
চলতি বছরের এসএসসি ও সমমান পরীক্ষায় খাতা চ্যালেঞ্জ করে নতুন করে জিপিএ-৫ পেয়েছেন ১ হাজার ১৩৪ পরীক্ষার্থী। এনিয়ে জিপিএ-৫ প্রাপ্ত শিক্ষার্থীর সংখ্যা দাঁড়ালো ১ লাখ ৪৪ হাজার ১৬৬ জন। চলতি বছর পাসের হার ছিল ৬৮.৪৫ শতাংশ। খাতা চ্যালেঞ্জ করে নতুন করে পাস করেছেন ২ হাজার ১৩৮ জন।
গতকাল ফল পুনঃনিরীক্ষণের বা চ্যালেঞ্জের ফল প্রকাশ হয়। এতে দেখা যায়, ঢাকা শিক্ষা বোর্ডে ২ হাজার ৯৪৬ জন পরীক্ষার্থীর ফলাফলে পরিবর্তন এসেছে। তাদের মধ্যে নতুন করে জিপিএ-৫ পেয়েছেন ২৮৬ জন। আগের ফলাফলে অনুত্তীর্ণ থাকা পরীক্ষার্থীদের মধ্যে খাতা চ্যালেঞ্জের পর সর্বোচ্চ গ্রেড জিপিএ-৫ পেয়েছেন ৩ জন। ফেল থেকে পাস করেছেন ২৯৩ জন শিক্ষার্থী। সিলেট বোর্ডে ২২১ জনের ফল পরিবর্তন হয়। নতুন করে জিপিএ-৫ পেয়েছেন ২২ জন এবং ফেল থেকে পাস করেছেন ৩০ জন শিক্ষার্থী। এই বোর্ডে ৩৪ হাজার ৯২০টি খাতা পুনঃনিরীক্ষণের জন্য ১৭ হাজার ৬৮১ জন শিক্ষার্থী আবেদন করেন। ময়মনসিংহ শিক্ষা বোর্ডে নতুন করে জিপিএ-৫ পেয়েছেন ১৬৬ জন। এরমধ্যে ফেল থেকে জিপিএ-৫ পেয়েছেন ১ জন। এই বোর্ডে ৪৬ হাজার ৬৬৪টি খাতা চ্যালেঞ্জের আবেদন করেছিলেন ১ হাজার ৫০৫ জন। ফেল থেকে পাস করেন ৪৮ জন। এ ছাড়া নতুন করে জিপিএ-৫ পেয়েছেন ৩৫ জন শিক্ষার্থী।
দিনাজপুর বোর্ডে নতুন করে জিপিএ-৫ পেয়েছেন ৫৭ জন। ফেল থেকে পাস করেছেন ৯৯ জন। ৬১ হাজার ২৮৭টি খাতা চ্যালেঞ্জের আবেদন করেছিলেন শিক্ষার্থীরা। এরমধ্যে এক হাজার ৪৮৭টি খাতার নম্বর পরিবর্তন হয়েছে। চট্টগ্রাম বোর্ডে নতুন করে জিপিএ-৫ পেয়েছেন ৬৫ জন। ফেল থেকে পাস করেছেন ৬৪ জন। ৭৮ হাজার ১৯২টি খাতা চ্যালেঞ্জের আবেদন করেছিল। এক হাজার ৭৪২টি খাতার নম্বর পরিবর্তন হয়েছে। এক হাজার ৬৬৯ শিক্ষার্থীর নম্বর পরিবর্তন হয়েছে। গ্রেড পরিবর্তন হয়েছে ৬৪৬ জনের। যশোর বোর্ডে ফেল থেকে পাস করেছেন ১৮৭ জন শিক্ষার্থী। নতুন করে জিপিএ-৫ পেয়েছেন ২৭১ জন। কুমিল্লা মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডে ফল পরিবর্তন হয়েছে ৮৪৪ জনের। নতুন করে জিপিএ-৫ পেয়েছে ৬৭ জন। কুমিল্লা বোর্ডে ৩৫ হাজার ৫৩১ জন শিক্ষার্থী ফল পুনঃনিরীক্ষণের আবেদন করেছিল। মোট ৭৫ হাজার ৮৭৭টি খাতা চ্যালেঞ্জ করেছিল। ৮৪৪ জন শিক্ষার্থীর ফল পরিবর্তন হয়েছে। ফেল থেকে পাস করেছেন ১৯০ জন। নতুন করে জিপিএ-৫ পেয়েছেন ৬৭ জন। রাজশাহী শিক্ষা বোর্ডে ফেল থেকে পাস করেছেন ৪৮ জন। নতুন করে জিপিএ-৫ পেয়েছেন ৩৫ জন। ৬১ হাজার ৩১০টি খাতা চ্যালেঞ্জের আবেদন করেছিল শিক্ষার্থীরা। এ আবেদনের মধ্যে নম্বর পরিবর্তন হয়েছে ৭৮৩ জনের। গ্রেড পরিবর্তন হয়েছে ৩২৩ জনের। ফেল থেকে পাস করেছেন ৪৮ জন। এ ছাড়া নতুন করে জিপিএ-৫ পেয়েছেন ৩৫ জন শিক্ষার্থী। বরিশাল মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডে ফেল থেকে পাস করেছেন ২৬ জন। নতুন করে ২৬ জন জিপিএ-৫ পেয়েছেন। বরিশাল শিক্ষা বোর্ডে ১৩ হাজার ২৬৪ জন শিক্ষার্থী ৩৮ হাজার ৪৩৭টি উত্তরপত্র নিরীক্ষণের আবেদন করে। এরমধ্যে ২৭৬ জনের গ্রেড পয়েন্ট পরিবর্তন হয়েছে। আর ফেল থেকে পাস ২৬ জন এবং একই সংখ্যক শিক্ষার্থী নতুন করে জিপিএ-৫ পেয়েছেন। দাখিল পরীক্ষার উত্তরপত্র পুনঃনিরীক্ষণের ফল প্রকাশিত হয়েছে। ১ হাজার ৯১২ জন পরীক্ষার্থীর ফলাফলে পরিবর্তন এসেছে। নতুন করে জিপিএ-৫ পেয়েছেন ১৩৯ জন। শুধু তাই নয়, আগের প্রকাশিত ফলাফলে ফেল থাকা পরীক্ষার্থীদের মধ্যে খাতা চ্যালেঞ্জ করে পাস করেছেন ৯৯১ জন শিক্ষার্থী। এবারের ফল পুনঃনিরীক্ষণে মাদ্রাসা বোর্ড থেকে ৬০ হাজার শিক্ষার্থী আবেদন করে।