
২০২৪ সালের ছাত্র-জনতার জুলাই গণঅভ্যুত্থানে স্বৈরাচারের নৃশংস তাণ্ডবে শহীদ হয়েছে শতাধিক শিশু-কিশোর। তৎকালীন সময়ে আইন শৃঙ্খলা বাহিনী ও আওয়ামী লীগের যৌথ নিষ্ঠুর নির্যাতন এবং হামলায় আহত হয়েছেন অগণিত শিশু-কিশোর। তার মধ্যে অন্যতম ঐতিহাসিক এক নাম হাসনাতুল ইসলাম ফাইয়াজ।
হাসনাতুল ইসলাম ফাইয়াজকে জুলাই আন্দোলনের কারফিউয়ের সময় ব্লক রেইড দিয়ে যাত্রাবাড়ীর বাসা থেকে গভীর রাতে গ্রেপ্তার করে পুলিশে বিশেষ গোয়েন্দা সংস্থা। এরপর থানায় নিয়ে তাকে করা হয় অমানবিক নির্যাতন। পরবর্তীতে আদালত জুলাই আন্দোলনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করায় ঢাকার সিএমএম আদালত ফাইয়াজকে সাত দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে। তখন ফাইয়াজের বয়স ছিল ১৭ বছর।
হাসনাতুল ইসলাম ফাইয়াজের জন্ম ২০০৭ সালের ১৯ এপ্রিল। পড়াশোনা করেছেন নোয়াখালী জেলা স্কুল ও ঢাকার শামসুল হক খান স্কুল এন্ড কলেজে। বর্তমানে ঢাকা কলেজের উচ্চমাধ্যমিক ২য় বর্ষের শিক্ষার্থী। ফাইয়াজের সাহসের বাতিঘর জুলাই গণঅভ্যুত্থানের আইকনিক ফিগার শহীদ আবু সাঈদ। জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সংগ্রামমুখর দিনগুলোতে তার অভিজ্ঞতা, দৃষ্টিভঙ্গি, দেশের বর্তমান ও ভবিষ্যত নিয়ে প্রত্যাশা ও ভূমিকার কথা জানান সাক্ষাৎকারে। তার সাক্ষাৎকার নিয়েছেন দ্য ডেইলি ক্যাম্পাসের ঢাকা কলেজ প্রতিনিধি ওয়ালিদ হোসেন।
দ্য ডেইলি ক্যাম্পাস: বাংলাদেশের ভূখণ্ডের প্রতিটি অংশের কম্পন জাগানো ছাত্র-জনতার জুলাই গণঅভ্যুত্থান সংগঠিত হয়েছে। জুলাইয়ের সেই সংগ্রামী সময়ের স্মৃতিগুলো কতটা অনুভব করেন?
হাসনাতুল ইসলাম ফাইয়াজ: জুলাইয়ের সেই স্মৃতিগুলো আমাদের ছোট জীবনের বড় মাপের অভিজ্ঞতার স্মৃতি। আমার জন্য সে সময়ের স্মৃতিগুলো অন্যরকম। সংগ্রামমুখর জীবনের সূচনার মত। আর একইসাথে আনন্দের। কারণ আমরা যুদ্ধ করে এদেশ থেকে স্বৈরাচারকে বিদায় করেছি। সবসময় এগুলো আমাদের অনুপ্রেরণা দেবে।
দ্য ডেইলি ক্যাম্পাস: জুলাই গণঅভ্যুত্থানের কোন দিকটি সবচেয়ে বেশি তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করেন? সে সম্পর্কে কিছু বলুন।
হাসনাতুল ইসলাম ফাইয়াজ: সবাই মিলে অন্যায়ের বিরুদ্ধে এক হওয়া। সচরাচর দল মত ভিন্ন ব্যক্তিরা এক হয়না। জুলাইয়ে অন্যায়, ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে যেভাবে সমাজের সর্বস্তরের মানুষ এক হয়েছে, এভাবে সবাই এক থাকলে একটা দেশ সমৃদ্ধ হয়ে উঠতে পারে, শত্রুকে সহজে মোকাবিলা করতে পারে মনে হয়।
দ্য ডেইলি ক্যাম্পাস: জুলাই গণঅভ্যুত্থানে আপনার সঙ্গে ঘটে যাওয়া নিষ্ঠুর নির্যাতনের সম্পর্কে বিস্তারিত বলবেন?
হাসনাতুল ইসলাম ফাইয়াজ: আন্দোলনের স্মৃতি বর্ণনা করতে গেলে তখনকার কিছু উপলব্ধি বেশ নাড়া দেয় মনে। রাজপথে দাঁড়িয়ে বুঝেছিলাম, এই আন্দোলনে যারা ছিলেন, তারা ক্লান্তিহীন। তারা সব বাধাকে তুচ্ছ হিসেবে নিচ্ছিলো। শক্ত মানসিকতা নিয়ে ছিলো। দুপুরের প্রচণ্ড রোদের মধ্যেও তাদের স্লোগান বন্ধ হতো না, ঘর্মাক্ত শরীর নিয়েও ক্লান্ত হতোনা, টিয়ারশেলেও পিছপা হতো না।
এই প্রতিবাদী আন্দোলনে যখন যাত্রাবাড়ী থানার মাতুয়াইল অঞ্চলের রাজপথে সবার সহযোগিতার জন্য অবস্থান করতাম। তখন দিন যেতো ধাওয়া পালটা ধাওয়ার মধ্য দিয়ে। কিছুক্ষণ পরপরেই আহত শিক্ষার্থীদের নিয়ে আসা হতো যাদের অবস্থা থাকতো বেগতিক। কারও অবস্থা অনেক খারাপ। এমন রক্তাক্ত মুমূর্ষু অবস্থায় কাউকে কখনো এর আগে আমার দেখা হয়নি। হঠাৎ করে দেখলাম সামনে একজন মারা গিয়েছে। নিথর শরীর রাস্তায়। তার শার্ট নিয়ে একজন সবাইকে দেখাচ্ছিল তার শার্টের মাঝখানে বুলেটের ছিদ্র হয়ে আছে এবং রক্তের দাগ। আমার কাছে অবাস্তব লাগছিল বিষয়গুলো। কিন্তু রাস্তা ছেড়ে চলে যাওয়ার কথা ভাবতে পারতাম না, ভাইদের ফেলে আসার কথা চিন্তা করতে পারতাম না। এগুলোই আন্দোলিত করে স্মৃতিস্পটে ভেসে আসে।
আন্দোলনের সময় সাইকেল নিয়ে প্রতিদিন আন্দোলনে যাওয়ার সময় স্থানীয় দোসরদের চোখে পড়ে যাই যে আমি আন্দোলনে সক্রিয়। তারা স্থানীয়ভাবে একটা তালিকা করে সেখানে আমার নামও উল্লেখ করেছিল জানতে পেরেছিলাম। আন্দোলনের উত্তপ্ত সময়ে আমরা ফ্রেন্ড সার্কেলসহ ওই স্পটের বড় ভাইদেরকে পানি বিতরণ, খাবার বিতরণ করতে সহযোগিতাকারী হিসেবে তালিকাভুক্ত করে তারা। কিন্তু তাদের ধারণায় আমরা তার চেয়ে বড় কিছু। পাশাপাশি আন্দোলন চলাকালীন আমি প্রায়শই স্লোগান দিয়ে সবাইকে উজ্জীবিত করতাম এটাও তাদের পছন্দ হয়নাই। এ সকল কারণ বিবেচনায় আমি তাদের টার্গেট হই বলে ধারণা করি।
তাদের তালিকায় আমার নাম থাকায় ২৪ তারিখ রাতে তারা আমাকে বাসায় এসে অ্যারেস্ট করে। এর আগে আমাকে খোঁজার জন্য একটি বিল্ডিংয়ের প্রতিটা ফ্ল্যাটে তারা তল্লাশি করে। অ্যারেস্ট করেই গাড়িতে করে রায়েরবাগের এক জায়গায় নিয়ে যায়। এরপর তারা আমার ফোন দিয়ে আমার বন্ধুবান্ধব, শিক্ষকবৃন্দ এবং আন্দোলনের সময় ওই অঞ্চলে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখা রাশেদ ভাই, মাসরুর ভাই এবং আসিফ ভাইকে ফোন দিয়ে ধরিয়ে দেওয়ার কথা বলে কিন্তু আমি তাতে সাড়া দেইনি। এতে তারা চরম ক্ষিপ্ত হয়।
আমাকে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। টর্চার শুরু করে। রাত ১২ টা তখন আমাকে একটা মামলার মিথ্যা সাক্ষী দেওয়ার জন্য তারা জোর করে। যেখানে তারা কয়জনকে দেখাবে আমাকে বলতে হবে যে, ‘হ্যাঁ, এরা এ কর্মকাণ্ডের সাথে সম্পৃক্ত।’ আমি যখন বলি যে, ‘আমি যা করিনি, যা দেখিনি, সেই সাক্ষ্য কেন দেব’ তখনই আমার ওপর নির্যাতন করা হয়। আমার শরীরকে উল্টে ধরে পায়ের তালুতে ক্রমাগত লাঠি দিয়ে মারতে থাকে। ধীরে ধীরে আমার কোমড় থেকে পায়ের নীচ পর্যন্ত প্রত্যেকটা জায়গায় তারা আমাকে সজোরে আঘাত করতে থাকে। আমি হতবিহ্বল হয়ে পড়ছিলাম তাদের নির্যাতনে, অসহ্য যন্ত্রণা হচ্ছিলো তবু আমি একটাবারও তাদের মিথ্যা সাক্ষ্য দেয়ার প্রস্তাবে রাজি হইনি, ব্যথা সহ্য করে গিয়েছি।
আমাকে অ্যারেস্ট পরবর্তী ৩ দিন গুম রাখা হয়। থানা থেকে ডিবিতে প্রেরণ করে। সেখানে ভিন্নরকম এক রুমে রাখা হয়। এরকম ৩টি রুমে প্রায় ১২৭ জন মানুষ একসাথে ছিল যাদের বেশিরভাগই ছিল আন্দোলনকারী। বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃত্বস্থানীয় ব্যক্তিবর্গও সেখানে ছিল। ডিবিতে এসে দেখলাম সবাই দোয়া করতেছে যেন জেলহাজতে যেতে পারে, পরে বুঝলাম এখানে এনে বেশিরভাগ মানুষকেই গুম করে ফেলা হয় এর অস্তিত্বও কেউ আর খুঁজে পায় না। এজন্যই সবাই এইরকম দোয়া করছিলো।
ডিবিতে আমাকে দেখে আমার কলেজের একজন ভাই এগিয়ে এসে, আমার বিস্তারিত সব জেনে নেয়। যার সাথে আমার আগে কোনদিন পরিচয়ও ছিল না। আমার অবস্থা দেখে ঐ ভাইয়ের খারাপ লাগে এবং আমার যত্ন করে। কিন্তু ঐ ভাইয়ের নিজেরই পায়ের আঙুল সব ভেঙে দিয়েছিল নির্যাতন করে। ঐ ভাইয়ের নাম ছিলো মিজানুর রহমান। ডিবিতে দুইদিন রেখে আমাকে কোর্টে উপস্থিত করলে সাতদিনের রিমান্ড দেওয়া হয়। আমার তখন নির্যাতনের ধকল পার হয়ে ঐ রিমান্ড দেয়ার ব্যাপারটাও অনুভূতিতে ভালোভাবে কাজ করছিলোনা। তবে সাহস রাখার চেষ্টা করছিলাম শুধু আল্লাহর ওপর অবিচল আস্থা রেখে। আমাকে ডিবিতে নিলেও কিছু করেনি সে রাতে।
পরদিন শুনি মানুষের প্রতিবাদের মুখে আমার রিমান্ড বাতিল করেছে। পরে গাজীপুরে কিশোর সংশোধনাগারে প্রেরণ করার আদেশ এসেছে। আদালতে আমার বয়সের ব্যাপারটা ঠিকঠাক বিবেচনা করতে আইনজীবী সবাই দাঁড়িয়ে গিয়েছিলো। আমার সঙ্গে অন্যায় হচ্ছিলো বলছিলো, কিন্তু বিচারক কর্ণপাত করেননি। স্বৈরাচারের শেখানো রায়ই দিয়েছিলেন বলা যায়। কিশোর সংশোধনাগারের পরের সময়টা পুরোটা ছিলো ভিন্ন রকম। প্রতিটা মুহূর্ত আমি আল্লাহর কাছে ফরিয়াদ করতাম। কথা বলার চেষ্টা করতাম, দোয়া করতাম। এভাবে হঠাৎ একদিন এলো ভিন্ন সূর্যোদয়, যে সূর্যোদয়ের অপেক্ষায় ছিলো সারা দেশ।
আমাকে প্রথমদিকে জেলের সেলে প্রবেশ করানোর সময় এক আনসার সদস্য আমাকে বলছিল, ‘কি দরকার ছিল এই আন্দোলন করে? শুধু শুধু তোমার জীবনটা শেষ করে দিলা। এখনতো তোমার জীবন পুরাটাই শেষ।’ আমি শুধু তার দিকে তাকিয়ে হাসছিলাম সেদিন। আমি কারাগারে সেইদিন রাতে আকাশের দিকে অপলক তাকিয়ে ছিলাম। আমার কাছে মনে হচ্ছিল আমার সাথে আল্লাহর কথোপকথন হচ্ছে। আমার মনে অদ্ভুত এক প্রশান্তি যেন বয়ে গিয়েছে সেদিন। আমার জন্য অনন্যসাধারণ ছিল সে বিষয়টা। এভাবেই কারাগারের দিনগুলো কেটে গিয়েছিলো, এদেশের মানুষের বিজয় আসার আগ পর্যন্ত।
দ্য ডেইলি ক্যাম্পাস: জুলাইয়ের শেষের দিকে রাতের বেলা ব্লক রেইড দিয়ে যাত্রাবাড়ীর বাসা থেকে আপনাকে তুলে আনে পুলিশ। পরেরদিন আদালতে হাজির করা হলে সাত দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করা হয়। সেসময় আপনার অনুভূতি কেমন ছিল? ভয়াবহ সেই মুহূর্তে কি চিন্তা করছিলেন?
হাসনাতুল ইসলাম ফাইয়াজ: আমি খুব একটা ভাবতে পারছিলাম না। অলরেডি থানায় নির্যাতনের শিকার হয়ে শকড। আবার রিমান্ড হবে ভেবে একটু বিচলিত হই। কারণ রিমান্ড মানে ভালো কিছু না। তবু আল্লাহর সাহায্য চাইতে থাকি, আল্লাহই মনকে শান্ত রেখেছিলেন।
দ্য ডেইলি ক্যাম্পাস: ঐতিহাসিক গণঅভ্যুত্থানের আন্দোলনে কখন, কীভাবে এবং কোন প্রেরণা নিয়ে যুক্ত হয়েছিলেন?
হাসনাতুল ইসলাম ফাইয়াজ: আবু সাঈদ ভাইয়ের সাহসী সে দৃশ্যটা জাদুকরী ছিলো। যেন সেই লাইনকে ইঙ্গিত করে ‘বুকের ভেতর দারুণ ঝড়, বুক পেতেছি গুলি কর’। দীর্ঘ ফ্যাসিবাদী শাসনে সবার বুকের ভেতরের ঝড় থামাতেই এই আন্দোলনে যুক্ত হওয়া। যেখানে সাহসের বাতিঘর আবু সাঈদ ভাই।
দ্য ডেইলি ক্যাম্পাস: অভ্যুত্থানের প্রথম বর্ষপূর্তি আসন্ন, গত বছরের সঙ্গে এ বছরের এই সময়গুলোকে কীভাবে মূল্যায়ন করবেন?
হাসনাতুল ইসলাম ফাইয়াজ: আমি ইতিবাচকভাবে দেখতে চাই। অনেক পরিবর্তন এসেছে। মানুষের বাকস্বাধীনতা এসেছে, যেটা সবাইকে প্রশান্তি দিচ্ছে। মানুষ স্বাধীনতার কাঙাল, স্বাধীনতা কেড়ে নিলেই যত বিপত্তি হয়। সেটা এখন ঘটছেনা তাই ইতিবাচক দিক বলব। তবে জুলাই পূর্বের দোসরদের আস্ফালন এখনো উদ্বিগ্নতার। আশা করি জুলাইয়ের সরকার এবং অন্যান্য রাজনৈতিক দল জুলাই হামলার বিচার নিয়ে আরো বেশি দৃঢ় ভূমিকা রাখবে।
দ্য ডেইলি ক্যাম্পাস: ৫ আগস্ট ফ্যাসিস্ট হাসিনার পতন ও বিজয়ের দিনের স্মৃতি নিয়ে কিছু বলুন।
হাসনাতুল ইসলাম ফাইয়াজ: সেদিন আমি শিশু উন্নয়ন কারাগারে ছিলাম। কয়েকদিন ধরে কেন যেন মনে হচ্ছিলো মেঘ কেটে যাবে। সেদিন দুপুরে কারাগারের সবার হঠাৎ উল্লাস দেখে টিভি রুমে এসে যখন খবর শুনলাম হাসিনা উড়ে পালিয়েছে, তখন আল্লাহর কাছে সিজদা দেয়ার মত খুশি হয়েছি। আমার পরিবারের কাছে ফিরব ভেবে আনন্দিত হয়েছি। সে অনুভূতি কোটি টাকায়ও কেনা সম্ভব না।
দ্য ডেইলি ক্যাম্পাস: ভবিষ্যতে বাংলাদেশে নতুন কোন বিপ্লব বা গণঅভ্যুত্থানের সম্ভাবনা দেখছেন কি? ভবিষ্যতে যদি বাংলাদেশে কোন ফ্যাসিবাদ ফিরে আসে তাহলে আপনার ভূমিকা কেমন থাকবে?
হাসনাতুল ইসলাম ফাইয়াজ: এদেশের মানুষ সবসময় সংগ্রামী। তারা কখনো জুলুম সহ্য করবেনা। ৫ আগস্টের পর নতুন ফ্যাসিজমের পদধ্বনি শোনা যাচ্ছে, ভীত নই আমরা, প্রস্তুত আছি। কোনো ফ্যাসিবাদ টিকতে দেবোনা। এদেশ জনতার, এদেশ ন্যায়ের হবে। জুলুম টিকবেনা কখনো।
দ্য ডেইলি ক্যাম্পাস: জুলাই গণঅভ্যুত্থানের পরে বাংলাদেশ নিয়ে প্রত্যাশা কি? কেমন বাংলাদেশ চান? নতুন বাংলাদেশের সম্ভাবনা কেমন?
হাসনাতুল ইসলাম ফাইয়াজ: নৈতিকতা ও ইনসাফের ভিত্তিতে চাই। দলাদলি, রাজনৈতিক নোংরামি এগুলো বিরক্তিকর। সবার নৈতিক মানোন্নয়ন এবং স্বচ্ছতার দিকে মনোনিবেশ করাটাই প্রত্যাশা। কারণ অসৎ হলেই তার পরিণতি কি হবে পতিত স্বৈরাচার সে উদাহরণ রেখে গিয়েছে।