Image description

জুলাই গণঅভ্যুত্থান কেবল কোটা সংস্কার আন্দোলনের ফসল নয়। এর গভীরে ছিল বহু বছরের শোষণ, নিপীড়ন, দুর্নীতি এবং রাজনৈতিক কর্তৃত্ববাদের বিরুদ্ধে মানুষের জমে থাকা ক্ষোভ। অর্থনৈতিক বৈষম্য, বেকারত্ব, নিয়োগ বাণিজ্য, ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত হওয়া এবং রাষ্ট্রীয় নিপীড়নের বিরুদ্ধে জনগণের ক্রমাগত ক্ষোভ এক সময় বিস্ফোরণে রূপ নেয়। সমকালকে এসব কথা বলেছেন গণতান্ত্রিক অধিকার কমিটির সদস্য ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ। তাঁর সাক্ষাৎকার নিয়েছেন বিশেষ প্রতিনিধি সাব্বির নেওয়াজ

সমকাল: চব্বিশের মধ্য জুলাই থেকেই আপনি রাজপথে ছিলেন। কেমন ছিল সে সময়ের অনুভূতি।
আনু মুহাম্মদ: বাংলাদেশের মানুষের যে ধরনের সমাজ, দেশ ও জীবন পাওয়ার কথা মুক্তিযুদ্ধের পর থেকে, তারা তা পায়নি। বঞ্চনা কিংবা নিপীড়ন ইত্যাদির কারণে যেটা তার পাওয়ার কথা, সেটা পায়নি। সামাজিক দায় থেকেই আমরা বিভিন্ন ধরনের নিপীড়ন, শোষণ কিংবা সম্পদ লুণ্ঠন, পাচার, বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে শিক্ষার্থীদের ওপর অত্যাচার, নিপীড়নমূলক বিভিন্ন আইন নিয়ে অনেক দিন থেকে কথা বলছিলাম। এভাবে দেশ চলতে পারে না– ব্যাপকভাবে সমাজে এমন একটা অনুভূতি ছিল। ভোটাধিকারও ছিল না। সর্বশেষ কোটাবিরোধী আন্দোলনের মর্মবার্তা হচ্ছে– কাজ, কর্মসংস্থান। যেখানে যতটুকু কাজের সুযোগ, সেগুলো নিয়ে নিয়োগ বাণিজ্য ছিল। মানুষের একটা নাভিশ্বাস ওঠার অবস্থা– সে কারণে কাজের এই আন্দোলনটা সবার সমর্থন পেয়েছে। 

 
 

১৫ জুলাই থেকে অবিশ্বাস্য মাত্রায় নির্বিচার হত্যাকাণ্ড শুরু হলো। কোনো সুস্থ মানুষের পক্ষে এসব মৃত্যু গ্রহণ করা সম্ভব না। ৭ জানুয়ারি নির্বাচনের পর থকে সরকারের ঔদ্ধত্য এবং তার আত্মবিশ্বাস মাত্রা ছাড়া অবস্থায় চলে গিয়েছিল। সেটারই বহিঃপ্রকাশ ঘটল ১৫, ১৬, ১৭, ১৮, ১৯ জুলাই। বিস্ময়ের সঙ্গে দেখলাম, যারা কখনও রাস্তায় আসার কথা ভাবেন নাই এ রকম শিক্ষক, সাংবাদিক, শিল্পী, লেখক রাস্তায় নেমে আসছেন। শিক্ষার্থীদের ওপর যখন একের পর এক হত্যাকাণ্ড চলছে, পাইকারি হত্যাকাণ্ডে মানুষের দীর্ঘদিনের ক্ষোভ একটা বিস্ফোরণে পরিণত হয়েছে। বুঝতে পারলাম, সরকারের পতন অবশ্যম্ভাবী। কারণ এ রকম হত্যাকাণ্ড চালিয়ে ও গণপ্রতিরোধের পর কোনো সরকার আর টিকে থাকার কথা নয়। 

কিন্তু তখন আমার একটা উদ্বেগের বিষয় ছিল যে, সরকার পতন হলে গণতান্ত্রিক রূপান্তর কীভাবে হবে? নাকি আরও একটা বিপজ্জনক অবস্থার মধ্যে চলে যাবে? কারণ অন্যান্য দেশে আমরা দেখছি, কর্তৃত্ববাদী বা স্বৈরতান্ত্রিক সরকার যদি দীর্ঘদিন থাকে, তাহলে তার পতনের মধ্য দিয়েও গণতন্ত্র 

আসা কঠিন হয়ে যায়। গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াটাই এমন দুর্বল অবস্থায় পড়ে যে, দেখা যায় আরেক ধরনের কর্তৃত্ববাদী কিংবা স্বৈরতন্ত্র আসছে। সেটা নিয়ে উদ্বেগ ছিল। আমি ২ আগস্ট সরকারের পদত্যাগ দাবি করলাম। এটা আমি নিশ্চিত ছিলাম যে, বাংলাদেশ এখান থেকে আর ফিরতে পারবে না। কারণ শেখ হাসিনা মুক্তিযুদ্ধকে বর্ম হিসেবে ব্যবহার করে অনেক অন্যায় করেছেন।

সমকাল: জুলাই আমাদের কী শিক্ষা দিল, কী বার্তা রেখে গেল?
আনু মুহাম্মদ: জুলাইয়ের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের পুনর্জন্ম হয়েছে। দেশের শক্তির জায়গাটার পুনর্জন্ম। বাংলাদেশের শক্তি হচ্ছে জনগণের অপ্রতিরোধ্য ক্ষমতা। এটা আমরা দেখছি ’৭১, তারপর ’৭০-’৮০-এর দশকেও স্থানীয়ভাবে বিভিন্ন জায়গায় আন্দোলন, সংগ্রামে। দিনাজপুরে ইয়াসমিন ধর্ষণ ও হত্যার বিরুদ্ধে স্থানীয় প্রতিরোধ, ফুলবাড়ীতে গণঅভ্যুত্থান– এগুলোর মধ্যেও জনগণের শক্তির প্রকাশ ছিল। ’৯০ সালে জাতীয়ভাবে গণঅভ্যুত্থান এরশাদের পতন ঘটায়। 
জুলাইয়ের গণঅভ্যুত্থান আমাদের পুনর্জাগরণের শিক্ষা দিয়ে গেল। আমাদের এই আত্মবিশ্বাস দিয়ে গেছে যে, পরিবর্তন সম্ভব। যত ক্ষমতাবান, যত দাপটের, যত পরাক্রমশালী সরকারই থাকুক না কেন, তার যতই অস্ত্রশক্তি থাকুক, পরিবর্তন সম্ভব। এটাই জুলাইয়ের মধ্য দিয়ে প্রকাশিত।

সমকাল: অভ্যুত্থান-পরবর্তী এক বছর আপনি কীভাবে মূল্যায়ন করবেন? 
আনু মুহাম্মদ: গণতান্ত্রিক রূপান্তর নিয়েই আমাদের এখন কথা বলতে হবে। গত বছরের ৪ আগস্ট আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক নেটওয়ার্কের পক্ষ থেকে অন্তর্বর্তী সরকারের রূপরেখা দিয়েছিলাম। আমরা মনে করি, গণতান্ত্রিক রূপান্তরের জন্য যে ধরনের সামাজিক রাজনৈতিক শক্তি দরকার, যে রকম সাংস্কৃতিক মতাদর্শিক শক্তি দরকার, সেখানে আমাদের যথেষ্ট ঘাটতি আছে। জনগণের অপ্রতিরোধ্য শক্তির মধ্য দিয়ে একটা সরকারের পতন ঘটল ঠিকই, কিন্তু এই ঘাটতি থাকার কারণে গণতান্ত্রিক রূপান্তরের রাস্তাটা পরিষ্কার হয়নি।

সমকাল: সেটা কেমন?
আনু মুহাম্মদ: দেখা যাচ্ছে যে বিভিন্ন অগণতান্ত্রিক চিন্তাভাবনা যাদের, কিংবা ফ্যাসিবাদেরই বিভিন্ন রূপ যেগুলো আছে, আবার তারা মাথা বের করছে বিভিন্ন জায়গা থেকে। অন্তর্বর্তী সরকারও জুলাই গণঅভ্যুত্থান থেকে শিক্ষা নিয়েছে বলে মনে হয় না। গণঅভ্যুত্থান তো শুধু হাসিনার পতনের জন্য হয় নাই। হাসিনার সময়ে যে ধরনের শাসনব্যবস্থা, কর্তৃত্ববাদী বিধিব্যবস্থা, অত্যাচার, জনগণের সঙ্গে প্রতারণা, জনগণের সাথে রাষ্ট্রের ও সরকারের বিচ্ছিন্নতা– এগুলোর পরিবর্তন চেয়েছে মানুষ।
অন্তর্বর্তী সরকার সেখান থেকে শিক্ষা নেয়নি। শ্রমিকদের ওপর হামলা হচ্ছে, শ্রমিকরা বকেয়া বেতনের কথা বললে গুলি চালানো– এটা তো হাসিনা আমলের কাজ। এই সরকারের আমলে তা হবে কেন। তথ্যআপা কিংবা পল্লী বিদ্যুৎ কিংবা শ্রমিকসহ শিক্ষক সমাজ বিভিন্ন দাবি নিয়ে মাঠে আসছেন। তাদের কথা শোনা হচ্ছে না। এটা অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে প্রত্যাশিত ছিল না। 

রাষ্ট্র পরিচালনায় জনগণকে যুক্ত করা, তাদের গুরুত্ব দেওয়া, গণতান্ত্রিক রূপান্তরের প্রক্রিয়ায় তাদের দাবি পূরণ, ন্যায্য দাবি শোনা– এসব নিয়ে যে ধরনটা তৈরি করা দরকার ছিল সরকারের, তারা তা করেনি। তারা অনেক সংস্কারের কথা বলে, কিন্তু এই সামান্য জায়গাতেও তারা কোনো পরিবর্তন আনতে পারেনি। এর বাইরে উদ্বেগের বিষয় হচ্ছে মব সন্ত্রাস। 

সমকাল: মব সন্ত্রাস নিয়ে আপনার ভাবনা কী?
আনু মুহাম্মদ: এটা নিয়মিত ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিভিন্ন জায়গায় মব সন্ত্রাস চলছে। প্রতিষ্ঠান দখল করার ক্ষেত্রে, বিভিন্ন জায়গায় দখলদারিত্ব প্রতিষ্ঠা করার ক্ষেত্রে, প্রতিষ্ঠানের পদ দখল করায় এমনটি চলছে। মতাদর্শিকভাবেও কিছু মব সন্ত্রাস হচ্ছে। মতাদর্শিকভাবে নারী বিদ্বেষ আছে, ধর্ম বিদ্বেষ আছে। সংখ্যালঘু জাতি, সংখ্যালঘু ধর্মের মানুষদের প্রতি বিদ্বেষ আছে। সেই বিদ্বেষ থেকেও মব সন্ত্রাস হচ্ছে। 

সরকারকে এটার জন্য অভিযুক্ত করতাম না, আমরা যদি দেখতাম সরকার যথেষ্ট উদ্যোগ গ্রহণ করছে এগুলো থামানোর জন্য। দেখা যাচ্ছে দমনের ব্যাপারে সরকারের ভূমিকা খুবই দুর্বল কিংবা নমনীয়। আবার কোন কোন ক্ষেত্রে সরকারের ভিতরেই কারও কারও কথায় তাদের প্রতি প্রচ্ছন্ন সমর্থন থাকছে। এগুলি উদ্বেগের বিষয়, যা জুলাই গণঅভ্যুত্থানের প্রত্যাশার পুরোপুরি বিপরীত।

সমকাল: অভ্যুত্থানের পক্ষের শক্তিগুলোর মধ্যে বড় বিভক্তি দেখা যাচ্ছে। রাজনৈতিক বিভক্তি, মতাদর্শের বিভক্তি। 
আনু মুহাম্মদ: বিভক্তিটা খুব বিস্ময়কর নয়। কারণ রাজনৈতিক মতাদর্শিক পার্থক্য যদি থাকে, তাহলে সেই পার্থক্য নিয়ে ঐক্য শুধু একটা সুনির্দিষ্ট কারণে হতে পারে। শেখ হাসিনা সরকারের যে শোষণ-পীড়ন কিংবা দুর্নীতি এবং শেষ পর্যায়ে এসে পাইকারি হত্যাকাণ্ড– সেটার বিরুদ্ধে বিভিন্ন ধারার মানুষ ঐক্যবদ্ধ হয়েছিল। এই ধারাগুলোর মধ্যে যদি গুরুত্বপূর্ণ বা উল্লেখযোগ্য মাত্রায় মতাদর্শিক রাজনৈতিক পার্থক্য থাকে, তাহলে এই লক্ষ্য অর্জনের পরে তো সেই পার্থক্যটা সামনে আসবেই। এটা না আসার কোনো কারণ নেই। কিন্তু সরকারের মধ্যে যারা আছে তাদের এ বিষয়ে বিশেষ মনোযোগ দেওয়ার কথা। তারা কিছু কিছু চেষ্টাও করেছে। এই মতপার্থক্য সত্ত্বেও কিছু জায়গায় যেমন গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠানে যা করণীয় তা যদি করা যায়। 

সমকাল: কী করণীয়?
আনু মুহাম্মদ: গ্রহণযোগ্য জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য যে ধরনের সংস্কার প্রয়োজন, সেই সংস্কারের ব্যাপারে একটা ঐকমত্য তৈরি হতে পারে। এর থেকে বেশি আর কিছু পাওয়া যাবে না। কারণ রাজনৈতিক পার্থক্য, মতপার্থক্য তো আর চেয়ার-টেবিলে বসে দূর করা যাবে না। কিন্তু ওই মতপার্থক্য সত্ত্বেও একটা যথাযথ নির্বাচন করার ব্যাপারে সবার একটা দায়িত্বশীল অবস্থান তৈরির জন্য ন্যূনতম ঐকমত্য তৈরি করা সম্ভব। এটা হলেই দেশ বিপর্যয়ের হাত থেকে রক্ষা পাবে।

সমকাল: ঐকমত্য কমিশন তাদের কাজ প্রায় শেষ করে এনেছে। আপনার অভিমত কী?
আনু মুহাম্মদ: একটা কাজ শেষ না হওয়া পর্যন্ত বোঝা যায় না, প্রস্তুতিটা যথাযথভাবে হয়েছিল কিনা। কারণ বিভিন্ন ধরনের শক্তি থাকে, তাদের চাওয়াগুলোও ভিন্ন ভিন্ন হয়। নির্বাচন চায় না এ রকম গোষ্ঠীও আছে। নির্বাচন না হলে তাদের সুবিধা হয়। আবার নিজেদের কর্তৃত্বের মধ্যে নির্বাচন চায়– এ রকম গোষ্ঠীও আছে। এ রকম নানা রকম ধরন আছে। সেটার মধ্য দিয়েই নির্বাচনটা সামনে যথাযথভাবে করার ব্যাপারে জনগণের মধ্যে তো একটা দাবি আছেই। কারণ মানুষ তো ২০১৪ থেকে ভোট দিতে পারছে না। তরুণ যারা ভোটার হয়েছে, তারা তো জীবনে ভোটই দিতে পারেনি।

সরকার অনেক সংস্কার কমিশন করেছে। বেশির ভাগ সংস্কার কমিশনের রিপোর্ট নিয়ে সরকারের নিজেরও খুব মাথাব্যথা আছে বলে মনে হয় না। যেগুলো বাস্তবায়ন করা সম্ভব ছিল এই সময়ে, মনোযোগ পেল না। সরকারের নিজের কাজের ধরনের মধ্যেও পরিবর্তন আনা সম্ভব ছিল, হলো না। জনগণের কাছে স্বচ্ছভাবে সবকিছু করা, সেগুলোর ক্ষেত্রেও আমরা বড় ঘাটতি দেখছি। আমরা দেখছি, অস্বচ্ছভাবে বা গোপনে বিভিন্ন বিদেশি বা দেশি বড় বড় কোম্পানির সঙ্গে চুক্তি করতে চাচ্ছে সরকার। এই ধরনের অস্বচ্ছতা একটা বড় সমস্যা।

সমকাল: জুলাই আন্দোলনের তরুণদের অনেকে পথভ্রষ্ট হচ্ছে। বিভিন্ন অভিযোগ উঠছে। তাদের সঠিক পথে রাখতে না পারার দায় কার?
আনু মুহাম্মদ: জুলাই আন্দোলনে সম্পৃক্তদের কারও কারও বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগ উঠছে। সমন্বয়ক পরিচয়ে চাঁদাবাজি কিংবা বড় রাজনৈতিক দলের পরিচয় দিয়ে এটা দখল, সেটা দখল এগুলোর সুযোগ ছিল না যদি সরকারের তরফে পরিষ্কার একটা বার্তা থাকতো– সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি কোনো প্রশ্রয় পাবে না। একটা পরিবেশ তৈরি করা দরকার ছিল। গণঅভ্যুত্থান হলে তাতে নানা রকমের লোক এসে যুক্ত হয়। সরকার কোনো পদক্ষেপ না নিলে তারা অপকর্মে যুক্ত হয়। সরকারকে এসব থামাতে এমন ব্যবস্থা নিতে হবে যেন কেউ মনে না করে অপকর্ম করলে কিছু হবে না। 

সমকাল: জুলাই অভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তিতে আপনার প্রত্যাশা কী?
আনু মুহাম্মদ: আমার চাওয়া বৈষম্যহীন বাংলাদেশ। এ প্রত্যাশায় এত মানুষ জীবন দিয়ে গেছে। শোষণ, নিপীড়নমুক্ত বৈষম্যহীন বাংলাদেশ গড়া খুব কঠিন। এর জন্য উপযুক্ত রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক শক্তি দরকার– তা আমাদের নেই। চারটি মৌলিক বৈষম্য দূর করা গেলে বড় কাজ হবে। সেগুলো হলো– শ্রেণি, ধর্ম, জাতিগত ও লিঙ্গীয় বৈষম্য দূর করা। এ জায়গাগুলোতে কাজ করা দরকার। আমরা এখন এমন সব রাজনৈতিক শক্তির উত্থান দেখছি– জাতিগত বৈষম্যের ওপর ভর করেই তাদের রাজনীতি পরিচালিত হয়। এতে ধর্মীয় বৈষম্যও প্রকট হবে। আমরা চাই, বৈষম্যহীন বাংলাদেশের একটা সুনির্দিষ্ট চেহারা জনগণের সামনে সরকার উপস্থাপন করুক।