Image description

চট্টগ্রাম মহানগর আদালতে সেবাপ্রার্থীর কাছ থেকে পুলিশের এক সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তার (জিআরও) প্রকাশ্যে টাকা নেওয়ার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। এ ঘটনায় তাঁকে প্রত্যাহার করা হয়েছে।

অভিযুক্ত ওই কর্মকর্তা হলেন আদালতে নগর পুলিশের প্রসিকিউশন বিভাগের উপপরিদর্শক (এসআই) মো. শাহীন ভূঁইয়া। তিনি নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের মামলাগুলো নথিভুক্ত করতেন এবং এক দশকেরও বেশি সময় ধরে চট্টগ্রাম আদালতে কর্মরত রয়েছেন। তাঁর বিরুদ্ধে টাকার বিনিময়ে মামলার নথি সরবরাহসহ বিভিন্ন সুবিধা দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে।

৩২ সেকেন্ডের ওই ভিডিওতে দেখা গেছে, এসআই শাহীন নিজ কার্যালয়ে চেয়ারে বসে রয়েছেন। একপর্যায়ে তাঁর কাছে আসা একজন মানিব্যাগ বের করে তিনটি নোট দেন। তিনি টাকাগুলো গুনে নিজের কাছে রেখে দেন।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, টাকাগুলো দেন একজন আইনজীবী। তাঁর নাম তন্ময় বসাক। তিনি বলেন, ‘এটা শুধু একটা ট্রানজেকশন (লেনদেন) ছিল। ঘুষ প্রদান কিংবা অনৈতিক লেনদেন ছিল না। ঘুষ যদি দেওয়া হতো, মোটা অঙ্কের টাকা লেনদেন হতো। কোর্টে কোনো একটা কাজ করাতে হলে তাঁর বিনিময়ে ৫০-১০০ টাকা দিতে হয়, এটা সবাই জানে। আমিও সামান্য টাকা দিয়েছিলাম।’

ভিডিওটি দুই মাস আগের বলে দাবি করেন তন্ময়। তিনি বলেন, ‘কোরবানির ঈদের আগে আমি একটি মামলায় কয়েকজন আসামির জামিন করিয়েছিলাম। তখন জামিনের ফাইল প্রসেসিং বিষয়ে উনার (এসআই শাহীন) কাছে গিয়েছিলাম। সম্ভবত তখন কেউ গোপনে এই ভিডিও ধারণ করে থাকতে পারে। তবে এত দিন পর কেন ভিডিওটি নিয়ে আলোচনা হচ্ছে, তা বুঝতে পারছি না।’

চট্টগ্রাম আদালতে নগর পুলিশের প্রসিকিউশন বিভাগের অতিরিক্ত উপকমিশনার (এডিসি) মো. মফিজ উদ্দিন বলেন, ‘আমরা ওই ভিডিওর বিষয়ে অবগত হয়েছি। ঘটনার পর শুক্রবার অভিযুক্ত পুলিশ সদস্যকে দায়িত্ব থেকে আপাতত প্রত্যাহার করা হয়েছে। পরে বিভাগীয় তদন্ত প্রতিবেদন পাওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে তাঁর বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
শীর্ষনিউজ