
জুলাই অভ্যূত্থানের বর্ষপূর্তিতে জাতির উদ্দেশে দেওয়া বক্তব্যে নির্বাচনের সম্ভাব্য সময়সীমা ঘোষণা করেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। শুধু দেশেই নয়, দেশের বাইরেও আন্তর্জাতিক ফোরামে সরকারপ্রধান বলেছেন ঘোষিত সময়ে নির্বাচন হওয়া নিয়ে তার অঙ্গীকারের কথা।
তবে রাজনীতির মাঠে নির্বাচন নিয়ে সংশয় থেকেই যাচ্ছে। এ নিয়ে উল্টো বাক্যালাপ শোনা যাচ্ছে কারো কারো কণ্ঠে। কিন্তু যাদের জন্য এই রাজনীতি, যাদের জীবন-জীবিকায় সচল দেশের অর্থনীতি—সমাজের সেই শ্রেণীর মানুষের ভাবনা কী?
এমন অবস্থায় সাধারণ মানুষের ভাবনাও মিশ্র। কেউ কেউ সন্দেহ প্রকাশ করছেন, আবার কারো কারো বিশ্বাস সরকারের প্রতিই। অনেকেই বলছেন, নির্বাচন হলে দেশ নিয়ন্ত্রণে আসবে। তবে সবারই দাবি, আগের সরকারের মতো যেন কেউ ক্ষমতাকে আঁকড়ে ধরে রাখতে না চায়।
সরকারপ্রধানের দ্ব্যর্থহীন ঘোষণার পরও কেন উঠছে এই বাক্যালাপ—এ বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম ব্যাখ্যা দিয়ে বলেন, অতীতে সরকারের প্রতি আস্থাহীনতার রেশের ফলেই কেউ কেউ এমন চিন্তা করছেন।
তিনি আরও বলেন, বিগত ১৫ বছর যেহেতু মানুষ ভোট দিতে পারেনি, এজন্য সংশয় রয়ে গেছে। তবে আমরা বারবার বলছি, ভোট ভালো হবে। শান্তিপূর্ণভাবে উৎসবমুখর পরিবেশেই ভোট অনুষ্ঠিত হবে। এজন্য যে পরিমাণ নিরাপত্তা দরকার, আমরা সেটার ব্যবস্থা করছি।
সরকার ঘোষিত সময়েই হবে আসছে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উল্লেখ করে শফিকুল আলম বলেন, আমরা আমাদের জায়গায় একদম ঠিক আছি। এ নিয়ে কোন নেতা কী বলছেন, তা বিষয় নয়। আমরা জানি, পুরো বাংলাদেশের মানুষ অধীর আগ্রহে একটি সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য অপেক্ষা করছেন। এজন্য আমরা বারবার বলছি—ইলেকশন ফেব্রুয়ারিতে, রোজার আগেই হবে।
এরইমধ্যে নির্বাচনের প্রস্তুতি শুরু করেছে নির্বাচন কমিশন। অতীতের যেকোনো সময়ের চেয়ে এবার সর্বোচ্চ সংখ্যক আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষক থাকবেন নির্বাচনের সময়ে। তবে তারা হবেন না ২০১৪, ২০১৮ কিংবা ২০২৪ সালের মতো সাজানো পর্যবেক্ষক।