
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) শিক্ষক নিয়োগের লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার পরও চূড়ান্ত নিয়োগ পাননি আজমীরা আরেফিন। জামায়াতের সাবেক এক এমপির সুপারিশ নিয়ে তার আবেদনপত্রটি গত ৩ আগস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) ড. মোহা. ফরিদ উদ্দীন খানের ফেসবুক স্টোরিতে প্রকাশ পায়, যা নিয়ে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনার সৃষ্টি হয়।
জানা গেছে, আজমীরা আরেফিন বিশ্ববিদ্যালয়ের অনার্সে ৩.৮৬ পেয়ে বিভাগে দ্বিতীয় স্থান অধিকার করেন এবং লিখিত পরীক্ষাতেও উত্তীর্ণ হন। তবে মৌখিক পরীক্ষায় তিনি উত্তীর্ণ হতে পারেননি।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, গত ৪ আগস্ট বেলা ১১টায় ক্রপ সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি বিভাগের শিক্ষক নিয়োগের লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয় এবং ঐদিনই বিকাল ৪টায় লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ ৩০ জনের মৌখিক পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। গত ১২ আগস্ট আটজন শিক্ষকের নিয়োগ চূড়ান্ত হয়েছে এবং তারা যোগদানও করেছেন। কিন্তু এই তালিকায় আজমীরা আরেফিনের নাম নেই। বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. এম আল বাকী বরকাতুল্লাহ এ কথা জানান।
বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. এম আল বাকী বরকাতুল্লাহ বলেন, মোট ১৬৩ জন আবেদন করেছিলেন। তার মধ্যে লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে মৌখিক পরীক্ষার জন্য ৩০ জনকে নির্বাচিত করা হয়। এখানে প্রথম, দ্বিতীয় কোনো বিষয় না। বিভাগে ৭ম হয়েও অনেকে পাশ করতে পারে। যাকে নিয়ে সমালোচনা তৈরি হয়েছিল সে লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হলেও লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে পারেনি। যে আটজন নিয়োগ পেয়েছে তারা ১২ তারিখ থেকে যোগদান করেছে।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) প্রফেসর মোহা. ফরিদ উদ্দীন খান বলেন, মৌখিক পরীক্ষায় ৩১ জন অংশগ্রহণ করেছিলেন। তিনি কেন নিয়োগ পাননি সে বিষয়ে আমি বলতে পারব না। তিনি লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হলেও হয়তো মৌখিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়নি এজন্য পাননি।
উল্লেখ্য, গত ৩ আগস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) ড. মোহা. ফরিদ উদ্দীন খানের ফেসবুক স্টোরিতে গভীর রাতে ভেসে ওঠে ওই ছাত্রীর প্রবেশপত্র। সেখানে দেখা যায়, জামায়াতের সাবেক এক এমপি তার আবেদনপত্রে সুপারিশ করেছেন। পরে সেটি নিয়ে দেশব্যাপী আলোচনা-সমালোচনা দেখা যায়।