
নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে জামায়াত-শিবিরের ৭ নেতাকর্মী হত্যা মামলায় কাদের মির্জার ঘনিষ্ঠ সহচর বসুরহাট পৌরসভা ৬নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মানিক তালুকদারকে (৫৫) গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
বুধবার সকালে মানিক তালুকদারকে আদালতে পাঠানো হয়। এর আগে মঙ্গলবার রাতে বসুরহাট পৌরসভা ৬নং ওয়ার্ড থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতার মানিক ওই ওয়ার্ডের আবুল কালামের ছেলে। তিনি বসুরহাট পৌরসভার সাবেক মেয়র আব্দুল কাদের মির্জার ঘনিষ্ঠ সহচর হিসেবে পরিচিত।
কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গাজী মুহাম্মদ ফৌজুল আজিম জানান, আওয়ামী লীগ নেতা মানিক ২০১৩ সালে কোম্পানীগঞ্জে জামায়াত-শিবিরের ৭ নেতাকর্মী হত্যা মামলার আসামি। গত ৫ আগস্টের আওয়ামী সরকার পতনের পর তিনি আত্মগোপনে ছিলেন। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, ২০১৩ সালে ১৪ ডিসেম্বর নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জের বসুরহাট পৌরসভার ৮ নাম্বার ওয়ার্ডের উপজেলা গেটে আওয়ামী লীগ ও পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জামায়াত-শিবিরের ৭ নেতাকর্মী গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হন। হত্যার ঘটনায় নিহত জামায়াত কর্মী সাইফুল ইসলামের বড় ভাই মো. আমিরুল ইসলাম বাদী হয়ে আদালতে একটি মামলার আবেদন করেন। আদালত আবেদনটি আমলে নিয়ে কোম্পানীগঞ্জ থানাকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেন।
পরবর্তীতে গত ২৬ সেপ্টেম্বর নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে জামায়াতের নেতাকর্মী হত্যার ঘটনায় বসুরহাট পৌরসভার সাবেক মেয়র আবদুল কাদের মির্জা, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান বাদল, সাবেক উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. নুরুজ্জামানসহ ১১২ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করা হয়।
এছাড়া কোম্পানীগঞ্জ থানার সাবেক পরিদর্শক (তদন্ত) মো. শফিকুল ইসলাম, সাবেক উপপরিদর্শক সুধীর রঞ্জন বড়ুয়া, আবুল কালাম আজাদ, শিশির কুমার বিশ্বাস ও উক্যসিং মারমাকে ওই মামলায় আসামি করা হয়েছে।