Image description

আইনি জটিলতায় প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে শিক্ষক নিয়োগ দিতে পারছে না রাঙামাটি জেলা পরিষদ । পাঁচ বছর ধরে বন্ধ রয়েছে নিয়োগ কার্যক্রম । এতে সহকারী ও প্রধান শিক্ষকের হাজারের বেশি পদ শূন্য রয়েছে । শিশুরা বঞ্চিত হচ্ছে শিক্ষা থেকে । চাপ বেড়েছে শিক্ষকদেরও । পাশাপাশি বঞ্চিত হচ্ছেন চাকরিপ্রত্যাশীরা । সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন , প্রাথমিক শিক্ষার স্তর এভাবে নড়বড়ে থাকলে পাহাড়ের শিক্ষাব্যবস্থা ভেঙে পড়বে ।

রাঙামাটির জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা হৃষীকেশ শীল বলেন , ‘ ২০২০ সাল থেকে শিক্ষক নিয়োগ বন্ধ । এর কারণে প্রাথমিক শিক্ষাব্যবস্থায় মারাত্মক ক্ষতি হচ্ছে । রাঙামাটি জেলায় প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সংখ্যা ৭০৭। এসব বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী ৫০ হাজারের বেশি । সহকারী শিক্ষকের পদ খালি আছে ৬০২ টি এবং প্রধান শিক্ষকের পদ খালি ৩৭৩ টি । শূন্য পদের সংখ্যা প্রতিনিয়ত বাড়ছে । কিন্তু আমরা শূন্য আইনি জটিলতায় প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে শিক্ষক নিয়োগ দিতে পারছে না রাঙামাটি জেলা পরিষদ । পাঁচ বছর ধরে বন্ধ রয়েছে নিয়োগ কার্যক্রম । এতে সহকারী ও প্রধান শিক্ষকের হাজারের বেশি পদ শূন্য রয়েছে । শিশুরা বঞ্চিত হচ্ছে শিক্ষা থেকে । চাপ বেড়েছে শিক্ষকদেরও । পাশাপাশি বঞ্চিত হচ্ছেন চাকরিপ্রত্যাশীরা ।

সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন , প্রাথমিক শিক্ষার স্তর এভাবে নড়বড়ে থাকলে পাহাড়ের শিক্ষাব্যবস্থা ভেঙে পড়বে । রাঙামাটির জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা হৃষীকেশ শীল বলেন , ‘ ২০২০ সাল থেকে শিক্ষক নিয়োগ বন্ধ । এর কারণে প্রাথমিক শিক্ষাব্যবস্থায় মারাত্মক ক্ষতি হচ্ছে । রাঙামাটি জেলায় প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সংখ্যা ৭০৭। এসব বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী ৫০ হাজারের বেশি । সহকারী শিক্ষকের পদ খালি আছে ৬০২ টি এবং প্রধান শিক্ষকের পদ খালি ৩৭৩ টি । শূন্য পদের সংখ্যা প্রতিনিয়ত বাড়ছে । কিন্তু আমরা শূন্য হয়ে চলে আসায় সংকট চরম আকার ধারণ করেছে । কোথাও একজন , কোথাও দুজন শিক্ষক দিয়ে চলছে পাঠদান । এভাবে চলতে থাকলে পাহাড়ের শিক্ষাব্যবস্থা ভেঙে পড়বে । সচেতন মহল বলছে , গুরুত্বপূর্ণ এই শিক্ষা বিভাগকে অবহেলার কারণে নতুন প্রজন্ম ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে ।

গবেষক তনয় দেওয়ান বলেন , “আইনে স্পষ্ট উল্লেখ রয়েছে যে প্রাথমিক শিক্ষকদের পার্বত্য চট্টগ্রামের স্থায়ী বাসিন্দা হতে হবে । আপাতদৃষ্টিতে অনেকে মনে করবে , জাতীয়ভাবে প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ হলে পাহাড়ে শিক্ষক - সংকট দূর হবে ; আসলে সেটা নয় । এই এলাকার জন্য বিশেষ আইন রয়েছে । সে আইনে সমস্যার সমাধান না করলে এই সংকট আরও বাড়বে । শিক্ষক নিয়োগ কার্যক্রম বন্ধ থাকায় মাল্টিপল সমস্যা সৃষ্টি হচ্ছে । চাকরিবঞ্চিত পাহাড়ের শিক্ষিত শ্রেণি । এখানে অর্থনীতি জড়িত । যদি আজ এক হাজারজনের চাকরি হতো , তাহলে তাদের সব দিক দিয়ে ভাগ্যেরও উন্নতি হতো । একটি পরিবার ঠিকানা পেত । কিন্তু সেটি আজ স্থবির । যে আইনি জটিলতা সৃষ্টি করে রাখা হয়েছে , এটি নিরসন করা জরুরি । ' জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা হৃষীকেশ শীল বলেন , ‘ উচ্চ আদালত যদি মামলাটি নিষ্পত্তি না করেন , তাহলে আমাদের কিছুই করার থাকবে না । আমাদের তো দাপ্তরিক কাজ আছে । এই মামলা নিষ্পত্তির জন্য কে আদালতের বারান্দায় বারান্দায় ঘুরবে । ' রাঙামাটি জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান কাজল তালুকদার বলেন , “ আমরা চেষ্টা করছি মামলাটি নিষ্পত্তি করার ; কিন্তু সেটি দেরি হচ্ছে । '