন্দোলন করেছে, কারা অংশ নিয়েছে, কারা সরকারের রয়েছে, সবকিছুই। তাই কাউকেই তারা ছাড় দেবে না। বরং বিগত ১৫ বছরের ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের যে চরিত্র আমরা দেখেছি তার চেয়ে বেশি আক্রমণাত্মক হবে তারা। ইতোমধ্যে শেখ হাসিনার একটি অডিও কলে তিনি বলেছেন, তার নামে যতটা হত্যা মামলা হয়েছে তিনি ততটা হত্যা করার রাইট পেয়েছেন। তাহলে ফিরে আসতে পারলে বাস্তব পরিস্থিতি কি হতে পারে তা সকলকে অনুধাবন করতে হবে।

এজন্য আওয়ামী ফ্যাসিবাদ বিরোধী আন্দোলনে যারা অংশ নিয়েছে তাদের সকলকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে আওয়ামী লীগকে প্রতিরোধ, ঠেকানোর ক্ষেত্রে। এসব বিষয় রাজনৈতিক দলগুলোকে বুঝতে হবে। তা নাহলে সকলে বিপদে পড়বে।

সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) নির্বাহী পরিচালক ড. ফাহমিদা খাতুন বলেছেন, রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা না থাকলে বিনিয়োগ হবে না। বিনিয়োগ না হলে কর্মসংস্থান, প্রবৃদ্ধি হবে না। তাই অর্থনীতি ও দেশের স্বার্থে প্রয়োজন দ্রুত নির্বাচন।

বাংলাদেশ গার্মেন্টস ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিজিএমইএ) সভাপতি মাহমুদ হাসান খান বাবু বলেন, বর্তমানে দেশে একটি অন্তর্বর্তীকালীন সরকার চলছে। নানা কারণে বিনিয়োগকারীরা অনিশ্চয়তার মধ্যে রয়েছেন। বিনিয়োগ কমে যাওয়ায় অর্থনীতিতে এক ধরনের অচলাবস্থা তৈরি হয়েছে। যারা নতুন শিল্প স্থাপন করতে চান বা ব্যবসা শুরু করতে চান, তারাও অপেক্ষা করছেন একটি নির্বাচিত রাজনৈতিক সরকারের জন্য। যে কারণে দেশের ভঙ্গুর অর্থনীতিকে ঘুরে দাঁড়ানোর জন্য দ্রুতই দেশে একটি নির্বাচিত সরকার প্রয়োজন। তিনি আরো বলেন, যত দ্রুত একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের মাধ্যমে সরকার গঠিত হবে, তত দ্রুত দেশের অর্থনৈতিক গতি ফিরবে, বিনিয়োগ বাড়বে, কর্মসংস্থান তৈরি হবে ও ব্যবসা-বাণিজ্য প্রসার লাভ করবে।