Image description

প্রবাসে ভালো চাকরি, নিরাপদ ভবিষ্যৎ এবং অর্থনৈতিক সচ্ছলতাসহ বিভিন্ন স্বপ্ন দেখিয়ে নারী শ্রমিকদের ভয়ংকর প্রতারণার ফাঁদে ফেলে বিদেশে পাঠাচ্ছে একটি চক্র। বিদেশে গৃহকর্মী পাঠানোর নামে তাদের মূলত পাচার করা হচ্ছে মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশে। এ কাজে ভক্ষকের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছে রক্ষকরাও। কিছু রিক্রুটিং এজেন্সির পাশাপাশি সরকারের গুরুত্বপূর্ণ সংস্থা, জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর (বিএমইটি) কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অনেকেই মানবপাচারের সঙ্গে জড়িত।

বিগত সরকারের আমল থেকেই অনিয়ম, জালিয়াতি ও প্রতারণা করে আসছে সরকারি ও বেসরকারি চক্রটি। দেশের আইন-কানুনকে তোয়াক্কা না করে দেদার বিভিন্ন অপকর্ম করছে। আমার দেশ-এর অনুসন্ধানে বিএমইটির বহির্গমন শাখার এমন ৯ কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং ২৩টি রিক্রুটিং এজেন্সির সংশ্লিষ্টতা পাওয়া গেছে। সম্প্রতি এসব ঘটনা নিয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশের পর জালিয়াতচক্রের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদুক)। তবে তাদের কাউকে ধরা হয়নি।

বিভিন্ন তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণ করে জানা গেছে, জনশক্তি রপ্তানির অনুমোদন পেতে ১৬টি শর্ত পূরণ করতে হয় রিক্রুর্টিং এজেন্সিগুলোকে। তবে অনুমোদন পাওয়ার পর নিয়মনীতির তোয়াক্কা করেন না অসাধু ব্যবসায়ীরা।

অনুসন্ধানে জানা গেছে, বিদেশে পাঠানোর আগে নারী শ্রমিকদের প্রশিক্ষণ দেওয়ার কথা থাকলেও মানা হচ্ছে না ওই শর্ত। ট্রেনিং সেন্টারে পাঠালে সময়ক্ষেপণ এবং বাড়তি অর্থ খরচ করতে হবে- এসব কারণে প্রশিক্ষণ ছাড়াই পাঠানো হচ্ছে প্রবাসে। এর জন্য আশ্রয় নেওয়া হচ্ছে ভয়ংকর প্রতারণার। আগে যেসব শ্রমিক বিদেশ থেকে কাজ করে ফিরেছেন, তাদের তথ্য ব্যবহার করে ভুয়া পাসপোর্ট তৈরি করে পাঠানো হচ্ছে নারীদের। এতে মিল থাকছে না প্রার্থীর নাম, বাবা-মায়ের নাম, ঠিকানা ও ছবি। কখনো নাম মিললেও জন্ম তারিখে থাকছে অসামঞ্জস্য।

২০২৪ সালের ১১ নভেম্বর মোছা. ময়না বেগম নামে এক নারী গৃহকর্মী হিসেবে সৌদি আরবে যাওয়ার জন্য বিএমইটির ছাড়পত্র পান। তার ছাড়পত্র আইডি নম্বর এসএ-আই-২০২৪-৪১৯৬৩৭৯। পাসপোর্ট নম্বর এ১৪০০২৪৯০ ও ভিসা নম্বর ১৯০৬৪৯৩৩৩৬। পাসপোর্টে উল্লিখিত জন্মতারিখ ১ নভেম্বর ১৯৮৭। বাবার নাম শেরেগোল এবং মায়ের নাম মোছা. গোজরিয়া বেগম। পাসপোর্টে উল্লিখিত ঠিকানা রাজশাহীর পুঠিয়া উপজেলার বানেশ্বর হাটের বালিঘাটি গ্রাম। ওই নারীর পাসপোর্টে পূর্ববর্তী পাসপোর্ট নম্বর এ০০৭৬২৭৮০, যেটি ২০২১ সালের ৮ ডিসেম্বর ছাড়পত্র পেয়েছিল। ছাড়পত্র আইডি এসএ-আই-২০২১-০৫০৩১৭৭। কোনো প্রশিক্ষণ ছাড়াই পুরোনো পাসপোর্ট যুক্ত করে প্রত্যাগত দেখানো হয় তাকে।

তার আগের পাসপোর্টটি খতিয়ে দেখা গেছে, নাম একই হলেও মা-বাবার নাম ও জন্ম তারিখ ভিন্ন। যেখানে বাবার নাম মো. আতর আলী ও মায়ের নাম মোছা. ফরকুন নেছা। জন্ম তারিখ ১৯৯৬ সালের ২ মে। তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, পাসপোর্ট সম্পাদনার মাধ্যমে জালিয়াতি করে আরেক নারীর পাসপোর্ট নম্বর বসিয়ে ছাড়পত্রের আবেদন করে মেসার্স ব্রিগটন এমপ্লয়মেন্ট নামে রিক্রুটিং এজেন্সি, যার আরএল নম্বর ২০৬৩।

রাজিয়া ট্রেড ইন্টারন্যাশনালের (আরএল ০৮৭০) মাধ্যমে আবেদন করে নিলিমা ব্যানার্জি নামে এক নারী সৌদি আরবে হাউসকিপার হিসেবে চলতি বছরের মার্চ মাসে ছাড়পত্র নেন, যার পাসপোর্ট নম্বর এ০৮২৮১০৭১, ভিসা নম্বর ৬১৩৬২৩৯৫৮০, ছাড়পত্র আইডি এসএ-আই-২০২৫-৪০৬২০৬৮। পাসপোর্টে উল্লিখিত বাবার নাম মহেশ ব্যানার্জি, মায়ের নাম রতনা ব্যানার্জি। ঠিকানা শ্রীমঙ্গলের কারু মাঝি বস্তি। প্রত্যাগত হিসেবে তার আগের পাসপোর্টের দেওয়া ইজে০৩৯৮৬৪২ নম্বরটি ভুয়া। তিনি প্রত্যাগত হিসেবে যে রেজিস্ট্রেশন নম্বর জেও-আই-২০১৯-০৫৯৭৪০০ দেখিয়েছেন তা ছিল নাজনীন আক্তারের, যার বাড়ি সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজার উপজেলার জালালপুর গ্রামে। ২০১৯ সালের ৩ ডিসেম্বর বিএমইটি থেকে এ ক্লিয়ারেন্স দেওয়া হয়। ক্লিয়ারেন্স আইডির সূত্র ধরে খোঁজ নিলে জানা যায়, ওই ক্লিয়ারেন্সের আইডির পাসপোর্ট নম্বর বিজে০৮৬৩৩৭৭।

সুমনা বেগমের বাবার নাম আব্দুল লতিব, মায়ের নাম আলফাতুন নেসা। পাসপোর্ট নম্বর এ১৭৬২২৭৫৯, ভিসা নম্বর ৬১৩৫৯২৭২২৮, ছাড়পত্র আইডি নম্বর এসএ-আই-২০২৫-৪০৫০০৩৬। তিনি চলতি বছরের ২৩ ফেব্রুয়ারি ছাড়পত্র পান। এতে পুরোনো একটি পাসপোর্ট যুক্ত করে প্রত্যাগত দেখানো হয়। তবে তার পুরোনো পাসপোর্টটি খুঁজে বের করে দেখা গেছে, এর নম্বর বিডব্লিইউ০১২৮৪৬৬। সেটি শারমিন আক্তারের। তিনি ২০১৮ সালের ১৪ নভেম্বর বিএমইটি থেকে ছাড়পত্র নিয়ে সৌদি আরব যান। ছাড়পত্র নম্বর এসএ-আই-২০১৮-০৬৩৩২০৬। তার বাবার নাম শেখ শহিদ আর মায়ের নাম সামছুন নাহার। ঠিকানা ও জন্ম তারিখেও পার্থক্য আছে। ওয়ান পয়েন্ট (আরএল ১৯২১) এজেন্সির মাধ্যমে তিনি ভুয়া কাগজপত্রের মাধ্যমে বিএমইটির ছাড়পত্র পান।

পাসপোর্ট জালিয়াতি করে ভুয়া প্রত্যাগত দেখিয়ে মেসার্স মডেল অ্যাভিয়েশনের (আরএল ০৭৩২) মাধ্যমে ছাড়পত্র নেন মোছা. নাসরিন। বাবার নাম আবদুল আজিজ, মায়ের নাম জহুরা বেগম। পাসপোর্ট নম্বর এ১৫২৬৯৬৮৬, ভিসা নম্বর ৬১২৫৪৭৭৫৮২। ক্লিয়ারেন্স আইডি এসএ-আই-২০২৪-৪২০০০১৯। তিনি গত বছরের ১৩ নভেম্বর ছাড়পত্র পান। এখানে তিনি প্রত্যাগত হিসেবে যে পাসপোর্ট দেখিয়েছেন, তার নম্বর বিকে০৪৩০১৮৯।

অনুসন্ধানে জানা গেছে, নাম এক হলেও এই পাসপোর্ট নাসরিন নামে আরেক নারীর। তার বাবার নাম সাহাব উদ্দিন, মায়ের নাম লাইলি বেগম। তিনি ২০১৬ সালের ৩০ মে ছাড়পত্র নিয়ে সৌদি চলে যান। বিএমইটিতে রেজিস্ট্রেশন করা জন্ম তারিখ ও পাসপোর্টে উল্লিখিত জন্ম তারিখের সঙ্গে কোনো মিল নেই।

এছাড়াও ২৩টি সংস্থার বিরুদ্ধে ভুয়া প্রত্যাগত দেখিয়ে পাসপোর্ট জাল-জালিয়াতির আরো একাধিক তথ্য আমার দেশ-এর কাছে আছে।

অনুসন্ধানে এসব সংস্থা ছাড়াও আরো কয়েকটি রিক্রুটিং এজেন্সির সংশ্লিষ্টতা পাওয়া গেছে। এর মধ্যে রয়েছে মেসার্স মাস ট্রেড ইন্টারন্যাশনাল (আরএল-০৫০৪)। চলতি বছরের ৫ জানুয়ারি এই এজেন্সির মাধ্যমে ছাড়পত্র পান আনোয়ারা খাতুন নামে আরেক নারী, যার পাসপোর্ট নম্বর এ১৩৫৬৯৭০৭, ভিসা নম্বর ৬১৩১৩২৮৭৯৩, ছাড়পত্র নম্বর এসএ-আই-২০২৫-৪০০৪৪৭২।

মেসার্স গালফ ওভারসিজের (আরএল ০৮২৫) মাধ্যমে সঠিক কাগজপত্র ও প্রশিক্ষণ ছাড়াই ১৯ জানুয়ারি বিএমইটির ছাড়পত্র পান আখি আক্তার নামে এক নারী। তার পাসপোর্ট নম্বর এ১২৫০৩২৪৬, ভিসা নম্বর ৬১৩৩৪৬৭৩০৬, ছাড়পত্র নম্বর এসএ-আই-২০২৫-৪০২২৫৪৭, যা সম্পূর্ণ জালিয়াতির মাধ্যমে পান বলে প্রমাণ পাওয়া গেছে।

জানা গেছে, এই এজেন্সির আলাদা দক্ষতা আছে জালিয়াতির কাজে। নারী শ্রমিককে ভুয়া কাগজপত্র করে পাচারকাজে এই এজেন্সির আলাদা খ্যাতিও আছে।

এ বিষয়ে জানতে যোগাযোগ করা হলে নাম-পরিচয় না জানিয়ে এক ব্যক্তি বলেন, সংবাদ করে কী করতে পারেন করেন।

জাল প্রত্যাগত দেখিয়ে জিএম ওভারসিজ লিমিটেডের (আরএল ১৯০৩) মাধ্যমে অনলাইনে নথি দাখিল করে ছাড়পত্র পান মোছা. ফাহিমা আক্তার। তার পাসপোর্ট নম্বর এ১৫০৬৪৫১৪, ভিসা নম্বর ৬১২৯৭৬১৬০২। তিনি চলতি বছরের ২ জানুয়ারি সৌদি আরবের ছাড়পত্র পান। ছাড়পত্র নম্বর এসএ-আই-২০২৫৪০০১৬০০।

গত বছরের ২ অক্টোবর বিএমইটি থেকে ছাড়পত্র পান নিলুফা আক্তার নামে এক নারী। ভুয়া প্রত্যাগত দেখিয়ে নাঈম এয়ার এমপ্লয়মেন্টের (আরএল১২০৬) মাধ্যমে ছাড়পত্র পান তিনি। ছাড়পত্র নম্বর এসএ-আই-২০২৪-৪১৪০৬৮৮, পাসপোর্ট নম্বর এ০৫৭৯৭৭১৪, ভিসা নম্বর ৬১২৪২০৪৭০৬। এছাড়াও মেসার্স পিচ এয়ার ওভারসিজ (আরএল ১৩১৩), মাসুদ জামিল ওভারসিজ (আরএল ১৪০০), অপরাজিতা ওভারসিজ আরএল (১৩১৮), এইচপি ওভারসিজ (আরএল ১৩৮৮), এবিডি এয়ার ইন্টারন্যাশনাল (আরএল ১৭৫১) মেসার্স আল আব্বাস ইন্টারন্যাশনাল (আরএল ০২৪৮), মেসার্স অ্যারিবিয়ান গালফ অ্যাসোসিয়েট কোং (আরএল ০০৫১), মেসার্স ন্যাপ এয়ার ইন্টারন্যাশনাল (আরএল ১৪৪০) এজেন্সির জড়িত থাকার প্রমাণ পাওয়া গেছে।

এছাড়াও এ তালিকায় আরো আছে মেসার্স জাবের ইন্টরান্যাশনাল (আরএল ০৭২৩), মেসার্স ইসতেমা ইন্টারন্যাশনাল রিক্রুটিং এজেন্সি (আরএল ১২৫১), মেসার্স এসএস আনোয়ার ওভারসিজ লি. (আরএল ১৩৭৩), মেসার্স রেইন ওভারসিজ (আরএল ১৮৯০), মেসার্স নীলনদ ওভারসিজ (আরএল ১৩৩২), মেসার্স সামস কোম্পানি (আরএল ০৬৯৬), মেসার্স ফেনী ওভারসিজ (আরএল ১৪৮২)। এসব সংস্থার মাধ্যমে বিদেশে যাওয়া অধিকাংশ শ্রমিকের নাম, ঠিকানা ও ছবির সঙ্গে প্রকৃত পাসপোর্টের মিল নেই।

অভিযুক্ত এসব এজেন্সি মালিকদের বক্তব্য জানতে সংশ্লিষ্ট নম্বরে কল দিলে তারা দাবি করেন, তারা এমন জালিয়াতি ও প্রতারণা করছেন না। তাদের এজেন্সির নামে এমন কোনো প্রমাণও নেই।

আমার দেশ-এর কাছে অসংখ্য প্রমাণ আছে জানানোর পর তারা বলেন, ‘অফিসে এসে প্রমাণ দেখিয়ে যান।’

নিয়মানুযায়ী কোনো ব্যক্তির বিএমইটির ছাড়পত্র পেতে তার ফাইল অন্তত ছয়টি দপ্তর থেকে চেক করার কথা। এতে প্রথমে প্রবাসে গমনেচ্ছু ব্যক্তির ফাইল তোলা হয় সংশ্লিষ্ট সেকশনে। সেখান থেকে যায় সংশ্লিষ্ট শাখার সহকারী পরিচালক, উপপরিচালক, পরিচালক, অতিরিক্ত মহাপরিচালকের দপ্তরে। আর সব শেষে এসব ফাইলের চূড়ান্ত অনুমোদন দেন মহাপরিচালক।

অনুসন্ধানে জানা গেছে, অধরা এসব কর্মকর্তার মধ্যে আছেন বিএমইটির সাবেক এডিজি শাহ আবদুল তারিক, যিনি বর্তমানে শ্রম অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক; পরিচালক (বহির্গমন) মামুন সর্দার, যিনি বর্তমানে মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রকল্প পরিচালক; উপপরিচালক (বহির্গমন) আবদুল গাফফার, যিনি বিএমইটির প্রশিক্ষণ পরিচালনা শাখায় আছেন; সহকারী পরিচালক (বহির্গমন) আবদুল জলিল খন্দকার, যিনি মানিকগঞ্জে জেলা কর্মসংস্থান ও জনশক্তি অফিসে কর্মরত; দোলন চন্দ্র বৈঞ্চব, যিনি বর্তমানে বিএমইটিতে কর্মসংস্থান অনুশাখায় কর্মরত; ডেটা এন্ট্রি/কন্ট্রোল অপারেটর সৌরব আলী, যিনি বিএমইটির সাধারণ সেবা শাখায় কর্মরত; উচ্চমান সহকারী তোফায়েল খান, বর্তমানে তিনি বিকেটিটিসি দারুসসালাম মিরপুরে কর্মরত; বহির্গমন বিভাগের প্রধান সহকারী সোহেল রানা, কম্পিউটার অপারেটর ফারজানা হক, যিনি বর্তমানে মহিলা টিটিসি মিরপুরে কর্মরত। বিএমইটির ডেটাবেজ যাচাই না করে সংশ্লিষ্ট এজেন্সিগুলোর সঙ্গে টাকার বিনিময়ে জাল পাসপোর্ট ব্যবহার করে প্রত্যাগত দেখিয়ে এসব নারী শ্রমিকের ছাড়পত্র দিয়েছেন এই কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।

এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে সাবেক পরিচালক (বহির্গমন) মামুন সরদার বলেন, ‘আমি এখন বিএমইটিতে নেই। বর্তমানে মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ে আছি। বিষয়টি তো দুদক দেখছে। বিএমইটিও আলাদা তদন্ত করছে। সুতরাং যখন তদন্ত হচ্ছে, এ বিষয়ে এখন আমি কিছু বলতে পারব না।

উপপরিচালক আবদুল গাফফারের ফোন বন্ধ থাকায় বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি। পরে তাকে হোয়াটসঅ্যাপে বার্তা পাঠালেও জবাব পাওয়া যয়নি। সহকারী পরিচালক আবদুল জলিল খন্দকারের নম্বরে ফোন দিলে পরিচয় পাওয়ার পর তিনি কথা বলেননি। ফারজানা হককে প্রশ্ন করার পর সঙ্গে সঙ্গে ফোন কেটে দেন। দোলন চন্দ্র বৈঞ্চব বলেন, তিনি এখন কর্মসংস্থান শাখায়। তিনি এর কোনোকিছু জানেন না।

অনুরূপ জবাব দেন সৌরব আলী ও সোহেল খানও।

সাবেক এডিজি শাহ আবদুল তারিক বলেন, জাল-জালিয়াতির মাধ্যমে ছাড়পত্র দেওয়ার বিষয়টি কোনোভাবে সম্ভব নয়। কারণ, ফাইল কয়েক ধাপ পেরিয়ে উপর পর্যন্ত আসে। পরে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এজেন্সিগুলো যদি ভুয়া কাগজপত্র তৈরি করে ছাড়পত্র নেয়, তাহলে এখানে তাদের বড় ধরনের অপরাধ হয়েছে।