
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) সামুদ্রবিদ্যা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক সাইদুল ইসলাম সরকারকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
শুক্রবার অনুষ্ঠিত বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫৬২তম সিন্ডিকেটে বিতর্কিত ওই শিক্ষককে সাময়িক বরখাস্তের সিদ্ধান্ত হয়।
জানা যায়, সাইদুল ইসলাম সরকার আওয়ামী লীগের কৃষিবিষয়ক উপকমিটির সদস্য ও জুলাই অভ্যুত্থানের ঘোরবিরোধী ছিলেন। এ কারণে বিভাগের শিক্ষার্থীরা তাকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করেন।
এছাড়া শিক্ষার্থীকে কুপ্রস্তাব, যৌন হয়রানিসহ নানা কারণে সমালোচিত হয়েছিলেন তিনি। জোরপূর্বক বিভাগের আসবাবপত্র দখল, অফিসরুম দলীয়করণ এবং নিয়মবহির্ভূত ও মিথ্যা তথ্য দিয়ে স্কলারশিপের আবেদন, উপ-উপাচার্যকে নিয়ে কটূক্তিসহ নানা অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে।
এছাড়া গত ডিসেম্বরে অধ্যাপক মোসলেম উদ্দিনের সঙ্গে বিতণ্ডায় জড়ান ওই শিক্ষক। এ সময় মোসলেন উদ্দিনকে মারতে উদ্যত হন তিনি।
এ ঘটনার পর সাইদুল ইসলামকে চরিত্রহীন, দুষ্কৃতকারী ও ফ্যাসিস্ট শিক্ষক উল্লেখ করে উপাচার্য বরাবর অভিযোগ দেন মোসলেম উদ্দিন।
এসব অভিযোগ তদন্তে একটি কমিটি করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। এই কমিটির সুপারিশের ভিত্তিতে তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। এছাড়া অধিকতর তদন্তের জন্য আরেকটি কমিটি গঠন করেছে সিন্ডিকেট। দ্বিতীয় কমিটির সুপারিশের ভিত্তিতে তার ব্যাপারে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেবে কর্তৃপক্ষ।
জানতে চাইলে সাইদুল ইসলাম সরকার বলেন, আমি এখনো কোনো তথ্য জানি না। তবে তদন্ত হয়েছে, আমাকে ডেকেছিল। আমি আমার কথা বলেছি। এরপর এখনো কোনো কাগজপত্র পাইনি।
চবির সিন্ডিকেট সদস্য মোহাম্মদ আলী বলেন, সাইদুল সরকারের বিষয়টা এজেন্ডাভুক্ত ছিল। তবে কী সিদ্ধান্ত হয়েছে আমি বলতে পারব না। আমি তখন ছিলাম না। তার আগেই আমি বের হয়ে এসেছিলাম।
চবির ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম বলেন, সাইদুল ইসলাম সরকারকে সাময়িকভাবে বরখাস্তের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে। তবে তার বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্তের জন্য ২য় তদন্ত কমিটির রিপোর্ট পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে।