Image description

দৈনিক জনকণ্ঠ পত্রিকার মালিক পক্ষের সঙ্গে কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের বিরোধ এবং ‘ফ্যাসিবাদ মুক্তকরণের’ ঘটনায় সাংবাদিক মাসুদ কামাল প্রশ্ন ছুড়ে দিয়ে বলেছেন, কোনো পত্রিকা ফ্যাসিবাদের দোসর হলে, কোনো অপরাধ করলে তার বিচারের জন্য বিধিবদ্ধ কিছু আইন কানুন আছে। কিন্তু এভাবে জবরদখল করা যায়?

রবিবার (৩ আগস্ট) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে নিজ অ্যাকাউন্টে এক স্ট্যাটাস দিয়ে তিনি এ মন্তব্য করেন।

ফেসবুক স্ট্যাটাসে মাসুদ কামাল বলেন, দৈনিক জনকণ্ঠ নিয়ে সকাল থেকেই নানা খবর পাচ্ছি। পত্রিকাটির অনলাইনে গিয়ে দেখি- প্রিন্টার্স লাইন পাল্টে গেছে। সম্পাদক বা প্রকাশকের নামই নেই। তার পরিবর্তে 'সম্পাদক মন্ডলী' লেখা!

তিনি বলেন, একটা নিউজের শিরোনাম এমন- ‘ফ্যাসিবাদমুক্ত করা হয়েছে জনকণ্ঠ।’এই নিউজের মধ্যে একটা পরিচালনা বোর্ড গঠনের কথাও বলা হয়েছে। এখন থেকে এরাই নাকি পত্রিকাটি চালাবে। এরা কারা? যতদূর বুঝলাম- এনসিপি, জামায়াত, বিএনপি সবাই আছে এখানে।

পত্রিকাটি ব্যক্তিমালিকানাধীন উল্লেখ করে এবং এটি দখলের বিষয়ে প্রশ্ন করে তিনি বলেন, জনকণ্ঠ একটা ব্যক্তিমালিকানধীন প্রতিষ্ঠান। ইস্কাটনের বিশাল এই ভবনে জনকণ্ঠ ছাড়াও মালিকের আরও কিছু প্রতিষ্ঠান আছে। কোন পত্রিকা ফ্যাসিবাদের দোসর হলে, কোন অপরাধ করলে তার বিচারের জন্য বিধিবদ্ধ কিছু আইন কানুন আছে। কিন্তু এভাবে জবরদখল করা যায়?

ঘটনাটি নিয়ে ভিডিও কন্টেন্ট তৈরির কথা জানিয়ে এ সিনিয়র সাংবাদিক বলেন, ওখানে আসলে ঠিক কী ঘটেছে, কেন ঘটছে- ঠিক বুঝতে পারছি না। খোঁজ খবর নিচ্ছি। কাল হয়তো এ নিয়ে একটা কন্টেন্ট তৈরি করব।

স্মৃতিচারণ করে সাংবাদিক মাসুদ কামাল বলেন, জনকণ্ঠের সঙ্গে আমার অনেক স্মৃতি। এ পত্রিকার শুরু থেকে টানা ১২ বছর আমি সেখানে ছিলাম। তাই ঘটনাগুলো আমাকে বিচলিত করছে।

এর আগে শনিবার বিকেলে পত্রিকার ওয়েবসাইটে এক সংবাদে জানানো হয়, ‘দৈনিক জনকণ্ঠের মালিক পক্ষ স্বৈরাচার আওয়ামী লীগের শোকের মাস আগস্ট কর্মসূচির সঙ্গে একাত্মতা ঘোষণা করে পত্রিকার ব্যানার লাল থেকে কালো করার প্রতিবাদ করায় ২০ জন সাংবাদিককে হঠাৎ চাকুরিচ্যুতি করে। এই ঘটনায় জনকণ্ঠের সকল সাংবাদিক ও কর্মকর্তা-কর্মচারী জনকণ্ঠ পত্রিকার সকল নিউজ প্রচার বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। 

এরপর রাতে প্রকাশিত এক সংবাদে বলা হয়, ‘ফ্যাসিবাদমুক্ত করা হয়েছে জনকণ্ঠ। আজ থেকে ৬ সদস্য বিশিষ্ট সম্পাদকীয় বোর্ড পরিচালনা করবে দৈনিক জনকণ্ঠ।’