Image description

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে বিভিন্ন দলের মনোনয়নপ্রত্যাশীদের মাঝে আইনজীবীদেরও রয়েছে শক্ত অবস্থান। ইতোমধ্যে বিএনপি, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী, জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি), লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টিসহ (এলডিপি) কয়েকটি দলের মনোনয়নপ্রত্যাশী আইনজীবীদের অনেকেই রয়েছেন হেভিওয়েট প্রার্থীর তালিকায়। নির্বাচনকে সামনে রেখে এলাকা চষে বেড়াচ্ছেন এসব আইনজীবী।

ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের আগ পর্যন্ত হামলা-মামলাসহ বিভিন্ন ইস্যুতে মনোনয়নপ্রত্যাশী এসব আইনজীবী ছিলেন সম্মুখ সারিতে। তাই নির্যাতিত সাধারণ মানুষসহ এলাকার ভোটারদের কাছে সমান জনপ্রিয় এসব আইনজীবী। বিভিন্ন দল থেকে আসা প্রার্থী ও মনোনয়নপ্রত্যাশী এসব আইনজীবীর অনেকেই তুলনামূলক তরুণ ও উদ্যমী। মানুষের কল্যাণে কাজ করার প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করছেন তারা।

অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন ও ব্যারিস্টার ফুয়াদ

বরিশাল-৩ (বাবুগঞ্জ-মুলাদী) আসনে বিএনপি ও আমার বাংলাদেশ (এবি) পার্টি থেকে দুজন স্বনামধন্য আইনজীবী মনোনয়নপ্রত্যাশী। এর মধ্যে রয়েছেন জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের বর্তমান সভাপতি ও বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন। দলীয় নেতা-কর্মীদের সংগঠিত করে আন্দোলন সংগ্রামে ছিলেন অগ্রণী ভূমিকায়। তিনি বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের ভাইস চেয়ারম্যান ও সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির তিনবারের সভাপতি।

এ আসনেই প্রার্থী তালিকায় রয়েছেন তরুণ আইনজীবী, অনলবর্ষী বক্তা ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদ। স্পষ্টভাষী ও তরুণ রাজনীতিবিদ হিসেবে এবি পার্টির সাধারণ সম্পাদক ফুয়াদের দেশব্যাপী রয়েছে বিপুল ভক্ত-সমর্থক।

অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান

ঝিনাইদহ-১ (শৈলকুপা) আসনে বিএনপি থেকে মনোনয়নপ্রত্যাশী রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ আইন কর্মকর্তা (অ্যাটর্নি জেনারেল) মো. আসাদুজ্জামান। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মেধাবী ছাত্রনেতা এবং বিএনপির কেন্দ্রীয় মানবাধিকারবিষয়ক সম্পাদক মো. আসাদুজ্জামান নিজ এলাকার আপামর মানুষের কাছে জনপ্রিয় ব্যক্তিত্ব। ধানের শীষের সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে ইতোমধ্যে তিনি বিভিন্ন সভা-সমিতিতে প্রচারাভিযানে রয়েছেন। এর আগেও এই আসনে ধানের শীষের প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন তিনি।

ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন

নোয়াখালী-১ (চাটখিল-সোনাইমুড়ি) আসন থেকে এবারো ধানের শীষের প্রার্থী হতে যাচ্ছেন ব্যারিস্টার এএম মাহবুব উদ্দিন খোকন। তিনি সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির বর্তমান সভাপতি ও বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য। এলাকায় দলমত নির্বিশেষে বেশ জনপ্রিয় তিনি। জানতে চাইলে মাহবুব উদ্দিন খোকন আমার দেশকে জানান, ‘মানুষের কল্যাণে কাজ করে যেতে চাই।’

ব্যারিস্টার মাহফুজুর রহমান মিলন

রাজশাহী-১ আসনে বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশী সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির বর্তমান ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক ও ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. মাহফুজুর রহমান মিলন। তিনি বিগত আন্দোলন-সংগ্রামে দলীয় নেতা-কর্মীদের নানাভাবে সাহায্য-সহযোগিতা করে এলাকাবাসীর কাছে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছেন। মাহফুজুর রহমান মিলন বলেন, ‘বিগত সময়ের মতো এলাকাবাসীর স্বার্থে সব সময় ভূমিকা পালন করতে চাই।’

ব্যারিস্টার কায়সার কামাল

নেত্রকোনা-১ (দুর্গাপুর-কলমাকান্দা) আসনে বিএনপির হেভিওয়েট মনোনয়নপ্রত্যাশী দলের কেন্দ্রীয় কমিটির আইনবিষয়ক সম্পাদক ও জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের মহাসচিব ব্যারিস্টার কায়সার কামাল। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক নির্বাচিত সিনেট সদস্য ও আইনজীবী অঙ্গনে সক্রিয় ব্যারিস্টার কায়সার কামাল আমার দেশকে বলেন, ‘দুর্গাপুর কমলাকান্দার মানুষের আপদে-বিপদে ছিলাম এবং ভবিষ্যতেও থাকব। জনপ্রতিনিধি হিসেবে এলাকাবাসীর শিক্ষা, চিকিৎসা ও যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নে ভূমিকা রাখার ব্যাপারে আমি আশাবাদী।

ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল

ঝিনাইদহ-৩ (কোটচাঁদপুর-মহেশপুর) আসনে বিএনপির মনোনয়ন পেতে পারেন জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও সুপ্রিম কোর্ট বারের সাবেক সম্পাদক ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল। তিনি জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম মহাসচিব ও ছাত্রদলের সাবেক আইনবিষয়ক সম্পাদক। আইন অঙ্গনে সুপরিচিত ব্যারিস্টার কাজল ইতোমধ্যে নিজ এলাকার গণমানুষের কাছে গ্রহণযোগ্য ব্যক্তিত্ব হিসেবে ব্যাপক সুখ্যাতি অর্জন করেছেন।

ব্যারিস্টার নাসির উদ্দিন আহমেদ অসীম ও অ্যাডভোকেট জসিম উদ্দিন সরকার

ঢাকা-১০ (ধানমন্ডি) আসনে বিএনপি থেকে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার নাসির উদ্দিন অসীমের মনোনয়ন পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ছাত্রনেতা এবং বিএনপির আন্তর্জাতিকবিষয়ক সম্পাদক। গুরুত্বপূর্ণ এ আসনে জামায়াতে ইসলামীর প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন পেয়েছেন লইয়ার্স কাউন্সিলের সভাপতি ও সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট জসিম উদ্দিন সরকার। সাবেক এ ছাত্রনেতা ইতোমধ্যে এলাকায় প্রচারাভিযানে রয়েছেন।

অ্যাডভোকেট নিতাই রায় চৌধুরী

মাগুরা-২ (শালিখা ও মহম্মদপুর) আসনে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ও সুপ্রিম কোর্টের বর্ষিয়ান আইনজীবী নিতাই রায় চৌধুরী মনোনয়নপ্রত্যাশী। তিনি বিএনপির সাবেক প্রতিমন্ত্রী ও সংসদ সদস্য ছিলেন।

ব্যারিস্টার আব্দুল্লাহ আল-মামুন

কুমিল্লা-৫ (বুড়িচং-ব্রাহ্মণপাড়া) আসনে বিএনপির টিকিট পেতে চান ব্যারিস্টার আব্দুল্লাহ আল-মামুন। অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের আইনজীবী হিসেবে তিনি ব্যাপক সুনাম কুড়িয়েছেন। অত্যন্ত সজ্জন এবং মাটি ও মানুষের নেতা হিসেবে তিনি এলাকায় জনপ্রিয়। ব্যারিস্টার আব্দুল্লাহ আল মামুন আমার দেশকে বলেন, ‘বুড়িচং-ব্রাহ্মণপাড়া মানুষের পাশে সব সময় ছিলাম এবং ভবিষ্যতেও থাকব।’

ব্যারিস্টার বদরুদ্দোজা বাদল

জামালপুর-৩ (মেলান্দহ-মাদারগঞ্জ) আসনে বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশী সুপ্রিম কোর্ট শাখা জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সভাপতি ও সুপ্রিম কোর্ট বারের সাবেক সম্পাদক ব্যারিস্টার এম বদরুদ্দোজা বাদল।

অ্যাডভোকেট গাজী তৌহিদুল ইসলাম

বরগুনা-১ (সদর-আমতলী-তালতলী) আসন থেকে ধানের শীষের মনোনয়ন পেতে চান জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম সুপ্রিম কোর্ট শাখার সদস্যসচিব অ্যাডভোকেট গাজী তৌহিদুল ইসলাম। তিনি আমতলী উপজেলা বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক ও বরগুনা জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম সম্পাদক। তরুণ এই আইনজীবী ইতোমধ্যে এলাকায় গণসংযোগে ব্যস্ত সময় পার করছেন। এ আসনটি আগে বিলুপ্ত করা হয়েছিল এবং তা পুনর্বহালের তালিকায় রয়েছে।

অ্যাডভোকেট ছিদ্দিক উল্লাহ মিয়া ও পারভেজ হোসেন

সুপ্রিম কোর্টের বিশিষ্ট আইনজীবী, জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সাবেক যুগ্ম সম্পাদক অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ ছিদ্দিক উল্লাহ মিয়া ভোলা-৪ (চরফ্যাশন-মনপুরা) আসন থেকে বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশী। এলাকার বিভিন্ন উন্নয়নে তিনি ভূমিকা রেখে খ্যাতি অর্জন করেছেন। এ আসনে জামায়াতে ইসলামী থেকে প্রার্থী তালিকায় রয়েছেন অ্যাডভোকেট পারভেজ হোসেন। এলাকার বিভিন্ন সামাজিক, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ নানা কর্মকাণ্ডে তার ভূমিকা প্রশংসনীয়। পারভেজ হোসেন আমার দেশকে জানান, ‘এলাকার মানুষের সঙ্গে সুখে-দুঃখে সব সময় আছি, থাকব।’

ব্যারিস্টার নওশাদ জমির

পঞ্চগড়-২ আসন থেকে এবার বিএনপির মনোনয়ন চাচ্ছেন সাবেক স্পিকার ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকারের ছেলে ব্যারিস্টার নওশাদ জমির। জানা গেছে, বার্ধক্য ও স্বাস্থ্যগত কারণে সাবেক স্পিকার জমির উদ্দিন সরকার এবার নির্বাচন করার অবস্থায় নেই। এ কারণে তার ছেলে এই আসন থেকে মনোনয়নপ্রত্যাশী।

ব্যারিস্টার মীর হেলাল উদ্দিন ও শাকিলা ফারজানা

চট্টগ্রাম-৫ (হাটহাজারী) আসনে বিএনপির মনোনয়ন চান সাবেক প্রতিমন্ত্রী মীর মোহাম্মদ নাছির উদ্দিনের ছেলে ব্যারিস্টার মীর হেলাল। একই আসন থেকে বিএনপির মনোনয়ন চান ব্যারিস্টার শাকিলা ফারজানা।

ব্যারিস্টার আবু সায়েম

নোয়াখালী ৪ (সদর-সুবর্ণচর) আসনে জাতীয়তাবাদী দল থেকে মনোনয়নপ্রত্যাশী বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের মানবাধিকারবিষয়ক উপদেষ্টা ও মিডিয়া সেলের সদস্য ব্যারিস্টার আবু সায়েম। এছাড়া তিনি দেশমাতা ফাউন্ডেশনের প্রধান সমন্বয়ক ও ফরেইন রিলেশন্স কমিটির সদস্য। আবু সায়েম আমার দেশকে বলেন, ‘এলাকার মানুষের কল্যাণে সর্বোচ্চ বিভিন্নভাবে সহযোগিতার চেষ্টা করেছি। ইনশাআল্লাহ ভবিষ্যতে আরো ব্যাপক পরিসরে এসব কাজ এগিয়ে যাবে।’

ব্যারিস্টার শেখ মোহাম্মদ জাকির হোসেন

বাগেরহাট-২ আসন থেকে বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশী ব্যারিস্টার শেখ মোহাম্মদ জাকির হোসেন। তিনি বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও তার স্ত্রী জুবাইদা রহমানের আইনজীবী প্যানেলের অন্যতম সদস্য। নির্বাচনি এলাকায় প্রচার ও সমাজকল্যাণমূলক কাজে ব্যস্ত সময় পার করছেন তিনি।

ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা

ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ (সরাইল ও আশুগঞ্জ) আসন থেকে ধানের শীষ প্রতীকে লড়তে চান সাবেক সংসদ সদস্য ও সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা। ভাষাসৈনিক অলি আহাদের মেয়ে রুমিন ফারহানা। বিগত হাসিনাবিরোধী প্রচারে তিনি সবার দৃষ্টি কাড়েন।

ভোটের ট্রেনে আরো যারা

বরিশাল-১ (গৌরনদী-আগৈলঝাড়া) আসনে বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় মুহসীন হল ছাত্র সংসদের সাবেক এজিএস, বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী সদস্য ও আইনজীবী ফোরামের কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট গাজী মো. কামরুল ইসলাম সজল।

টাঙ্গাইল-১ (মধুপুর ও ধনবাড়ী) আসনে বিএনপির কেন্দ্রীয় সদস্য ও সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মোহাম্মদ আলী মনোনয়নপ্রত্যাশী।

কুষ্টিয়া-২ (মিরপুর-ভেড়ামারা) আসনে বিএনপির প্রার্থী হতে চান সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের আইনজীবী ও বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার রাগীব রউফ চৌধুরী। তার বাবা রাজনীতিবিদ আব্দুর রউফ চৌধুরী দুবারের এমপি থাকাকালীন এলাকায় অনেক উন্নয়ন করেন। সেই ধারাবাহিকতা অক্ষুন্ন রাখতে চান বলে জানান।

বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশীর তালিকায় রয়েছেন কিশোরগঞ্জ-১ (সদর-হোসেনপুর) আসন থেকে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার এম আতিকুর রহমান। তিনি কিশোরগঞ্জ জেলা বিএনপির সদস্য ও জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সদস্য।

যশোর-৪ আসন (বাঘারপাড়া-অভয়নগর ও বসুন্দিয়া) থেকে সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল অ্যাডভোকেট নূরে আলম সিদ্দিকী সোহাগ বিএনপির টিকিটে লড়তে চান।

সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল ও সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির কার্যনির্বাহী সদস্য এবিএম ইব্রাহিম খলিল ভোলা-২ (বোরহানউদ্দিন-দৌলতখান) আসন থেকে দলীয় প্রতীক ধানের শীষ নিয়ে নির্বাচন করতে চান।

রাজশাহী-৪ (বাগমারা) আসন থেকে বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশা করছেন জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সদস্য ব্যারিস্টার সালেকুজ্জামান সাগর। ব্যারিস্টার সাগর বাগমারা উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ও গনিপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মনিরুজ্জামান রঞ্জুর পুত্র।

নাটোর-১ (লালপুর-বাগাতিপাড়া) আসন থেকে বিএনপির প্রত্যাশী দলটির চেয়ারপারসনের ফরেন অ্যাফেয়ার্স অ্যাডভাইজরি কমিটির স্পেশাল অ্যাসিস্ট্যান্ট ও বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য অ্যাডভোকেট ফারজানা শারমিন পুতুল। তার বাবা মরহুম ফজলুর রহমান পটল এই আসন থেকে একাধিকবার এমপি ও মন্ত্রী হয়েছিলেন।

ঢাকা-১ আসন থেকে বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী দলের সাবেক বিমান ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী আবদুল মান্নানের মেয়ে ব্যারিস্টার মেহনাজ মান্নান। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে এলাকায় বিভিন্ন সামাজিক কর্মকাণ্ডে থাকার চেষ্টা করেন তিনি।

সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার শিহাব উদ্দিন খান ঢাকা-১৯ (সাভার-আশুলিয়া) আসন থেকে বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশী। তিনি বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট সদস্য।

ঢাকা-২০ আসন (ধামরাই) থেকে বিএনপির প্রার্থী হতে চান ফৌজদারি আইন বিশেষজ্ঞ ব্যারিস্টার এইচ এম সানজিদ সিদ্দিকী। তিনি জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সাবেক নেতা। এলাকার বিভিন্ন নানা সমাজকল্যাণমূলক কাজের সঙ্গে সম্পৃক্ত তিনি।

টাঙ্গাইল-১ (মধুপুর-ধনবাড়ী) আসন থেকে বিএনপির মনোনয়ন চান অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ রুকনুজ্জামান সুজা। তিনি বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সাধারণ সম্পাদক।

কুমিল্লা-২ (হোমনা ও মেঘনা) আসন থেকে মনোনয়নপ্রত্যাশী বিএনপির হোমনা উপজেলা কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক ও সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার সাইফুল ইসলাম উজ্জ্বল। তিনি অনেক আগে থেকেই তার নির্বাচনি এলাকায় উন্নয়নমূলক কাজের সঙ্গে সম্পৃক্ত।

কুমিল্লা-১ আসন থেকে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খোন্দকার মোশাররফ হোসেনের ছেলে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ড. খোন্দকার মারুফ হোসেন প্রত্যাশী।

এছাড়া ঢাকা জেলার বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ও কেরানীগঞ্জ দক্ষিণ থানা বিএনপির সভাপতি অ্যাডভোকেট নিপুণ রায় চৌধুরী বিএনপির মনোনয়ন চান। এছাড়া মনোনয়নপ্রত্যাশীদের তালিকায় আছেন বিএনপি নেতা আমানউল্লাহ আমানের ছেলে ব্যারিস্টার ইরফান আমানও । তারা দুজনেই ঢাকা থেকে মনোনয়ন পেতে চেষ্টা করছেন।

এছাড়া কিশোরগঞ্জ-২ আসনে বিএনপির মনোনয়ন পেতে চেষ্টা করছেন বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী আশরাফ জালাল খান (মনন)। তিনি বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের ঢাকা মহানগর বারের সভাপতি। এছাড়া তিনি বাংলাদেশ আইন সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক পদের দায়িত্ব পালন করেছেন।

জামায়াত নেতারা কে কোথায় প্রার্থী হচ্ছেন

অ্যাডভোকেট মতিউর রহমান আকন্দ

ময়নসিংহ-৫ (মুক্তাগাছা) আসনে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর মনোনীত প্রার্থী দলটির কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী পরিষদের সদস্য ও প্রচার বিভাগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মতিউর রহমান আকন্দ। নিজের এলাকায় সমানভাবে জনপ্রিয় এ নেতা ছাত্রজীবন থেকেই নানা সামাজিক কর্মকাণ্ডে সক্রিয়। এ কারণে এলাকার মানুষও তাকে নিয়ে আশাবাদী।

মোহাম্মাদ শিশির মনির

সুনামগঞ্জ-২ (দিরাই-শাল্লা) আসনে জামায়াতে ইসলামীর প্রার্থী হয়ে নির্বাচনি প্রচারাভিযানে রয়েছেন খ্যাতিমান আইনজীবী মোহাম্মাদ শিশির মনির। কৃষক, মজুর, শ্রমিক সবার নেতা হিসেবে ইতোমধ্যে তিনি এলাকায় যথেষ্ট সুনাম কুড়িয়েছেন। তিনি ছাত্রশিবিরের সাবেক সেক্রেটারি জেনারেল ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নেতা। আমার দেশকে শিশির মনির বলেন, ‘দিরাই-শাল্লায় মানুষ দীর্ঘদিন ধরে উন্নয়ন থেকে বঞ্চিত। আমি নতুন এক দিরাই-শাল্লা উপহার দিতে চাই। জনগণের প্রত্যাশা পূরণ করতেই সংসদে যেতে চাই।’

ব্যারিস্টার আরমান বিন কাসেম

ঢাকা-১৪ আসন থেকে জামায়াতে ইসলামীর প্রার্থী হয়ে প্রচারাভিযান চালাচ্ছেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার আরমান বিন কাশেম। তার বাবা আওয়ামী জামানায় জুডিশিয়াল কিলিংয়ের শিকার জামায়াত নেতা মীর কাশেম আলী। তিনি নিজেও বিগত আওয়ামী সরকারের আমলে আট বছর আয়নাঘরে গুম ছিলেন। গত বছরের ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের পর তিনি মুক্তি পান।

ব্যারিস্টার নাজিবুর রহমান মোমেন

পাবনা-১ (সাঁথিয়া-বেড়ার একাংশ) আসনে জামায়াতে ইসলামীর সাবেক আমির মাওলানা মতিউর রহমান নিজামীর ছেলে ব্যারিস্টার নাজিবুর রহমান মোমেনের নাম ইতোমধ্যে ঘোষণা করা হয়েছে।

মোহাম্মাদ সাইফুর রহমান

চট্টগ্রাম-১ আসন (মীরসরাই) থেকে জামায়াতে ইসলামীর হয়ে নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এবং সুপ্রিম কোর্ট বারের সাবেক সহ-সম্পাদক অ্যাডভোকেট সাইফুর রহমান। ছাত্রজীবনে তিনি শিবিরের কেন্দ্রীয় কার্যকরী পরিষদের সদস্য ছিলেন।

ঢাকা-১১ আসনে জামায়াতে ইসলামীর প্রার্থী রয়েছেন অ্যাডভোকেট আতিকুর রহমান। তিনি বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক, প্রগতিশীল গার্মেন্টস শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি ও জাতীয় শ্রমিক ঐক্যের সেক্রেটারি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।

ফেনী-১ আসন থেকে জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় শূরার সদস্য ও সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট এসএম কামাল উদ্দিন নির্বাচন করবেন।

ঢাকা-১ (দোহার-নবাবগঞ্জ) আসনে জামায়াতে ইসলামী মনোনীত প্রার্থী ব্যারিস্টার নজরুল ইসলাম। আরো আছেন ঢাকা-১৬ আসনে জামায়াতের মনোনয়ন নিয়ে অ্যাডভোকেট আব্দুল বাতেন।

অন্যান্য দলের প্রার্থীরা

অ্যাডভোকেট রেদোয়ান আহমেদ

কুমিল্লা-৭ (চান্দিনা) আসনের মনোনয়নপ্রত্যাশী লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট রেদোয়ান আহমেদ। এর আগেও তিনি চান্দিনার এই আসন থেকে কয়েকবার এমপি হয়েছিলেন। রেদোয়ান আহমেদ বেগম খালেদা জিয়ার মন্ত্রিসভায় মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন। এলাকায় স্কুল, কলেজ, মাদরাসাসহ বিভিন্ন সামাজিক কর্মকাণ্ডে সমান জনপ্রিয় বর্ষীয়ান এই রাজনীতিবিদ।

অ্যাডভোকেট আলী নাছের খান

গাজীপুর-৪ (কাপাসিয়া) আসনে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) থেকে মনোনয়নপ্রত্যাশী অ্যাডভোকেট আলী নাছের খান। তরুণ রাজনীতিবিদ এনসিপির কেন্দ্রীয় যুগ্ম মুখ্য সংগঠক এবং দলের গাজীপুর জেলা ও মহানগর শাখার তত্ত্বাবধায়ক। উদীয়মান রাজনীতিবিদ হিসেবে অনেক আগে থেকেই গাজীপুরসহ দেশে পরিচিত তিনি। নির্বাচিত হলে গাজীপুরবাসীর দীর্ঘদিনের সমস্যাগুলো সমাধানে বহুমুখী পদক্ষেপ নেওয়ার কথা জানান তরুণ এই আইনজীবী।