
গাজার এক-তৃতীয়াংশ অঞ্চল দখলের পরও ইসরাইলের সামরিক অভিযান থামেনি। স্থল ও আকাশপথে অব্যাহত হামলার পাশাপাশি তীব্র খাদ্য সংকটে পুরো উপত্যকা যেন মৃত্যুপুরীতে পরিণত হয়েছে। বুধবার সকাল থেকেই ইসরাইলি বাহিনীর ধারাবাহিক হামলায় শতাধিক ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। ত্রাণকেন্দ্রেও থেমে নেই গোলাবর্ষণ—সেদিন ত্রাণ নিতে গিয়ে প্রাণ হারিয়েছেন অন্তত ৩৭ জন।
ইসরাইলের অবরোধের কারণে গাজায় কোনো মানবিক ত্রাণ সহায়তা প্রবেশ করতে পারছে না। ক্ষুধার যন্ত্রণায় অসংখ্য ফিলিস্তিনি কাতরাচ্ছেন। এদিন অপুষ্টিতে মারা গেছেন অন্তত আটজন, যার মধ্যে তিনজন শিশু। এ নিয়ে উপত্যকায় অপুষ্টিজনিত মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৩৫-এ।
জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থার প্রধান ফিলিপ লাজারিনি সতর্ক করে বলেছেন, গাজায় শৈশবের সব চিহ্ন মুছে যাচ্ছে। শিশুদের ওপর চালানো নিপীড়ন পূর্ববর্তী সব বর্বরতাকে ছাড়িয়ে গেছে। তার তথ্যমতে, গাজায় পরিবার হারিয়ে এতিম হয়েছে অন্তত ১৭,০০০ শিশু এবং স্থায়ীভাবে পঙ্গু হয়েছে প্রায় ১,০০,০০০।
এদিকে, যুদ্ধবিরতি নিয়ে আলোচনার জন্য আগামী সপ্তাহে আবারো মিশরে যাবে স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠী হামাস। তারা আশ্বাস দিয়েছে, গাজার মানুষের ভোগান্তি ও ক্ষুধা লাঘবে সর্বোচ্চ চেষ্টা করা হবে। তবে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতা অর্জনের আগে কোনোভাবেই অস্ত্রত্যাগ করবে না বলে গোষ্ঠীটি পুনর্ব্যক্ত করেছে।