
এশিয়া কাপ সামনে রেখে ফিটনেস ক্যাম্প ও অনুশীলনে ব্যস্ত জাতীয় দলের ক্রিকেটাররা। এরই ফাঁকে মঙ্গলবার সকালে রাজধানীর এক পাঁচ তারকা হোটেলে বসে বিসিবি সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুল ও ক্রিকেটারদের দীর্ঘ বৈঠক। প্রায় তিন ঘণ্টার এই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় দলের চুক্তিবদ্ধ ক্রিকেটার ছাড়াও অন্যান্য খেলোয়াড়, সাপোর্ট স্টাফ, কোচ এবং বোর্ড পরিচালকরা।
সভাপতি বুলবুল জানান, মূলত “শেয়ার অ্যান্ড কেয়ার” নামের এই সেশনে খেলোয়াড়দের সমস্যাবলি, পারফরম্যান্স উন্নয়ন এবং দেশের ক্রিকেটকে সুরক্ষিত রাখার নানা দিক নিয়ে আলোচনা হয়েছে। তার ভাষায়, ‘আমরা তিনটি দল—মাঠের ক্রিকেটাররা, ডাগআউটের সাপোর্ট স্টাফরা আর বোর্ড—এখন একসঙ্গে কাজ করছি। সবাইকে নিয়ে কীভাবে আরও উন্নতি করা যায়, সেটিই ছিল মূল লক্ষ্য।’
আলোচনার মূল বিষয়গুলো
ইন্টিগ্রিটি ও সুরক্ষা: বৈঠকে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে ক্রিকেটকে সুরক্ষিত রাখার ওপর। ডোপিংবিরোধী পদক্ষেপ, সেফ গার্ডিং এবং খেলোয়াড়দের নৈতিক দিক নিয়ে ছিল আলাদা সেশন। আন্তর্জাতিক পর্যায়ে কাজ করা অ্যালেক্স মার্শাল খেলোয়াড়দের এই বিষয়ে দিকনির্দেশনা দেন।
খেলোয়াড়দের সহায়তা: লজিস্টিক, পিচের মান, অনুশীলন সুবিধা ও চিকিৎসাসহ খেলোয়াড়রা মাঠের ভেতরে–বাইরে কোথায় কী সহায়তা পাচ্ছেন বা কোথায় ঘাটতি আছে, সেসব বিষয়ে সরাসরি মতামত জানান ক্রিকেটাররা।
পারফরম্যান্স উন্নয়ন: কীভাবে নিজেদের আরও উন্নত করা যায় এবং বিশ্বের সেরা পর্যায়ে পৌঁছানো সম্ভব—সেসব বিষয়ে আত্মবিশ্বাস বাড়াতে আলোচনা হয়।
নিয়মিত সেশন: বিসিবি সিদ্ধান্ত নিয়েছে, প্রতি তিন মাস পরপর এ ধরনের বৈঠক হবে, যেখানে খেলোয়াড়রা মুক্তভাবে তাদের মতামত জানাতে পারবেন।
সভাপতি বুলবুলের মতে, সবচেয়ে বড় সাফল্য ছিল ক্রিকেটারদের খোলামেলা অংশগ্রহণ। ‘আমাদের আলোচ্যসূচির বাইরে গিয়েও তারা মাইক্রোফোন হাতে নিজেদের কথা বলেছে। মনে হচ্ছিল আমরা সত্যিই একটি দল। খেলোয়াড়দের ইতিবাচক মনোভাবই দেখিয়েছে সামনে এগোনোর পথ।’
তিনি আরও যোগ করেন, ‘দিনশেষে হারলে কেবল ক্রিকেটাররা নয়, কর্মকর্তারাও হারেন। আমরা সবাই মিলে এক টিম। ক্রিকেটাররা যদি নিশ্চিন্তে খেলতে পারে, তাহলেই দেশের ক্রিকেট এগিয়ে যাবে।’