Image description

জুলাই গণঅভ্যুত্থানে নিহত বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আবু সাঈদের মৃত্যু গুলিতে নয়, মাথায় আঘাতেই হয়েছে বলে দাবি করেছেন কনস্টেবল সুজন চন্দ্র রায় এবং এএসআই আমির হোসেনের আইনজীবী অ্যাডভোকেট আজিজুর রহমান দুলু।

 

বুধবার (৬ আগস্ট) বিচারপতি মো. গোলাম মর্তুজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১-এ সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, “আমার মক্কেলদের বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করা হয়েছে, তবে তারা নিজেদের নির্দোষ দাবি করেছেন।”

তিনি আরও বলেন, “পরবর্তী চার্জ গঠনের তারিখে সাক্ষীদের জেরা করে ইনশাআল্লাহ প্রমাণ করতে পারবো যে আবু সাঈদের মৃত্যু গুলিতে নয়, মাথায় আঘাতেই হয়েছে। সুরতহালে সে বিষয়টি উল্লেখও আছে।”

আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরায় প্রকাশিত একটি ভিডিওর বরাত দিয়ে আইনজীবী আজিজুর রহমান বলেন, “সেখানে দেখা যায়, গুলির আগেই ৪-৫ জন পুলিশ সদস্য আবু সাঈদকে লাঠি দিয়ে আঘাত করছিল। তবে ভিডিওতে আমার দুই মক্কেল উপস্থিত ছিলেন না।”

উল্লেখ্য, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলার আসামি স্বৈরশাসক শেখ হাসিনা, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল ও পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনের বিরুদ্ধে জবানবন্দি দিয়েছেন রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) শিক্ষার্থী রিনা মুরমু। 

এর আগে গত ৩ আগস্ট এই মামলার প্রথম সাক্ষী হিসেবে জবানবন্দি দেন মাইক্রোবাসচালক খোকন চন্দ্র বর্মণ।

সেদিন জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের একটি মামলায় গতকাল ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আনুষ্ঠানিক বিচার শুরু হয়েছে। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এ সূচনা বক্তব্য উপস্থাপন ও সাক্ষ্য গ্রহণের মধ্য দিয়ে বিচার শুরু হয়।