
সিলেট সদর উপজেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে দুই লাখ ৫০ হাজার ঘনফুট পাথর জব্দ করা হয়েছে। শনিবার (১৬ আগস্ট) দুপুরে সিলেট সদর উপজেলার ধুপাগুল ও মহালদিক গ্রামের বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে এসব পাথর জব্দ করা হয়।
সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা খোশনুর রুবাইয়াতের নেতৃত্বে যৌথ বাহিনী অভিযান চালিয়ে এই পাথর জব্দ করে। অভিযানে সহকারী কমিশনার (ভূমি) সরকার মামুনুর রশীদসহ সেনাবাহিনী, পুলিশ, আনসার বাহিনী ও প্রশাসনের অন্যান্য সদস্যরা অংশ নেন।
বিষয়টি কালের কণ্ঠকে নিশ্চিত করেছেন সিলেট সদর উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) সরকার মামুনুর রশীদ। তিনি বলেন, ‘শনিবার ধুপাগুল ও মহালদিক গ্রামের বিভিন্ন স্পটে অভিযান চালিয়ে আড়াই লাখ ঘনফুট পাথর জব্দ করা হয়েছে। এগুলো সাদাপাথর প্রতিস্থাপন করা হবে।’
গত বছরের ৫ আগস্ট গণ-অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের দিন থেকেই প্রশাসনের শিথিলতার সুযোগে শুরু হয় বেপরোয় পাথর লুট।
সাদাপাথর লুটের সঙ্গে প্রথম থেকে উঠে এসেছে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সভাপতি সাহাব উদ্দিনের নাম। যদিও তিনি তা অস্বীকার করে আসছেন।
এদিকে সাদাপাথরের লুটের ঘটনা তদন্তে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করে জেলা প্রশাসন। বিভিন্ন সামাজিক সুশীলসমাজসহ পরিবেশবাদী সংগঠনগুলো বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করে।
এরই প্রেক্ষিতে বুধবার সাদাপাথর পরিদর্শনে যায় দুদক সিলেট কার্যালয়ের উপপরিচালক রাফী মোহাম্মদ নাজমূস সাদাতের নেতৃত্বে ৯ সদস্যের একটি তদন্ত দল। তদন্ত শেষে দুদক জানায়, সাদাপাথরে ব্যাপক লুটপাটের ঘটনায় প্রভাবশালী ব্যবসায়ী, উচ্চপদস্থ ব্যক্তি ও স্থানীয়দের সম্পৃক্ততা থাকতে পারে বলে ধারণা করছেন তারা।