
পানি টইটম্বুর, তিস্তা নদী এখন আগ্রাসী রূপ ধারণ করেছে। এরই মধ্যে রংপুরে তিস্তা সেতুর রক্ষা বাঁধে ভাঙন দেখা দেওয়ায় ৩০ লাখ মানুষের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়ার শঙ্কা দেখা দিয়েছে। তিস্তার বিভিন্ন পয়েন্টে পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। আমাদের প্রতিনিধিদের পাঠানো প্রতিবেদন :
রংপুর : জেলার গঙ্গাচড়া উপজেলার মহিপুরে তিস্তা নদীর ওপর নির্মিত দ্বিতীয় সড়ক সেতুর পশ্চিম তীরে সেতু রক্ষা বাঁধের প্রায় ৬০ মিটার এলাকা ধসে পড়েছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে তিস্তা সেতুর পশ্চিম পাশের প্রায় ৯০০ মিটার দীর্ঘ সেতু রক্ষা বাঁধের বিভিন্ন অংশে স্রোতের তীব্রতা বেড়েই চলছে।
নীলফামারী : উজানের ঢলে নীলফামারীতে তিস্তা নদীর পানি ফের বৃদ্ধি পেয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টায় ডালিয়ায় তিস্তা ব্যারাজ পয়েন্টে নদীর পানি বিপৎসীমার ১৮ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। বিকেল ৩টায় তিন সেন্টিমিটার কমে ১৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল।
ভূরুঙ্গামারী : কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারীতে গত কয়ক দিনের টানা বৃষ্টি আর ভারত থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে উপজেলার দুধকুমার, ফুলকুমার ও কালজানীসহ সব নদ-নদীর পানি বেড়েছে। বিপৎসীমার ছয় সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে দুধকুমার নদের পানি। নদীতীরবর্তী এলাকা ও নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। উপজেলার সব নদ-নদীর পানি বৃদ্ধির ফলে সদর ইউনিয়নের নলেয়া, চরভূরুঙ্গামারী ইউনিয়নের ইসলামপুর, পাইকেরছড়া ইউনিয়নের পাইকেরছড়া, পাইকডাঙ্গা, আন্ধারীঝাড় ইউনিয়নের চর ও বীর ধাউরারকুঠি, তিলাই ইউনিয়নের দক্ষিণ তিলাই ও শিলখুড়ি ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকার নদীতীরবর্তী নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে।
হাতীবান্ধা : লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলার গোতামারী ইউনিয়নের দক্ষিণ গোতামারী এলাকার একটি রাস্তা পানিতে তলিয়ে গিয়ে দুর্ভোগে পড়েছে দুই ইউনিয়নের মানুষ। গোতামারী ও নওদাবাস ইউনিয়নের বাইপাস সংযোগ সড়কটি পানিবন্দি হয়ে পড়ায় চিকিৎসা নিতে যাওয়া বৃদ্ধা আনোয়ারা বেগমকে কলাগাছের ভেলায় করে পার করছে স্থানীয়রা। জানা গেছে, কয়েক দিনের ভারি বৃষ্টির কারণে গোতামারী ও নওদাবাস ইউনিয়নের একমাত্র সংযোগ সড়কটি পানিতে তলিয়ে গেছে। সড়কটি পানিবন্দি হয়ে পড়ায় দুই ইউনিয়নের প্রায় ১০ হাজার মানুষ দুর্ভোগে পড়েছে। মানুষের পাশাপাশি গবাদি পশুর খাবার সংকটে পড়েছে। রোপণকৃত আমন ধান পানিতে তলিয়ে নষ্ট হচ্ছে। পানিবন্দি পরিবারগুলো বিশুদ্ধ খাবার পানির সংকটে পড়েছে।