
১৯৪৭ সালে পাকিস্তান সৃষ্টি না হলে বর্তমান বাংলাদেশ হায়দারাবাদ হয়ে যেত বলে মন্তব্য করেছেন কর্নেল (বরখাস্ত) হাসিনুর রহমান। তিনি বলেন, “তখন অনেকের ধারণা ছিল, বাঙালি কি যুদ্ধ করবে? পিছন থেকে ভেগে যাবে লক্ষ্মণ সেনের মতো।”
বৃহস্পতিবার সকালে ব্রিটিশ ঔপনিবেশিকতা মুক্তি ও প্রথম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে জাতীয় বিপ্লবী পরিষদ আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন। জাতীয় প্রেসক্লাবে অনুষ্ঠিত এ সভায় সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সিনিয়র যুগ্ম-আহ্বায়ক মোহাম্মদ শামসুদ্দীন এবং সঞ্চালনা করেন সহকারী সদস্য সচিব গালীব ইহসান।
কর্নেল হাসিনুর বলেন, “৪৭ সালে কোনো বাঙালি সেনাবাহিনী ছিল না। পূর্ব পাকিস্তান তথা বর্তমান বাংলাদেশকে পাকিস্তানের সেনাবাহিনী রক্ষা করেছে। শেরেবাংলা এ কে ফজলুল হক রুটির বদলে একবেলা ভাত দেওয়া শুরু করলে বাঙালি সেনাবাহিনীতে যোগ দেয়। আমি যদি পাকিস্তানকে স্বীকৃতি না দেই, তাহলে আমি আমার দাদাকেই অস্বীকার করলাম।”
আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের সহকারী অধ্যাপক আরিফুল ইসলাম অপু বলেন, “বিহারিদের ওপর যে অন্যায়-জুলুম ও নির্যাতন হয়েছে, তার ক্ষতিপূরণ ও ন্যায়বিচারে জাতীয় বিপ্লবী পরিষদ রাজনৈতিক ভূমিকা রাখতে পারে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে নবাব সলিমুল্লাহর নামে কোনো স্মৃতিফলক ছিল না। একটি হলের নাম তাঁর নামে করা হলেও বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠাতার স্মৃতি সংরক্ষণে অবহেলা লক্ষ্য করা যায়।”
সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন আপ বাংলাদেশের মুখপাত্র শেহরীন ইরা এবং বিপ্লবী পরিষদের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের নেতাকর্মীরা।