Image description

‘আমি পালাব না। কোরআনের কসম, আমি ওমরাহ করে এসেছি। আমি কেমন ছেলে, তা সবাই জানে’— গ্রেপ্তারের আগে পুলিশকে এভাবেই বলেছিলেন কনটেন্ট ক্রিয়েটর তৌহিদ আফ্রিদি। রবিবার (২৪ আগস্ট) রাতে সিআইডির একটি দল তাকে বরিশাল থেকে গ্রেপ্তার করে। আজ সোমবার (২৫ আগস্ট) তাকে আদালতে তোলা হবে।

গ্রেপ্তারের সময় আফ্রিদিকে পুলিশ বলেন, ‘এটা কি ভাড়া বাসা?’ জবাবে তৌহিদ আফ্রিদি জানান, এটা তার দাদার বাড়ি। তার বাবা গ্রেপ্তারের পর দাদার কবর জিয়ারত করতে বরিশাল এসেছেন। পরে তাকে গাড়িতে তোলা হয়। রাতেই তাকে ঢাকায় আনা হয়। 

গতকাল রাত সাড়ে ১০টার দিকে পুলিশ অভিযান শুরু করলে প্রতিবেশীরা জানতে পারেন, তৌহিদ আফ্রিদিকে ধরতে এই অভিযান। একজন প্রতিবেশী নাম প্রকাশ না করার শর্তে আজ সোমবার বলেন, ‘তৌহিদ আফ্রিদি এখানে লুকিয়ে ছিলেন, সেটা আমরা ধারণা করতে পারিনি। গ্রেপ্তার হওয়ার পর জানলাম। আগে জানতাম তৌহিদ আফ্রিদির দাদা বাড়ি বরিশালেই।’

এদিকে আফ্রিদিকে গ্রেপ্তারের একটি ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে অনলাইনে। যেখানে তার স্ত্রীকেও দেখা যায়। গ্রেপ্তারের পর তৌহিদ আফ্রিদি পুলিশকে বলেন, ‘আমি শুধু ভয় পাচ্ছিলাম। কারণ, আমার স্ত্রী ছয় মাসের অন্তঃসত্ত্বা।’

এর আগে ১৭ আগস্ট রাজধানীর গুলশান থেকে আফ্রিদির বাবা বেসরকারি টিভি চ্যানেল মাই টিভির চেয়ারম্যান নাসির উদ্দিন সাথীকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরদিন এ মামলায় তার ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।

মামলার সূত্রে জানা গেছে, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন চলাকালে গত বছরের ৫ আগস্ট যাত্রাবাড়ী থানাধীন পাকা রাস্তার ওপর আন্দোলনে অংশ নেন মো. আসাদুল হক বাবু। ঘটনার দিন দুপুর আড়াইটায় আসামিদের ছোড়া গুলি আসাদুলের বুকে ও ডান পাশে লাগে। পরে হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় গত বছরের ৩০ আগস্ট যাত্রাবাড়ী থানায় হত্যা মামলা করেন নিহতের বাবা জয়নাল আবেদীন। এ মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ২৫ জনকে আসামি করা হয়। এ মামলায় নাসির উদ্দিন ২২ নম্বর ও তার ছেলে তৌহিদ আফ্রিদি ১১ নম্বর এজাহারনামীয় আসামি।