Image description
আগামী ২৫ আগস্ট পরিদর্শনে যাচ্ছেন প্রধান উপদেষ্টা

কক্সবাজারের উপকূলীয় দ্বীপ মহেশখালী ও কুতুবদিয়াকে ঘিরে গড়ে উঠছে দেশের সম্ভাবনাময় নতুন শিল্প ও জ্বালানি কেন্দ্র। গভীর সমুদ্রবন্দর, বিদ্যুৎকেন্দ্র এবং লজিস্টিক সুবিধা কেন্দ্র করে অঞ্চলটিকে পূর্ণাঙ্গ অর্থনৈতিক হাব হিসেবে গড়ে তোলার কাজ শুরু হয়েছে।

এই উদ্যোগের অগ্রগতি সরেজমিনে পর্যালোচনা করতে আগামী ২৫ আগস্ট মহেশখালী সফর করবেন প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস। সফরসঙ্গী হিসেবে থাকবেন নৌপরিবহন উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার (অব.) ড. সাখাওয়াত হোসেন, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি উপদেষ্টা ফাওজুল কবির খান এবং মহেশখালী সমন্বিত উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (মিডা) এর চেয়ারম্যান আশিক চৌধুরী।

প্রসঙ্গত, চলতি বছরের ২৩ জুন গঠিত হয় মিডা। মহেশখালী-মাতারবাড়ী অঞ্চলের বিদ্যমান বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পকে একটি কর্তৃপক্ষের অধীনে এনে সমন্বিতভাবে বাস্তবায়নের লক্ষ্যে এ সংস্থাটি কাজ করছে। এই অঞ্চলে গড়ে তোলা হবে বন্দর ও লজিস্টিক হাব, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি হাব, শিল্প ও ম্যানুফ্যাকচারিং হাব, মৎস্য প্রক্রিয়াকরণ বাজারজাতকরণ হাব ও আধুনিক টাউনশিপ হাব হিসেবে।

বর্তমানে মাতারবাড়িতে রয়েছে ১ হাজার ২০০ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন কয়লা ভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র। যা পরিচালনা করছে কোল পাওয়ার জেনারেশন কোম্পানি বাংলাদেশ লিমিটেড (সিপিজিসিবিএল)। প্রকল্পটির আর্থিক ও কারিগরি সহায়তায় রয়েছে জাপানের জাইকা। বিদ্যুৎকেন্দ্রটির জন্য প্রতি মাসে অন্তত ৩ লাখ টন কয়লা আমদানি করতে হবে। এজন্য ইতোমধ্যে নির্মিত হয়েছে ১৪.৩ কিলোমিটার দীর্ঘ, ২৫০ মিটার প্রস্থ এবং ১৬ মিটার গভীর একটি নৌ-চ্যানেল।

বিশেষজ্ঞদের মতে, এই চ্যানেলের প্রস্থ আরো ১০০ মিটার ও গভীরতা ২ মিটার বাড়ানো হলে সেটিকে পূর্ণাঙ্গ গভীর সমুদ্রবন্দর হিসেবে ব্যবহারের সুযোগ তৈরি হবে। উদ্যোগ নিলে বছরে ২ থেকে আড়াই বিলিয়ন ডলার রাজস্ব আয়ের যোগান দিতে পারে মাতারবাড়ি গভীর সমুদ্র বন্দর। সেই সাথে বন্দর নিরাপত্তার পাশাপাশি এ প্রকল্পের সাথে সমুদ্র সীমান্তে প্রতিরক্ষার কথা ভাবছে সরকার। প্রধান উপদেষ্টার এ সফরের মাধ্যমে মহেশখালী-কুতুবদিয়া অঞ্চলের উন্নয়ন কর্মকা-ে নতুন মাত্রা পাবে বলে আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা।