Image description
 

ব্যারাকে কনস্টেবল নারী সহকর্মীকে ধর্ষণের মামলায় ঢাকার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার কনস্টেবল সাফিউর রহমান (৩০) কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত। ‎একই সঙ্গে পাঁচ দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদনের শুনানি দিন আগামীকাল রবিবার ঠিক করেছেন আদালত।

‎আজ শনিবার ঢাকার সিনিয়র জুডিশিয়াল মাজিস্ট্রেট আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ সালেহ এ আদেশ দিয়েছেন।

‎গত ‎শুক্রবার ঢাকার মিল ব্যারাক পুলিশ লাইন্স থেকে গ্রেপ্তার সাফিউরকে অজা মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই জুলফিকার আলী পাঁচ দিনের রিমান্ড আবেদন করে আদালতে হাজির করেন।

‎‎শুনানিকালে আসামির কাঠগড়ায় এক কোণায় দাঁড়িয়ে ছিলেন। তার পক্ষে কোনো আইনজীবী ছিলেন না। আদালত তার কাছে ঘটনার বিষয়ে জানতে চান। আদালতকে তিনি বলেন, তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক ছিল। তিনি তাকে বিয়ে করবেন।

‎বিয়ে করেছেন কি না—এ বিষয়ে বিচারক জানতে চাইলে পুলিশ কনস্টেবল বলেন, গ্রামের বাড়িতে তার স্ত্রী আছে। এক বছর আগে বিয়ে করেছেন।

স্ত্রী রেখে আরেকজনের সঙ্গে প্রেম করেন কেন? বিচারকের এই প্রশ্নের জবাবে সাফিউর বলেন, ইসলামী শরিয়া মোতাবেক তাকে বিয়ে করবেন।

‎‎এ সময় আদালতের বিচারক তাকে বলেন, ভুক্তভোগী তো মামলা দিয়েছেন। ওই নারীর সঙ্গে যোগাযোগের করে মামলার সমাধান করতে পরামর্শ দেন আদালত। আসামিকে প্রশ্ন করেন, ‘বউ রেখে আরেক নারীর দিকে চোখ যায় কেমনে?’ এ প্রশ্নের জবাব দেননি পুলিশের ওই সদস্য।

‎‎আজ মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আদালতে উপস্থিত ছিলেন না। তাই তার উপস্থিতিতে রিমান্ড শুনানির দিন আগামীকাল ধার্য করে সাফিউরকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন বিচারক।

‎‎ধর্ষণের অভিযোগে গতকাল দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানায় মামলা করেন ওই নারী কনস্টেবল। ‎মামলায় অভিযোগ থেকে জানা যায়, সাফিউর রহমান গত ১৫ অগাস্ট রাত আড়াইটা থেকে ৪টা পর্যন্ত বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে দক্ষিল কেরাণীগঞ্জ থানা ভবনের দ্বিতীয় তলার দক্ষিণ পাশের নারী ব্যারাকে ভুক্তভোগীর শয়নকক্ষে প্রবেশ করে ধর্ষণ করেন। তার আগে বিগত ৫ মাসে সপ্তাহে দুবার করে ধর্ষণ করেন এবং তাদের অন্তরঙ্গ মুহূর্তের ভিডিও তার ব্যবহৃত আইফোনে ধারণ করে ব্লাকমেইল করেন।