
জুলাই আন্দোলনের সময় ঢাকার যাত্রাবাড়ীতে যুবদলকর্মী আবদুল কাইয়ুম আহাদ নিহতের ঘটনায় করা মামলায় সাবেক প্রধান বিচারপতি ও সাবেক আইন কমিশন চেয়ারম্যান এ বি এম খায়রুল হকের বিরুদ্ধে জামিন আবেদন হাইকোর্টে উপস্থাপন করা হলে সেখানে গণ্ডগোল সৃষ্টি হয়।
সোমবার (১১ আগস্ট) হাইকোর্টের একটি দ্বৈত বেঞ্চে এ বিষয়ে শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। খায়রুল হকের পক্ষে শুনানি করেন তার আইনজীবী মোনায়েম নবী শাহিন এবং সিনিয়র আইনজীবী এম কে রহমান। তবে শুনানি শেষে আদালত তার জামিন আবেদন নামঞ্জুর করেন।
এর আগে গত ৩১ জুলাই ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতেও খায়রুল হকের জামিন আবেদন খারিজ করে দেওয়া হয়।
আদালতে খায়রুল হকের আইনজীবী বলেন, তিনি একজন সাবেক প্রধান বিচারপতি এবং আইন কমিশনের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। ৮১ বছর বয়সী এই ব্যক্তি বহু জটিল রোগে আক্রান্ত এবং সবসময় পুলিশ পাহারায় থাকতেন। মামলার ঘটনাস্থলে তিনি কখনও যাননি বলেও দাবি করেন আইনজীবী।
তারা আরও বলেন, ২০২৩ সালের ১৮ জুলাই যাত্রাবাড়ীতে যে সহিংসতার ঘটনা ঘটে, সেই ঘটনায় প্রায় এক বছর পর ২০২৫ সালের ৬ জুলাই মামলা দায়ের করা হয়। এর পেছনে হয়রানির উদ্দেশ্য রয়েছে বলেও দাবি করা হয়।
এই মামলায় খায়রুল হকসহ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও আরও ৪৬৭ জনকে আসামি করা হয়েছে। মামলায় অভিযোগ করা হয়, যাত্রাবাড়ীর কাজলা এলাকায় আন্দোলনের সময় গুলিতে যুবদলকর্মী আহাদ নিহত হন।
উল্লেখ্য, ২৪ জুলাই সকালে ধানমন্ডির বাসা থেকে গ্রেফতার হন খায়রুল হক। এরপর তাকে শাহবাগ থানায় দায়ের হওয়া একটি মামলায় সাত দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়। মামলায় অভিযোগ রয়েছে, তিনি তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিল করে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে বেআইনি ও জাল রায় দিয়েছেন।
পরবর্তী শুনানির জন্য আদালত দিন নির্ধারণ করবে বলে জানা গেছে।
শীর্ষনিউজ