Image description

বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে (বেরোবি) র‌্যাগিং ইস্যুতে প্রক্টর ড. ফেরদৌস রহমানের হুমকিতে এক শিক্ষার্থী অজ্ঞান (অবচেতন) হয়ে পড়ার ঘটনা ঘটেছে। পরবর্তীতে ওই শিক্ষার্থীর অবস্থার অবনতি ঘটলে তাৎক্ষণিকভাবে মেডিকেলে ভর্তি করা হয়। আজ বৃহস্পতিবার (১৪ আগস্ট) বিকেলে এ ঘটনা ঘটে।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, সমাজবিজ্ঞান বিভাগের ১৬তম ব্যাচের শিক্ষার্থীকে সজিব চন্দ্র দাসকে প্রক্টর র‌্যাগিংয়ের বিষয়ে কথা বলার জন্য ডেকে পাঠান। ওই শিক্ষার্থী আসার পর প্রক্টর ড. ফেরদৌস রহমান ওই শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে র‌্যাগিংয়ের অভিযোগ আছে বলে জানান। এ জন্য তার ছাত্রত্ব বাতিল করবেন বলে হুমকি দেন। ছাত্রত্ব বাতিলের কথা শুনে ওই শিক্ষার্থী সাথে সাথে অচেতন হয়ে পড়েন। কিছুক্ষণ জ্ঞান ফেরানোর চেষ্টা করেও জ্ঞান না ফেরলে তৎক্ষণাৎ তাকে হাসপাতালে নেয়ার পর ডাক্তারের প্রাথমিক চিকিৎসায় তার জ্ঞান ফিরে। 

অপরদিকে এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ক্যাম্পাসে বিভাগটির ১৬ এবং ১৭ ব্যাচের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে। ১৬তম আবর্তনের শিক্ষার্থীরা বলছেন, কারো বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ থাকলে প্রশাসন যথাযথ নিয়ম মেনেই সামনে আগাতে পারতো। এভাবে ডেকে নিয়ে হুমকি ধমকি দেয়া কোন ভাবেই প্রক্টর করতে পারেন না। সজিবের সহপাঠীরা  আরো বলেন, এভাবে ডেকে নিয়ে হুমকি দিলে যে কোন বড় দুর্ঘটনা ঘটে যেতে পারে। তখন প্রশাসন কি তার দায়ভার নিবে? 

যোগাযোগ করা হলে সজিব অসুস্থতার কারণে কথা বলতে পারেননি। এ সময় তার সঙ্গে থাকা এক সহপাঠী দ্য ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, ‘এখন কিছুটা সুস্থ আছে। আমরা তাকে ডাক্তার দেখাতে নিয়ে যাচ্ছি।’

এ বিষয়ে জানতে চাইলে প্রক্টর ড. ফেরদৌস রহমান দ্য ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, ‘সমাজবিজ্ঞান বিভাগের ১৭তম ব্যাচের কিছু শিক্ষার্থীরা একই বিভাগের ১৬তম ব্যাচের চার পাঁচজন শিক্ষার্থীর নাম উল্লেখ করে আমার কাছে র‌্যাগিংয়ের অভিযোগ করে। পরবর্তীতে ১৬তম ব্যাচের শিক্ষার্থীদের ডেকে বিষয়টি জানার জন্য জিজ্ঞাসাবাদ করি। নামাজের সময় আমি মসজিদে নামাজ পড়তে যাই। নামাজ শেষ করে এসে শুনি ১৬ তম ব্যাচের সজীব নামে এক শিক্ষার্থী অসুস্থ হওয়ায় মেডিকেলে নিয়ে যাওয়া হয়। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন থেকে সার্বক্ষণিক খোঁজ খবর রাখা হচ্ছে। সে এখন সুস্থ আছে।