Image description

দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বৃহস্পতিবার (১৪ আগস্ট ) পর্যন্ত  দাঁড়িয়েছে ৩০.৮৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার (গ্রস)। আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) প্রণীত বিপিএম৬ হিসাব পদ্ধতিতে রিজার্ভের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ২৫.৮২ বিলিয়ন ডলার। বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক আরিফ হোসেন খান এ তথ্য জানান।

বাংলাদেশ ব্যাংকের ফরেন অ্যাসেটস অ্যান্ড ট্রেজারি ম্যানেজমেন্ট বিভাগের বরাত দিয়ে তিনি বলেন , গত কয়েক মাসে রিজার্ভের ওঠানামা থাকলেও সাম্প্রতিক সময়ে প্রবাসী আয়ের প্রবাহ ও বৈদেশিক মুদ্রা আয়ের উৎস বৈচিত্র্য রিজার্ভের স্থিতি ধরে রাখতে সহায়তা করছে।

রেমিট্যান্সে ঊর্ধ্বমুখী ধারা

বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, ১৩ আগস্ট একদিনে প্রবাসী আয় এসেছে ৯০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। চলতি মাসের প্রথম ১৩ দিনে (১-১৩ আগস্ট) মোট রেমিট্যান্স এসেছে ১.১৪৪ মিলিয়ন ডলার। গত বছরের একই সময়ে (১-১৩ আগস্ট ২০২৪) এই অঙ্ক ছিল ৮৮৯ মিলিয়ন ডলার। অর্থাৎ, এক বছরের ব্যবধানে প্রবৃদ্ধি দাঁড়িয়েছে ২৮.৬ শতাংশ।

রেমিট্যান্স আয়ের এই ইতিবাচক ধারা শুধু মাসিক তুলনায় নয়, অর্থবছরের শুরুর দিক থেকেও স্পষ্ট। ২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রথম দেড় মাসে (জুলাই থেকে ১৩ আগস্ট পর্যন্ত) প্রবাসী আয়ের মোট পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৩.৬২২ মিলিয়ন ডলার। গত অর্থবছরের একই সময়ে (জুলাই ২০২৪ থেকে ১৩ আগস্ট ২০২৪) এই আয়ের পরিমাণ ছিল ২.৮০৩ মিলিয়ন ডলার। ফলে বছরে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ২৯.২ শতাংশ।

অর্থনীতিতে ইতিবাচক প্রভাবের আশা

বাংলাদেশ ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা মনে করছেন, প্রবাসী আয়ের এই ঊর্ধ্বমুখী ধারা বৈদেশিক মুদ্রার বাজারে চাপ কিছুটা লাঘব করবে। রিজার্ভ স্থিতি উন্নত হলে আমদানি ব্যয় নির্বাহে স্বস্তি আসবে এবং মুদ্রা বিনিময় হারে স্থিতিশীলতা ফেরাতে সহায়ক হবে।

অর্থনীতিবিদরা বলছেন, বৈশ্বিক অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তার মধ্যেও প্রবাসী আয় বাংলাদেশের অর্থনীতির জন্য অন্যতম প্রধান ভরসা হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিশেষ করে মধ্যপ্রাচ্য ও ইউরোপমুখী শ্রমবাজারে কর্মসংস্থানের বৃদ্ধি এবং প্রণোদনা অব্যাহত রাখার ফলে প্রবাসী আয়ের প্রবাহ শক্তিশালী হয়েছে।