Image description

বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর ছাত্র সংসদ নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মোতায়েনের দরকার পড়ে না বলে মন্তব্য করেছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। তিনি বলেছেন, শিক্ষকরাই সেখানে নিয়ন্ত্রণ করতে পারবেন। 

আজ সোমবার (১ সেপ্টেম্বর) দুপুরে গণমাধ্যমের সঙ্গে আলাপকালে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ মন্তব্য করেন।

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, প্রতিটি সমাজেই কিছু মানুষ থাকেন, যারা সমাজকে নিয়ন্ত্রণ করে রাখেন। আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে যারা শিক্ষকতা করছেন, ভিসিরা আছেন, তারা খুবই যোগ্য। শিক্ষার্থীরাও তাদের মেনে চলে। আমার মনে হয় তারা আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করতে পারছে।

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা আরও বলেন, যেসব পুলিশ কর্মকর্তা অনুপস্থিত আছে, তাদের ক্ষেত্রে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। আমরা নতুন পুলিশ নিয়োগ দিচ্ছি—নতুন প্রায় চার হাজারের বেশি ট্রেনিং করে বের হয়ে গেছে, একটা ব্যাচ ট্রেনিং করছে এবং আরেকটা ব্যাচ বেশ খুব তাড়াতাড়ি প্রশিক্ষণে যাচ্ছে।

নির্বাচনের জন্য বাহিনীগুলোকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, আগামী ৭ সেপ্টেম্বর রাজারবাগ পুলিশ কনভেনশন সেন্টারে এর উদ্বোধন হবে। শুধু পুলিশ নয়, অন্যান্য সব বাহিনীরই প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হচ্ছে নির্বাচনের আগে।

পুলিশের পাশাপাশি সেনাবাহিনী, বিজিবি, আনসারদেরও নির্বাচনের বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে বলে তিনি জানান।

নির্বাচনে আনসারের ভূমিকা বেশি থাকে উল্লেখ করে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, প্রতি কেন্দ্রে ছয়জন পুরুষ ও চারজন নারী আনসার থাকেন, যারা নিরস্ত্র। এর পাশাপাশি অস্ত্রসহ দুজন থাকেন। এবার প্রিজাইডিং অফিসারের নিরাপত্তার জন্য আরও একজন আনসার দিব।

প্রতি কেন্দ্র দুই থেকে তিনজন পুলিশ থাকবে এবং সেনাবাহিনী, বিজিবি, র‍্যাব, এপিবিএন ও কোস্টগার্ড টহলে থাকবে বলে জানান তিনি।

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সেনাবাহিনীর পাশাপাশি নৌ ও বিমান বাহিনীর সদস্যরাও দায়িত্ব পালন করবেন বলে জানান স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা।